আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডিম নিয়ে যে ধারণাগুলো ঠিক নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ডিমের নানাবিধ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানে। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিশ্বজুড়ে ডিমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও ডিম নিয়ে মানুষের মনে রয়ে গেছে অনেক ভ্রান্ত ধারণা।

এ ধরনের কিছু প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে জানিয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।

ডিম রক্তের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে

অনেকে মনে করে থাকেন, ডিম মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ উচ্চমাত্রায় বৃদ্ধি করে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, সব ধরনের কোলেস্টেরল দেহের জন্য সমান ক্ষতিকর নয়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট নামক খারাপ কোলেস্টেরল দেহের রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। ডিমে এই ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের উপস্থিতি কম। তাছাড়া ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ আলাদা। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি। কোলেস্টেরল একেবারেই পরিহার করতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ নির্দ্বিধায় খাওয়া যেতে পারে। দিনে দুটো ডিমের সাদা অংশ দেহের প্রয়োজনীয় প্রোটিন চাহিদা মেটাতে সক্ষম বলে মত দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে ডিম ধোয়া

ডিমে সালমোনেলা নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এই ব্যাকটেরিয়ার ফলে পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি ও মাথা ব্যথাসহ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। প্রচলিত একটি বিশ্বাস আছে, ডিম ব্যবহারের আগে তা ধুয়ে নিলে এই ব্যাকটেরিয়া চলে যায়। কিন্তু এ ধারণা ভুল। সালমোনেলা থাকে ডিমের ভেতরে। তাই খোসাসহ ডিম ধুলে তা যাওয়ার কথা নয়। তবে ডিম রান্না করে নিলে ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

বেশি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

অনেকেই মনে করেন, দিনে একটির বেশি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনে তিনটি ডিম স্বাস্থ্যের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ। ডিম প্রোটিনের একটি আদর্শ উৎস। তাই প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য ডিম আবশ্যিক বলে মনে করেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। কেউ যদি নিরামিষাশী হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই ডিম খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।

লাল ডিম ভালো, নাকি সাদা ডিম?

অনেকে মনে করেন, লাল ডিম ও সাদা ডিমের পুষ্টিগুণ ভিন্ন। ডিম লাল হবে নাকি সাদা, তা নির্ভর করে মুরগির পিগমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতার উপর। প্রকৃতপক্ষে সব রঙের ডিমের পুষ্টি উপাদান একই।

কাঁচা ডিমে প্রোটিন বেশি

অনেকে মনে করেন, রান্না করা ডিমের তুলনায় কাঁচা ডিমে বেশি প্রোটিন থাকে। কিন্তু এর কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। বরং কাঁচা খেলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। 

ডিম ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়

ডিম এবং দুধ, দুটোই প্রোটিনের আদর্শ উৎস। তবে ডিমের মধ্যে প্রোটিন ছাড়াও থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন ও আয়োডিন। অপরদিকে দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা দেহের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাই সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে এক গ্লাস দুধ প্রোটিনের পাশাপাশি অন্যান্য দরকারি পুষ্টি উপাদানগুলোর চমৎকার সামঞ্জস্য সৃষ্টি করে। ডিম ও দুধ একসঙ্গে খেতে কোনোই সমস্যা দেখেন না বিশেষজ্ঞরা।

নিউজ ট্যাগ: ডিম

আরও খবর



জয়পুরহাটে আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় শুনে আসামী পক্ষ অজ্ঞান হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামকে আসামীরা শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পারিবার পুরাতন কবরে লাশ লুকিয়ে রেখে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়রা ওই কবরে জীবজন্তু খাওয়া অবস্থায় তার লাশের পা দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মোঃ শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর



মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপদাহ। অতীতে এপ্রিল মাসে দেশে এত দীর্ঘ সময় টানা চরম উষ্ণতার বিস্তার দেখা যায়নি। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপপ্রবাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহ। গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটিই।

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে। অধিদপ্তর বলছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের ব্যপ্তি বেড়েছে, অন্তত ৩৫ জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য দেন। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে। গরমের তীব্রতা না কমায় রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর



দেশে বেকারের সংখ্যা কত, জানাল বিবিএস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এছাড়া পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য-উপাত্ত উঠে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।


আরও খবর