আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা-১ আসনে বিপুল ভোটে এগিয়ে সালমান এফ রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০টি কেন্দ্রের ভোটে বেসরকারিভাবে এগিয়ে আছেন ঢাকা ১ আসনের নৌকার প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)।

রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই গণনা শুরু হয়। এতে দেখা যায়, ঢাকা ১ আসনের ৩০টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৩৮৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন সালমান এফ রহমান। এই আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ২৭৬টি ভোট।

ঢাকা-১ আসনে মোট কেন্দ্র ১৮৪টি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৩ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের ২৯৯ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা চলছে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে শাইনপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসে সংবাদকর্মীদের কাছে সালমান এফ রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার করছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম। তিনি অনিয়মের কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না। তিনি অভিযোগ তুলে বলেছেন, তাদের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। তো সেই এজেন্ট কোথায়? সেই এজেন্ট কিন্তু লাপাত্তা। সেই এজেন্টের কিন্তু কোনো খোঁজ নেই। তো কাকে বের করে দেয়া হলো।

তিনি আরও বলেন, প্রমাণ থাকলে নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানান। তারাই ব্যবস্থা নেবে।

গতবারের মতো এবারও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন- এমন অভিযোগ করে সালমান এফ রহমান বলেন, তারা দুপুর ১২টা থেকে ১টার দিকে অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বর্জন করবেন। এমনটাই মনে হচ্ছে।

নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে কতটা আশাবাদী, সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত ৫ বছর ঢাকা ১ থেকে আমি অনেক কাজ করেছি, আমি আশা করি, জনগণ আমাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। জনগণের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।

তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও উল্লেখ করেন ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমান।

উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার দেশের পরবর্তী শাসক নির্বাচন করবেন। বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি দল। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন, যা শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হয়।


আরও খবর



পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। প্রার্থী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব মন্ত্রী-এমপির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পাশাপাশি বেপরোয়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও যে কোনো সময় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা আজ সোমবার রাতে শেষ হচ্ছে। এসব এলাকার প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী বুধবার (৮ মে) উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।

জানা গেছে, প্রথম ধাপের ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৪১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পরবর্তী ধাপগুলোর জন্যও একইভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে ইসি।

নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। সে অনুযায়ী আজ সোমবার মধ্যরাতেই প্রথম ধাপের প্রচার শেষ হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচার ঘিরে অনেক উপজেলায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীরাও এরই মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোট নিয়েও অনানুষ্ঠানিক প্রচারে রয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আর নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো উপজেলায় সংঘাত-সহিংসতা এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। আর নানা ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন ও অভিযোগ আসছে নিয়মিত। এর মধ্যে অনেক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসিতে। ইসি থেকে বারবার বিধি মেনে প্রচারের কথা বলা হলেও মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই তা অবজ্ঞা করে চলেছেন। ভোটারদের মন জয় করার পরিবর্তে পুলিশ প্রশাসন ও মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া প্রভাবশালীরা।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অভিযোগ উঠেছে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর পক্ষে সরাসরি মাঠে রয়েছেন মন্ত্রিপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল। ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর মন্ত্রী ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন।

মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, এমপি তার ছেলেকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

অভিযোগ এসেছে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এ ডি এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য ঝিনাইগাতী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায়ের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছেন।

চাঁদপুরের মতলব উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত দিয়েছেন ওই উপজেলার একজন প্রার্থী।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিমকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভায় সরাসরি ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম। এ-সংক্রান্ত একাধিক অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং স্থির চিত্রসহ নির্বাচন কমিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাফর আলম।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ওসির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী (সেলিম)। অভিযোগে তিনি বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে চেয়ারম্যান আতাহার ইশরাক চৌধুরী সাবাব ওরফে সাবাব চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। আর এ কাজে ওসি সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তার এমন অভিযোগের পর শনিবার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যেই বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ও বিতর্ক ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বর্তমান কমিশন। ওই নির্বাচনে সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় দেয়নি ইসি। শোকজ, তলব, তিরস্কার ও মামলা করা হয় তাদের অনেকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কঠোর পদক্ষেপের পরও বাগে আনতে না পারা এমপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের মতো সর্বোচ্চ পদক্ষেপও নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এবারের উপজেলা নির্বাচনেও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে। গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে আসছে মাঠের সেসব তথ্য। ফলে বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নির্বাচনের সেই ফর্মুলাই বেছে নিচ্ছে কমিশন। সম্প্রতি ডিসি-এসপিসহ মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটি। ওই বৈঠকে ডিসি-এসপিসহ অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নির্বাচনী মাঠের চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় বেশিরভাগ বক্তাই মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া এমপিদের লাগাম টানতে এরই মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরও অনেকেই কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার তথ্য আসছে। এ অবস্থায় মাঠ প্রশাসনের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তার কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এবার ৪৭৪টিতে চার ধাপে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন জমা ও প্রত্যাহার শেষে দ্বিতীয় ধাপের ১৬০ উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনের জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শেষ হয়েছে। এ ধাপের তপশিল অনুযায়ী, গতকাল রোববার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আজ সোমবার থেকে ৮ মে পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল চলবে। আপিল নিষ্পত্তি হবে ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ২৯ মে এ ধাপের ভোট গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৫ জুন। তপশিল অনুযায়ী, শেষ ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে।


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রশিদ শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আব্দুর রশিদ শিকদার। রোববার আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আব্দুর রশিদ শিকদার। আজ আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রশিদ শিকদার বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। আব্দুর রশিদ শিকদার লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুরান ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি এম শোয়েব এবং বেজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাকি মল্লিক।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রশিদ শিকদার ও বি এম শোয়েবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

নির্বাচন অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


আরও খবর



মেঘনায় গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের দুই দিন পর কিশোর আলিফ প্রধানের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে হোসেন্দী এলাকার সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলিফ গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মোহাম্মদ ফয়সাল প্রধানের ছেলে। সে এবার গজারিয়া ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে অদূরে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ ভেসে উঠার সংবাদ পেয়ে নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।


আরও খবর



চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীক চাপা দেয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।


আরও খবর