আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

দোহার-নবাবগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার দোহার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান এমপি।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই অল্প সময়ের মধ্যেই সোনার বাংলার উন্নয়নের সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছেন।

সাংসদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দেশের বাহিরে ছিলেন। ১৫ আগস্টের পর থেকে দীর্ঘ ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। এমনকি তারা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণ প্রচার করা বন্ধ করে দেন। এমন কি প্রকাশ্যে জয়বাংলা বলা নিষেধ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশের আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা ইসলাম বিথী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ বেলাল, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আল-মামুন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনার কলি পুতুল, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি, দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে নবাবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজু, সার্কেল এএসপি আরিফুর রহমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আ. বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন, ইঞ্জি. আরিফুর রহমান শিকদার, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।


আরও খবর



মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজস্থানে মসজিদের ভেতর ঢুকে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আজমিরের মোহাম্মাদি মাদানি মসজিদের এ ঘটনায় তিন মুখোশধারী অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

নিহত মাওলানা মোহাম্মাদ মাহির মসজিদের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগঞ্জ থানার রবীন্দ্র খিঁচি। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই রাতে মাওলানা মাহির একটি কক্ষে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে শিশুরা চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন তিনজন ইমামের ফোনটি নিয়ে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাহিরের ভাই মোহাম্মাদ আমির বলেন, তারা তিন ব্যক্তির নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাহির তাকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তার মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট। তারা মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তিনি কখনও আজমিরে থাকতে পছন্দ করতেন না। গেল অক্টোবরে তার গুরু মাওলানা জাকির হোসাইন মারা গেলে তাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছে। মসজিদের কাছ থেকে দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লাঠিগুলো হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশের ডগ স্কোয়াড টিম।

সাত বছর আগে উত্তর প্রদশের রামপুর থেকে আজমিরে আসেন মাহির। তার মরদেহ রামপুরে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর



আনোয়ারায় প্রসূতি মায়েদের ভরসার নাম ‘মরিয়ম বেগম’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের বাসিন্দা মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৬৫) এলাকায় তার ধাত্রী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে। শুধু আশপাশেই নয়, পাশের কোনো গ্রামে মহিলার সন্তান জন্মের মুহূর্ত এলেই তার ডাক পড়ে। অথচ তার ডেলিভারির বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ নেই।

তিনি বলেন, আমার সহায়তায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কারও মৃত্য হয়নি। অবস্থা জটিল দেখলে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দিই। তবে আগে খুব বেশি ডাক পড়ত। এখন তেমন কেউ ডাকে না। কারণ এখন বেশিরভাগ মহিলার সিজারেই বাচ্চা হয়।

শুধু এই ধাত্রী নন, তার মতো অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অপ্রশিক্ষিত অনেক ধাত্রী। ফলে কমছে না নরমাল ডেলিভারি এবং মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে সিজার বা অস্ত্রোপচারে বাচ্চা জন্মদানের প্রবণতা।

ধাত্রী শব্দটি সবারই পরিচিত। প্রসবের দিন যত এগিয়ে আসে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ে প্রসূতি নারীদের। অনেকে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে চাইলেও বহু নারী ধাত্রীকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে মনে করেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ প্রসূতি নারী স্বাভাবিক প্রসবে বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন। এতে সুনাম কুড়াচ্ছেন এসব ধাত্রীরা। তবে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে প্রসূতি নারীসহ বাচ্চা ঝুঁকিতে থাকছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহজাদা সাইমুম ইফতেখার কাজিম উদ্দীন বলেন, আমাদের সমাজে ধাত্রীদের অনেক অবদান রয়েছে। এ ধরনের মানুষ সমাজের নিঃস্বার্থ উদাহরণ। তাদেরকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, গত ২বছরে আনোয়ারায় কোনো ধাত্রী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তবে আনোয়ারায় কিছু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী রয়েছে, তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তারা যদি প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাষ্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাট চাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাট চাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্তু পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

চাষিদের দাবি, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপদাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপদাহ। যা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


আরও খবর