আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
বিআরটিসি চেয়ারম্যান

দুই নম্বর চাকা লাগিয়ে এক নম্বর চাকার বিল করার দিন শেষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা- বিআরটিসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, বিআরটিসিতে এখন দুই নম্বর চাকা লাগিয়ে এক নম্বর চাকার বিল করার দিন শেষ।

তিনি বলেন, কিছু কিছু দুষ্কৃতিকারী, বিশ্বাসঘাতক উন্নয়নের চাকা বাধাগ্রস্ত করতে বিআটিসিকে পেছনে টেনে ধরে রাখতে চায়। এসব ঘটনার পেছনে প্রতিষ্ঠানের কিছু লোকজনও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিসিকে কোনো অবস্থাতেই পেছনে যেতে দেব না। এক ভাগ অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান বিআরটিসির চেয়ারম্যান।

আমাকে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য কথা আমার বিরুদ্ধেও লেখা যাবে। প্রতিষ্ঠানে এক সময় রিকশা চালক ও সবজি দোকানদারদের নিয়োগ দেওয়া হতো। আমরা অদক্ষদের চাকরি থেকে বিদায় না করে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলেছি।

সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এক সময় বিআরটিসিতে নানা সংকট ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পেছনের সব জঞ্জাল আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠেছি। আগমী ৩ বছর নতুন গাড়ি না আসলেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হবে না।

কল্যাণ তহবিল নীতিমালা করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বদলি নীতিমালা করা হবে। বিআরটিসির কোনো কর্মচারী এখন চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে না। কেউ মারা গেলে দাফনের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হবে। অবসরে যাওয়া ৫০০ জনের বকেয়া ১২০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী কেউ অবসরে গেলে এক মাসের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে। ডিপোগুলোতে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাড়িতে ভিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার ও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সব ডিপোতে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়। অকারণে অর্থ ব্যয় করিনি বলেই অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে নতুন ৯০০ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, ৩৪টি ইউনিটের জন্য আরও ১৮ হাজার জনবলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিআরটিসি বাসে আগামী মাসে র‌্যাপিড পাস চালু হবে। রাজধানীতে চলা আটটি বাসে চালু হয়েছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ পকেটে ঢুকানো বন্ধ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সব নিয়োগের স্বচ্ছতা দাবি করে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, এক সময় বিআরটিসিতে ছয় মাসের বেতন বকেয়া ছিল। দীর্ঘ সময় পর প্রতিষ্ঠানটি লাভের মুখ দেখেছে। প্রতি মাসের এক তারিখে বেতন দেওয়া হয়। ২৩ বছর পর প্রতিষ্ঠানের শান্তি বিনোদন ভাতা চালু হয়েছে। বর্তমানে জনবল চার হাজার, দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেন ৮০০ জন।

৫০০ ট্রাকে সার ও খাদ্য পরিবহনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির সময় আমরা সেবা বন্ধ করিনি। দুই কোটি টাকা লস দিয়ে ট্রাকে সারা দেশে সার সরবরাহ করা হয়েছে।

মিথ্য ও অন্যায়ের সঙ্গে আপোস না করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, আমি ছাড়ার মানুষ নই। জেলায় জেলায় আমাদের গাড়ি চলতে কেউ বাধা দেয় না। নতুন আরও এক হাজার বাস হলে ভালো হতো। ইলেকট্রিক বাস ও নতুন ট্রাক আনতে প্রকল্প নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

দক্ষ চালক তৈরীতে ২৪টি ট্রেনিং সেন্টারে বছরে ২০ হাজার চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুই বছর পর এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০ হাজারে। ৫০০ নতুন বাস হলে আগামী তিন বছরের মধ্যে বিআরটিসি লিজ প্রথা থেকে বেরিয়ে আসবে। বর্তমানে বান্দরবান ছাড়া সব জেলায় বিআরটিসি ১২০০ বাস সেবা দিচ্ছে। আন্তঃজেলার ১৬৭ রুটে প্রতিষ্ঠানের সেবা চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে ২০৮টি রুটে বাস চলছে। তিনমাস পর পর বিআরটিসি পর্ষদের বৈঠক করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

২০১৫-২১ সাল পর্যন্ত চালক ছাড়া বিআরটিসিতে কোনো নিয়োগ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে দীর্ঘ সময় সিএ ফার্ম দিয়ে প্রতিষ্ঠানের অডিটও বন্ধ ছিল। তবে অডিট আপত্তির বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি জানান, আগে কোন অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো না। হলে বিআরটিসি আরও এগিয়ে যেত। গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল নিয়োগ হতো না। এক সময় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পিও পদে বাসের হেলপার দায়িত্ব পালন করত বলেও জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: বিআরটিসি

আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিলে ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিল মাসে দুই হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রবিবার (১২ মে) সংগঠনটি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭২টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৯ জন আর আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১০৮।

সংগঠনটি বলেছে, বিদায়ী মাসটিতে ৩১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট প্রাণহানির ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হয়েছেন)। ৩৮টি রেল দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ডাম্প ট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ১৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও পরে আবার কিছুটা কমেও যায়।

শুক্রবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ দশমিক ৩৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে। খবর রয়টার্সর।

এদিকে, তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বাভাসের চেয়ে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানের রয়েছে।

এর আগে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম বেড়েছিল। কিন্তু দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত না বাড়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে যায়। যদিও এখন আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

শেষ প্রান্তিকে এক দশমিক ছয় শতাংশ মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাণিজ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেক ভালো করছে।


আরও খবর



মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০২৬ সালে মাঠে গড়াবে প্রথম নারী ক্লাব বিশ্বকাপ। কংগ্রেস সামনে রেখে ব্যাংককে ফিফা কাউন্সিল সভায় ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত নারী ফুটবলের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুমোদন পেয়েছে।

১৬ দল অংশ নেবে নারী ক্লাব বিশ্বকাপে। চার বছর পর পর হবে এই বিশ্বআসর। মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপের পরিকল্পনার কথা ২০২১ সালের মে মাসে জানিয়েছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ব্যাংককে ৭৪তম ফিফা কংগ্রেসে বুধবার টুর্নামেন্টটি শুরুর সময় জানানো হয়। বিস্তারিত কিছু অবশ্য জানানো হয়নি।

নতুন ক্যালেন্ডার আরও নারী ফুটবল বান্ধব করেছে ফিফা। আগামী বছর প্রথম নারী ফুটসাল বিশ্বকাপ হবে ফিলিপাইনে। অনূর্ধ্ব-১৭ কিশোরী ফুটবল ২০২৫ থেকে ২৯ সাল পর্যন্ত হবে মরোক্কোয়। একই সময়ে কাতারে হবে অনূর্ধ্ব-১৭ কিশোর বিশ্বকাপ।

২০২৫, ২৯ ও ৩৩ ফিফা আরব কাপের স্বাগতিকও কাতার। এদিকে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিফার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মাতিয়াস গ্রাফস্ত্রম পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। ১৭ মে ব্যাংককে হবে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেস।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর