আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানি করেন এহেসানুল হক সমাজী। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।  অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।


আরও খবর



দাম কমলো এলপি গ্যাসের, ১২ কেজি ১৩৬৩ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জুন মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯৩ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজির নতুন এ দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৭২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬২ টাকা ৫৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে, গত মে মাসে ভোক্তাপর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। সেবার ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দামও কমায় বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: চোরাচালানের পর মিলছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িত গডফাদার, প্রভাবশালী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও কিছু সংখ্যক বড় বড় ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসছে। এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনও তার পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জড়িত খুনিদের রক্ষা করতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে তথ্য পেয়েছেন। এই তথ্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসায়ী এবং মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণকে এমপি আনার হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত খুনি ও রাজনৈতিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একের পর এক নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকার একাধিক নেতা ও এমপি আনারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম মিন্টুর নির্বাচনি আসন হরিনাকুন্ড উপজেলা। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন একজন ক্ষমতাধর বড় ব্যবসায়ী। এই আসনে মিন্টুর পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর নির্বাচন করলেও তার জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোটকথা এলাকাবাসির তথ্য অনুযায়ী, মিন্টুর এই আসন হাতছাড়া। তাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঝিনাইদহ-৪ আসনে নির্বাচন করা। এ নিয়ে তিনি সামনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্ষমতাসীন একাধিক এমপি ও দলীয় নেতাকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা প্রদান করে আসছেন। ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও এমপি আনার ও মিন্টুর মধ্যে বিরোধ ছিল। এমপি আনার বেঁচে থাকলে মিন্টুর এমপি হওয়া কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। মিন্টু এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে এলাকার একাধিক নেতা জানিয়েছেন। কালীগঞ্জ এলাকার এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত সিবিআই নেতাসহ একাধিক ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেন্সে গত ১৩ মে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ঐ সকল জড়িত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রভাবশালী এমপি ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাসেই তারা এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বুধবার (১২ জুন) এমপি আনারের কন্যা ডরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এ সময় তার পিতা এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের রক্ষায় তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রভাবশালীদের তৎপরতা এবং তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাসহ বিস্তারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি কন্যা ডরিনকে আশ্বাস দেন যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধীকে তিল পরিমাণ ছাড় দেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমপি আনার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, তার পিতার হত্যাকারীদের বাঁচাতে কিংবা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে। এমন তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। এজন্য তার সন্দেহ যে পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ফলাফল আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এমনকি অনেকে নিখোঁজও হয়েছেন। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই বিচার হয়নি। এমনকি নিখোঁজ কাউকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কালীগঞ্জ এলাকায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ও কাজী কামালসহ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান যে, এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন আগের সব খুনের ঘটনার মতো ধামাচাপা না পড়ে।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসন: উৎকণ্ঠা ও খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিনবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমার আগ্রাসনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টেকনাফ থেকে কোনো নৌযান সেন্টমার্টিনে যেতে পারছে না। সেখান থেকে আসতেও পারছে না। নৌযান দেখলেই মিয়ানমার থেকে ছুটে আসে গুলি। সাত দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। পরপর তিন দফা গুলির ঘটনার পর এমন অবস্থায় সেন্টমার্টিনের ১০ হাজারের মতো অধিবাসী খাদ্য ও নিত্যপণ্য নিয়ে সংকটে পড়েছেন। তাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠাও বিরাজ করছে।

আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা। এদিকে, টেকনাফে আটকা পড়েছেন প্রায় চার শতাধিক বাসিন্দা। এটি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের অভাব দেখা দিতে পারে দ্বীপে। শুধু তাই নয়, যদি কোনো রোগব্যাধি হয়, তাহলে বিনা চিকিৎসায় দ্বীপেই মৃত্যুবরণ করতে হবে বাসিন্দাদের।

এদিকে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে যারা দিনে এনে দিনে খায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুত করা খাদ্যপণ্য শেষ হতে চলেছে, তেমনি সেই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সমাধান না হলে দ্বীপবাসী খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যায় বাড়তে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।

গত ১১ জুন টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে সাগরের ঘোলচর এলাকায় একটি স্পিডবোটকে নৌযান নিয়ে ধাওয়া করে গুলি করা হয়। মিয়ানমারের সৈন্যরাই গুলি চালিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির বলেছেন, প্রথম যেদিন এই ঘটনা ঘটে, সেদিনই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ১১ জুনের ঘটনার পর কূটনৈতিক চ্যানেলে আবারও প্রতিবাদ জানাবো। তবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, সেটা তো আমরা বুঝতেই পারছি। ওই এলাকা এখন কাদের নিয়ন্ত্রণে সেটিও পরিষ্কার নয়। তবে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

সেন্টমার্টিন স্পিড বোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, আগের গুলির ঘটনার পর আমরা নদীতে যাইনি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরত আসা অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছিল আমাদের একটি স্পিডবোট।সাগরের ঘোলচর এলাকায় পৌঁছালে মিয়ানমার সীমান্তের একটি ট্রলার থেকে ওই স্পিডবোট লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে স্পিডবোটটি কোনোরকমে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আগে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, কারা এটি করছে। কিন্তু আজকে যখন ছোট ছোট নৌযান নিয়ে আমাদের স্পিডবোটে গুলি করা হয় তখন সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাহাজ ছিল। ফলে আমরা ধারণা করছি, জান্তার সৈন্যরাই এটা করছে।’

