আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় সিলেট-রাজশাহীর ভোটে চোখ ইসির

প্রকাশিত:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে শুরু হওয়া ভোট সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবীব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর।

রাজশাহী সিটিতে তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৭৬ জন ভোটার। সিলেট সিটিতে এ সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭।

ইসি জানায়, রাজশাহী সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি, ভোট কক্ষ রয়েছে এক হাজার ১৫৩টি। এই সিটি নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে এক হাজার ৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে। অপরদিকে সিলেট সিটির ৪২টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯০টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৩৬৭টি। এ নির্বাচন এক হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।

২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩৬৮টি সিসি ক্যামেরায় দুই হাজার ৫২০টি ভোট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে এভাবে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভোট শুরুর পর এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সবশেষ বরিশাল, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা পাঁচটি উপনির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করছে কমিশন।


আরও খবর



চলছে শেষ দফার ভোটগ্রহণ, সবার নজর মোদির আসনে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়; চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

এদিন ভোটগ্রহণ হচ্ছে দেশটির আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ৫৭টি লোকসভা আসনে। এর মাধ্যমে ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হবে।

এই দফার ভোটে সবার নজর নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারানসীর দিকে। তৃতীয়বারের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের বারানসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোদি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই।

সপ্তম ও শেষ দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৬ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫.২৪ কোটি, নারী ভোটার ৪.৮২ কোটি। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিন হাজার ৫৭৪ জন। এতে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। ভোটদানের জন্য এ দফায় গোটা দেশজুড়ে ১.০৯ লাখ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শেষ দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে ১৩ টি করে আসন, পশ্চিমবঙ্গে ৯টি, বিহারে ৮টি, ওড়িশায় ছয়টি, হিমাচল প্রদেশে চারটি, ঝাড়খন্ডে তিনটি এবং চন্ডিগড়ে একটি আসনে। এ দফায় দেশ জুড়ে ৯০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে অন্যতম বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর (হামিরপুর), রবি শংকর প্রসাদ (পাটনা সাহিব), বিজেপি প্রার্থী ভোজপুরি অভিনেতা রবি কিষান (গোরখপুর), বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা আরজেডি প্রার্থী মিসা ভারতী (পাটলিপুত্র), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা (কাংড়া), বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (মান্ডি), তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মমতা ব্যানার্জির ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি (ডায়মন্ড হারবার), টলিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (যাদবপুর), বিজেপির রেখা পাত্র (সন্দেশখালি), শিরোমণি আকালি দলের প্রার্থী হরসিমরাত কৌর বাদল (ভাতিণ্ডা)।


আরও খবর



পোল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু কাপ-২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে, ২০২৪) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে পোল্যান্ডকে ৭টি লোনাসহ ৭৯-২৮ পয়েন্ট হারিয়ে টানা চার ম্যাচ তুলে নেয়। পাশাপাশি এ জয়ের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে (গ্রুপ-এ) শেষ চার নিশ্চিত করে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ৩৮-১৫ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল।

দারুণ ক্রীড়াশৈলী দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তারকা রেইডার আরদুজ্জামান মুন্সি। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে তিনি একাই ২৫ পয়েন্ট তুলে নেন।

আগামীকাল শুক্রবার (৩১ মে) গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে লাল-সবুজরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

আজ ম্যাচের শুরু থেকেই পোলিশদের চেপে ধরেন মিজান, আরদু, আল-আমিন, রাজিব, ইয়াসিনরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রথম লোনা তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ সময় স্বাগতিকরা ১০-১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। ষষ্ঠ মিনিটে দ্বিতীয় লোনার দেখা পায়। ফলে লাল-সবুজরা এগিয়ে যায় ১৯-২ পয়েন্টে। এরপর ১৪ মিনিটে তৃতীয় লোনা পায় বাংলাদেশ। এ সময় দুদলের পয়েন্টের পার্থক্য ছিল ৩০-১০। প্রথমার্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি এ আসরে ইউরোপের একমাত্র প্রতিনিধি পোল্যান্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই (২১ মিনিট) চতুর্থ লোনা তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের চেয়ে ৪১-১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে ছিল আব্দুল জলিলের শিষ্যরা। ২৯ মিনিটে পঞ্চম লোনাসহ ৫১-২১ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৪ মিনিটে ষষ্ঠ লোনা স্বাগতিকদের। এ সময় দল এগিয়ে ছিল ৬১-২৪ পয়েন্টে। ৩৯ মিনিটে সপ্তম লোনা লাভ করে বাংলাদেশ। এ সময় ৭১-২৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

পোল্যান্ডকে বিপক্ষে বড় জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, গ্রুপপর্ব থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছি। যা প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। পোল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় দলকে আরও উজ্জীবিত আত্মবিশ্বাসী করেছে। আগামীকাল গ্রুপপর্বে আমাদের শেষ ম্যাচ রয়েছে নেপালের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেও জিততে চাই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে যেতে চাই। আশাকরি টানা চার ম্যাচের মতো নেপালের বিপক্ষেও আমরা জিতব।


