আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

দিনাজপুরে ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটোর বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুর জেলার চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন সময়ে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় কৃষকেরা ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন নাবি জাতীয় টমেটো চাষ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক মো: নুরুজ্জামান রোববার দুপুর ২টায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকেদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এবারে জেলায় উন্নত নাবি টমেটো চাষ সফল ভাবে কৃষকেরা করতে সক্ষম হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছিল ১ হাজার হেক্টর জমিতে এই টমেটো চাষে। অনুকুল আবহাওয়া সুষ্ঠু পরিবেশ ও কৃষি বিভাগের অনুপ্ররণা থাকায় কৃষকেরা উৎসাহ পেয়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত ৫৬০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত টমেটো চাষ করে মোট ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ অর্জিত হয়েছে। বাজারে টমেটো চাহিদা থাকায় দিনাজপুর থেকে ঢাকা রাজধানীসহ সারা দেশে টমেটো পাইকারী ভাবে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে সরবরাহ হচ্ছে প্রতিদিন।

সূত্রটি জানায়, গত কয়েক বছর ধরে জেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। সাধারণত জানুয়ারি মাসের শেষে ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে টমেটো চাষ করা হয়। ৬০-৭০ দিন পর টমেটো পাকতে শুরু করে। এবার সময় উপযোগী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

সরেজমিনে জেলা সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের গাবুড়া বাজারে দেখা গেছে, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে খাঁচাভর্তি করে টমেটো নিয়ে বাজারে আসছেন। ভোর থেকেই চলছে বেচাকেনা। কৃষকরা দাম চাচ্ছেন ৬০০-৭০০ টাকা মণ। মানভেদে ৫৫০-৬০০ টাকা মণ কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অবশ্য বড় সাইজের বাছাইকৃত টমেটোর মণ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শুধু গাবুড়া বাজার নয়, সদরের মোস্তানবাজারেও প্রচুর টমেটো বেচাকেনা হয়। সকাল থেকে বাজারের দুই পাশের সড়কের কয়েক কিলোমিটারে টমেটোর খাঁচা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো কিনতে এসেছেন বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে অটোরিকশার পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪

দিনাজপুর সদর উপজেলা শেখপুরা গ্রামের আর্দশ কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) জানান, প্রতি বিঘায় টমেটো চাষ করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সেখান থেকে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি টমেটো বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় দেড়-দুই লাখ টাকা লাভ হয়। তবে গত কয়েক বছর লোকসান হয়েছে। এবার চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতেই দাম ভালো পাওয়ায় খুশি তারা। তবে দাম কমে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন অনেক কৃষক। শেখপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার দুই বিঘা জমিতে নাবি টমেটো চাষ করেছেন। গত তিন বছর লোকসান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার বাজারে দাম ভালো। প্রতি মণ ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। তবে শঙ্কায় আছি, শেষের দিকে যদি দাম কমে যায়, তাহলে লাভ বেশি হবে না। কারণ সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেশি। বর্গা জমি বেশি দাম দিয়ে নিতে হয়। এই দাম থাকলে আমরা লাভবান হবো।এবার আড়াই বিঘা জমিতে বাহুবলী জাতের টমেটো আবাদ করেছেন দিঘন গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর টমেটো চাষ করি। প্রতি বিঘায় চাষ করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। গত বছরগুলোতে দাম কম থাকায় তেমন লাভ হয়নি। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ৬০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করছি। আশা করছি, আগের বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো।

একই বাজারে টমেটো কিনতে আসা নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, টমেটোর এবার চাহিদা বেশি। নারায়গঞ্জে এসব টমেটো পাঠাচ্ছি। কিছুটা লাভ হচ্ছে। সামনের দিনে দাম কমলে একটু বেশি লাভ হবে।

জেলার সদরে বাহাদুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কমল রায় বলেন, খুচরা বাজারে ২০-২৫ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করছি। তবে বাছাইকৃত বড় সাইজের টমেটোর কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। চাহিদা বেশ ভালো। বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর জন্য ক্যারেটে টমেটো সাজাচ্ছেন শ্রমিকরা।

দিনাজপুর কৃষি বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়েছে। গত বছর জেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছিল। এবার সে তুলনায় ৫৬০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত টমেটো চাষ অর্জিত হয়েছে। গত ২ বছরে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪৫ দশমিক ১১ মেট্রিক টন। জেলায় এ বছর ১ হাজার ৫৬০ হেক্টরের বেশি জমিতে নাবি টমেটো চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

তিনি আরও বলেন, এই টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাগুলোতে যাচ্ছে। তবে কৃষকদের চাষের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, একই জমিতে যেন বার বার টমেটো চাষ না হয়। আলু এবং টমেটো সমগোত্রীয় ফসল হওয়ায় আলুর জমিতে টমেটো চাষ করলে ফলন ভালো হয় না। ফলে অন্য জমিতে চাষ করতে হবে। সব মিলিয়ে তিনি এবার দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো বাম্পার ফলন অর্জিত হয়েছে বলে দাবী করেন।


আরও খবর



ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

এ ঘটনার পর ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠান দুইটিতে তাদের মশলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে এ দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রফতানি করা হয়।

এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা ও এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলা, মোট এই চারটি প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘ সময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।


আরও খবর



পাবনার বেড়া ও সুজানগরে কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ অভিযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল বাতেন।

তিনি জানান, উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন স্থানীয় এমপি শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর পক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন।

বুধবার (৮ মে) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পায়না কেন্দ্রে রঞ্জনের অনুসারী ও বেলা পৌরসভার কাউন্সিলর কিরণের নেতৃত্বে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কেবলমাত্র হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় মোল্লাপাড়ায় ভোটারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা। কেন্দ্রে অপকর্ম করতে না পেরে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে রঞ্জনের ক্যাডার বাহিনী। বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আব্দুল বাতেন।

পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে এজেন্টদের বের করে দেয়ার চেষ্টা হলেও আমরা তা প্রতিহত করেছি। কেন্দ্রের বাইরে কোন ঘটনা ঘটলে সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।

পাবনার বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে। ভোটারদের বাধা দেয়ার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, সুজানগর উপজেলায় মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব। তবে বাধা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর



ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে এক ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার।

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী সঙ্গে সঙ্গে সেই পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করেন।

প্রত্যাহার হওয়া পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম নান্দিনা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভোটারদের অভিযোগ, যে প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা সে প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন নি তারা। পরবর্তীতে পোলিং অফিসার নিজে গোপন কক্ষে বুথের দুইটি বাটন চাপতে বলেন। সেই বাটন চাপলে ভোট অন্য জায়গায় পড়ার অভিযোগ তুলেন তারা।

এসময় প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন ভোটাররা। শেখ ফকরুল হুদা নামের এক ভোটার প্রশ্ন করেন, আমার ভোটের কি হবে। এই উত্তর দিতে পারেনি প্রিজাইডিং অফিসার।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।


আরও খবর