তিনি বলেন, ‌টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীর মোহনার শেষে নাইক্ষ্যংডিয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় মিয়ানমারের প্রান্ত থেকে বোটগুলো লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। আমরা এখন সেন্টমার্টিনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। কারণ, ওই এলাকায় আমাদের বিজিবি বা কোস্টগার্ডের কোনো টহল নেই। তারা উপকূলে চলে এসেছে। ফলে জান্তা সৈন্যরা চাইলে যেকোনো সময় আমাদের সেন্টমার্টিনেও চলে আসতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। এ কারণে সাত দিন ধরে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন।’

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত খাদ্য রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিনই টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে নানা ধরনের নিত্যপণ্য আসে। কিন্তু সাত দিন হলো কিছুই আসছে না। এখন সেন্টমার্টিনে কাঁচামাল কিছুই নেই। চাল-ডাল দিয়ে কোনোভাবে দিন চলছে। আবার যা আছে, তার দামও ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে আমরা অনেক কষ্টে আছি। এভাবে আর দুই-একদিন হয়ত চলা যাবে। এরপর আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নিতে বলছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। গত ৫ জুন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৮ জুন সেন্টমার্টিনে ইট-বালু ও খাদ্যসামগ্রী বহনের ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার আবারও গুলি চালানো হয়।’

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, আমাদের বিকল্প রুট ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। কেউ কেউ ইনানী থেকে যাওয়ার কথাও বলছেন। কিন্তু এভাবে তো সেখানে পৌঁছানো কঠিন। সাগরের ঢেউ এবং পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই রুটটি ঝুঁকিপূর্ণ। খবরচও অনেক বেশি হবে। আর আমরা তো মিয়ানমারে যাচ্ছি না। তাহলে আমাদের দেশের সীমান্তের মধ্যে ঢুকে তারা কেন গুলি করবে? সরকারের পক্ষ থেকে তো এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা নাহলে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা সংকটে পড়বেন।’

দ্বীপের মুদির দোকানি আমিনুল ইসলাম বলেন, ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আনতে পারেনি। এর ফলে দোকানে থাকা সবকিছু শেষের পথে। শুধু চাল ছাড়া কোনো মালামাল নেই। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপের মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে।’

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি এখনও সুরাহা না হওয়ায় দ্বীপে খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এটি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের অভাব দেখা দিতে পারে দ্বীপে। শুধু তাই নয়, আমাদের যদি কোনো রোগব্যাধি হয়, তাহলে বিনাচিকিৎসায় আমাদের এখানে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এই পরিস্থিতি তো দিনের পর দিন চলতে পারে না। আমি নিজে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বিকালে হেলিকপ্টার যোগে বিজিবি মহাপরিচালক সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসেছিলেন। কিন্ত এ ব্যাপারে কী ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে পারিনি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে গুলির ঘটনায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আপৎকালীন রুট হিসেবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে জেটি ঘাট চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে নৌযান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ৯ জুন কক্সবাজারের ডিসি অফিসেও বৈঠক হয়েছে। আমরা নৌযান মালিকদের ডেকে বলেছি, বিকল্প রুট দিয়ে আপাতত খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে।’


আরও খবর



ঈদুল আজহায় চলবে ২০টি বিশেষ ট্রেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এবারও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী ২ জুন থেকে ঈদ যাত্রায় ১০ দিন আগের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। তবে আগামী রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈদ যাত্রার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সভাতেই অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিন নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। গত ঈদুল ফিতরের আগে একই রকম বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমে টিকিট বিক্রির আগাম তারিখ রেলওয়ের সংবাদ সম্মেলনের আগেই প্রকাশ হওয়ায় দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হয়।

রেলের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচলা করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হবে। আগামী ২ জুন বিক্রি হতে পারে ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একই ভাবে ৩ জুন দেওয়া হবে ১৩ জুনের, ৪ জুন দেওয়া হতে পারে ১৪ জুনের, ৫ জুন দেওয়া হতে পারে ১৫ জুনের এবং ৬ জুন দেওয়া হতে পারে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে মোট ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ছুটির কথা বিবেচনা করে আগাম টিকিট বিক্রির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী আমাদের সময়কে বলেন, বৈঠকে যাত্রী নিরাপত্তা ও ঈদ যাত্রায় রেলের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে।

জানা গেছে, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রয় শেষে মোট আসনের ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিন ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনের কাউন্টার থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে।

ঈদের আগের পাঁচ দিনে ১০ লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করবে। ট্রেনে ঈদ যাত্রা এবং ঈদের অগ্রিম টিকিটসহ সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আগামী সোমবার সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে।

ফেরিতে ৭ দিন বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌরুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন মোট ১১ দিন সব নৌরুটে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। আগের মতোই কাজীরহাট, পাটুরিয়াঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিছু রুটে বাড়ানো হবে লঞ্চের সংখ্যাও। ঈদের আগে ৩ দিন ও পরের ৩ দিনসহ মোট ৭ দিন পশুবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে নৌপথে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মপন্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, গতবার (ঈদুল ফিতর) ঈদযাত্রা নিরাপদ হয়েছে। এবারও যাতে ঈদ আনন্দময় ও নিরাপদ হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীসহ নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করছে। আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়েছে, এবারের ঈদ মৌসুমে আবহাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে। যারা যাত্রী পারাপার ও পণ্য পারাপার করবেন, তারা আবহাওয়া বার্তাগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন।


আরও খবর