আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার কাছে ঘোরাঘুরি

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সুস্থ থাকতে মন ভালো রাখা জরুরি। তাই মনেরও যত্ন চাই। এত এত ব্যস্ততার ভিড়ে যখন নিজেকে সময় দেওয়া একেবারেই অসম্ভব তখন মনের কথা ভাবার সময় কোথায়। তবে সুস্থ থাকতে সময় দিতে হবে নিজেকে। আর নিজেকে দেখাশোনার ক্ষেত্রে ঘোরাঘুরির বিকল্প নেই। তাই যাদের হাতে সময় একেবারেই স্বল্প তারা ঘুরে আসতে পারেন ঢাকা কাছাকাছি জায়গাগুলো থেকে। এতে আপনি যেমন নিজের জন্য সময় বের করতে পারবেন তেমনি ঢাকার আশপাশের জায়গাগুলো থেকেও সময় কাটিয়ে আসতে পারবেন প্রিয় মানুষের সঙ্গে।

পানাম নগর: আপনি যদি স্মৃতির পাতা উলটেপালটে দেখতে চান আর সঙ্গে চান নিরিবিলি সময় কাটাতে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরেই সোনারগাঁ পানাম নগর থেকে। পৃথিবীর একশটি ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গার মধ্যে পানাম নগর অন্যতম। ঈশা খাঁর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল এ জায়গাটি। কালের বিবর্তনে যা রূপ নিয়েছে এ ধ্বংসস্তূপে। তবে এর মনোরম পরিবেশ আর হাজার বছরের ঐতিহ্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমে এ জায়গাটিকে ঘিরে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: মানিকগঞ্জের এ জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম। পুরো সাতটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি এ জমিদার বাড়ি আর এর মনোরম পরিবেশ আপনার ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত। নিজে কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে খুব সহজেই একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। জমিদার বাড়ি যাওয়ার আগে ঘুরে দেখতে পারেন নাহার গার্ডেন।

গোলাপ গ্রাম: নামের মতোই যতদূর চোখ যায় কেবল চোখে পড়বে নানা রঙের গোলাপ আর সবুজের হাতছানি। সাভারের বিরুলিয়ার গ্রামগুলো যেন এক একটা আলাদা আলাদা ফুলের রাজ্য। কিছুটা আলাদা আমেজে সময় কাটাতে চাইলে কিংবা আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন তবে ঘুরে আসতে পারেন জায়গাটি থেকে।

মহেরা জমিদারবাড়ি: তিনটি আলাদা স্থাপনা সঙ্গে সুনিপুণ কারুকাজের জন্য এটি টাঙ্গাইলের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান। এর স্থাপনার জন্যই ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে পছন্দের একটি জায়গা এ মহেরা জমিদারবাড়ি।

মৈনট ঘাট: ঢাকার দোহারে মৈনট ঘাট মিনি কক্সবাজার নামেও পরিচিত। এর সমুদ্রের বেলাভূমি আর পদ্মার উত্তাল ঢেউ আপনাকে কিছুটা হলেও কক্সবাজারের কথা ভুলিয়ে দেবে। খাবার-দাবারের নানা স্টল কিংবা ছোট ছোট নানা টুকিটাকি জিনিস পেয়ে যাবেন আপনি কাছের বাজারেই। তাই সারা দিন খুব সহজেই কাটিয়ে আসতে পারেন এ দর্শনীয় জায়গাটি থেকে।

নিউজ ট্যাগ: পানাম নগর

আরও খবর



বাউফলে ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় একটি পরিত্যক্ত টিনশেড দোতালা ঘরচাপা পড়ে করিম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) রাতে ঝড়ের সময় বৃদ্ধ করিম পরিত্যক্ত ওই ঘরে আশ্রয় নেন এবং রাতের যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়ায় ঘর ভেঙে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাউফল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের উপজেলা পরিষদ এলাকার কাছে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত বৃদ্ধের বাড়ি পটুয়াখালী বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি গ্রামে। তিনি ভিক্ষা করতেন। পরিত্যক্ত ঘরটির মালিক বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকাদার। তিনি ঢাকা থাকেন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাউফলের ইউএনও মো. বশির গাজী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। মরদেহ উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ৭২তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন আজ (২৯ মে)। বেঁচে থাকলে আজকের এই দিনে ৭২ বছরে পা রাখতেন তিনি। একাধারে মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকহৃদয় ছুঁয়ে গেছেন এই অভিনেতা। অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয় তাকে।