আরও খবর
নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪

আবারও বিশ্বরেকর্ড রোনালদোর

মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪




রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ আরসার ৪ সন্ত্রাসী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৯ মে) রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-২০ এলাকার পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল।

আটকরা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইস ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

মো. ইকবাল বলেন, গোপন সংবাদে খবর ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার করার লক্ষ্যে আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ- হ্যান্ডগ্রেনেডসহ অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম রবিবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকের কাঁটাতারের বাইরের গোয়াম বাগান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরসার চার শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, দুইটি লম্বা কিরিচ, চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, ছয় রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি গুলির খোশা ও দুইটি কার্তুজের খোশা, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল ও দুইটি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার লিজকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার নারিশা মৌজার ২২নং খতিয়ানের ১৩৮ নং এস, এ দাগের এবং ১২৬, ২৫৪ ও ২৫৫ আর, এস এর দাগের ৫১ শতাংশ জমি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খলীল সবুজের নামে লিজ থাকার পরেও স্থানীয় লুৎফর রহমান ও তার ছেলে রাহাত বেপারী, আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম ও তার ছেলে নাদিমুল ইসলাম ও তাদের আত্মীয় আব্দুর রউফের চার ছেলে মো. আমিন, হাসান আল মাহমুদ লিটন, আবু সাঈদ, আবু বকর (আবুল কালাম) এর ছেলে সামিউ সম্মিলিতভাবে সরকারি সাইনবোর্ড ভেঙে বাঁশের খুটি দিয়ে ঘর তুলার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন সময়ে জাল দলিল ও জাল নামজারি তৈরি করে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে।

বুধবার (২২ মে) বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খলীল সবুজ বলেন, আমিন গং এরা দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের উপর জুলুম, লাঞ্ছনা ও অত্যাচার করে আসছে। গত ২৯ এপ্রিল নারিশা বাজারে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ মেরে ফেলার চেষ্টা করে, তখন স্থানীয়রা তা প্রতিহত করে। পরে আমি এবিষয়ে দোহার থানায় অভিযোগ করি। বিগত সময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুপারিসক্রমে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার আমাকে ৫১ (একান্ন) শতাংশ জমি লিজ দেয়, সেখানেও আমাকে যেতে দেয়নি এই সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা। তারপর গত ৮ মে আমার সেই জমিতে থাকা সরকারি সাইনবোর্ড ভেঙ্গে বাঁশ দিয়ে ঘর তুলে।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার লিখিত পেয়ে পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খান ২২/৭৭ নথিভুক্ত ফাইলটি নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইতোপূর্বে দোহার সদর মেঘুলা ভূমি অফিসার মো. মিজানুর রহমান তদন্ত করেন।

হামলার বিষয়ে ফুলতলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসীম জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তার উপর হামলা চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায় যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খলীল সবুজ ১৯৭১ সালে বিএলএফ মুজিব বাহিনী ভারতের আসাম রাজ্যের হাফলং এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় চর বাঁউশিয়ায় শহীদ কমান্ডার একেএম নজরুল ইসলাম কিরনের সাথে সম্মিলিতভাবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিকায় তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও স্বাধীনতার চেতনা উজ্জিবিত রাখার লক্ষ্যে কাগজে কলমের লেখক ও গবেষক।


আরও খবর



সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান, দৈনিক মিলবে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কৈলাসটিলার ৮ নম্বর অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপটির তিন হাজার ৫০০ মিটার খনন শেষে সম্প্রতি গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে অনুসন্ধানকারী টিম। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন এ কূপ থেকে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী তিন মাসের মধ্যে এখান থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।

এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কৈলাসটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

কৈলাসটিলার ৮ নম্বর কূপ নিয়ে গত সাত মাসে সিলেটে চারটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিললো। গত ২৭ জানুয়ারি রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ মিলিয়ন ঘনফুট। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। তারও আগে ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাসটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্রে জানা গেছে, কৈলাসটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। খনন কাজ করছে বাপেক্স। এরইমধ্যে কূপটির তিন হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪৪০ থেকে ৩৪৫৫ মিটার গভীরতায় নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। এখন পরীক্ষা চলছে। এ কূপ থেকে প্রাথমিকভাবে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৈলাসটিলার ৮ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছি। বর্তমানে সেখানে আরও পরীক্ষা চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। আশা করছি, ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে আরও বেশি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবো।

এরইমধ্যে কূপটির ৩৫০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরমধ্যে ৩৪৪০ থেকে ৩৪৫৫ মিটার গভীরতায় নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। গ্যাসের চাপ রয়েছে ৩৩৭০ পিএসআই। আগামী তিন মাসের মধ্যে এখান থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

সিলেটের চারটি ফিল্ডের ১২টি কূপ থেকে প্রতিদিন ১১৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষে সেই উৎপাদন ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে বাড়ার আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আর সরকারের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এ কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব।


আরও খবর