অসাধারণ সৃষ্টিকর্মে সবার হৃদয়ে এখনও অমলিন হয়ে আছেন হুমায়ুন ফরীদি। শুরুতে মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয়ে করে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা; যা আজও দাগ কেটে আছে তার ভক্তদের মনে।

আশির দশকে নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের হুলিয়া নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন হুমায়ুন ফরীদি। পরবর্তীতে বাংলা সিনেমার জগতে নিজেই এক অধ্যায় হয়ে ওঠেন তিনি। একে একে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।

মাতৃত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ুন ফরীদি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।

১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে।

১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হুমায়ুন ফরীদি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০। হুমায়ুন ফরীদির প্রয়াণে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে ঢালিউড চলচ্চিত্রাঙ্গনে, সেটা অপূরণীয়।

হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে আনন্দ অশ্রু, ভণ্ড, ঘাতক, ব্যাচেলর, জয়যাত্রা, শ্যামল ছায়া, টাকার অহংকার, অধিকার চাই, সন্ত্রাস, দহন, লড়াকু, দিনমজুর, বীর পুরুষ, বিশ্ব প্রেমিক, আজকের হিটলার, দুর্জয়, শাসনসহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে।

এছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো কোথাও কেউ নেই, নিখোঁজ সংবাদ, হঠাৎ একদিন, পাথর সময়, সংশপ্তক, সমূদ্রে গাংচিল, কাছের মানুষ, মোহনা, নীল নকশাল সন্ধানে, দূরবীন দিয়ে দেখুন, ভাঙনের শব্দ শুনি

নিউজ ট্যাগ: হুমায়ুন ফরীদি

আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরগুনার পাথরঘাটায় দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসেন ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রার্থীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে উন্নাত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে আহতদের পক্ষে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির সংবাদ সম্মেলনে করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় ও পরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনা ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আল মামুন।

বরিশালের চিকিৎসাধীন হলেন, মোঃ রাকিব (২৮), তানভীর আহম্মেদ (৩৩), সবুজ গাজী (২৭), ফয়সাল আহম্মেদ (২৮), চয়ন (১৮), আহাদ হাওলাদার (১৬), তানভীর (১৭), শাহ আলী (২৯), সোলাইমান (২৮), সানি (১৬), ইউসুফ (২৮), ইফতি (১৯)। এরা সবাই কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থক। এছাড়া আরও আহত হয়েছেন দেয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইন ও তার সমর্থক সানি (২০)।

আটককৃতরা হলেন, মোঃ নাইমুল ইসলাম-(২১), মোঃ মনির হোসেন-(৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান-(২৫), মোঃ মিজানুর রহমান-(২৫), মোঃ ইব্রাহিম -(২৫), মোঃ শাহাদাত হোসেন-(২৪), মোঃ আবু মুসা-(২৬), মোঃ শান্ত -(২৩), মোঃ খোকন মিয়া-(৩৮)। এরা সকলেই দেয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইনের সমর্থক।

সংবাদ সম্মেলনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির অভিযোগ করেন, কাপ-পিরিচ প্রচারণা চলাকালে দোয়াত-কলম সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ও হতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা সমাধান করে দেয়। এর পরপরই এনামুল তার লোকজন নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত ভাবে সশস্ত্র হামলা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে পুনরায় অতর্কিত হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, এ হামলার পিছনে কলকাঠি নাড়ছে দেয়াত-কলম এর প্রার্থী এনামুলের ভাই এএসপি নাজমুল ও সাবেক এমপি শওকাত হাসানুর রহমান রিমন। অভিযোগের বিষয় দেয়াত-কলম এর প্রার্থী এনামুল হোসাইনকে একাধিক বার ফোন দিলেও সে রিসিভ করেন।

এ বিষয় পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সন্দেহজনক ৯ জনকে আটক করা আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা না করেনি। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাথরঘাটা

আরও খবর



ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। এই বঞ্চনা ও দেশের প্রকৃতির বিপর্যয়ে জনদুর্দশারআশংকায় প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী জনগণকে সাথে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের নিকট প্রতিবাদ করেন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন থেকে ব্যাপক মানববিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচিত হতে থাকে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আন্তর্জাতিক আইন—কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকুলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে উঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে।’


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২৫ বছর আগে নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অবশেষে সেই মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকি ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এদিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আদনান সিদ্দিকী, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়।


আরও খবর