আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি নই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসি। মাত্র পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমি গ্যাস বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। ফলে পরে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। এটা আমার পক্ষে সম্ভব না, কারণ আমি কিন্তু শেখ মুজিবের মেয়ে। 

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলি দিতে রাজি নই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দরিদ্র ছিল। পরনে ছিন্ন কাপড়, পেটে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতিত মানুষ। 

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এ দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায়। অস্ত্র হাতে নিয়ে বন্দুকে নলের সাহায্যে সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা মানুষের ভাগ্য গড়তে আসেনি বরং আমাদের বিজয়ী পতাকা নষ্ট করা, স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা, আমাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধ্বংস করার জন্যই তাদের যাত্রা ছিল। নিজেরা অর্থশালী হয়েছে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, ঋণ খেলাপির কালচার শুরু করেছিল, তার ওপর সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীসহ আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, খুন করেছিল। এখনও সেই পরিবারগুলো তাদের আপনজনকে খুঁজে বেড়ায়। ২১টা বছর লঙ্ঘন মানুষ এভাবে কষ্ট পেয়েছে।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের উদ্বোধন করেন। এ স্টেশনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়।

কার্যাদেশ দেয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই হিসেবে অনুমোদানের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হল। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। পরে সম্মিলিত ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

ফল জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

নিউজ ট্যাগ: এসএসসি

আরও খবর



যারা বলে বিমান লাভে নাই, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক: বিমানের এমডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি শফিউল আজিম বলেছেন, যারা বলে বিমান লাভে নাই, আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক। বিমানে গত ১০ বছরে ৮ বছরই লাভ ছিল। তবে দুই বছর লস হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) এক এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এমডি শফিউল আজিম বলেন, ওই দুই বছরের এক বছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অঙ্কের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল। তাছাড়া গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুইটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে?

তিনি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুইটা প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথম প্রস্তাবে দুইটা কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। তবে আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো বিমান কেনার দরকার নাই। পরে আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের ৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।

এমডি শফিউল আজিম বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনা হবে। আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১ টির মধ্যে ১৬ টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।

এমডি বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি সে কারণে আমরা ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।

বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনা-বেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যে এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।

এমডি থাকা অবস্থায় নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য নয়। আমি খুব ভাগ্যবান, বিমানবন্দরে কাজ করার সময় কোনো পর্যায় থেকে চাপ আসেনি। আমি আমার অথরিটিকে শতভাগ ব্যবহার করতে পেরেছি। চেষ্টা করলে বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইন্সের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

বিমানে অল্প সময়ের মধ্যে এমডি ও সিইও পরিবর্তন হয়। বিমানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি এমডির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে এমডি বলেন, বিমানের হিউম্যান রিসোর্স ও টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাড় করানোর গেলে এমনিতেই কাজ হবে। আমি এসব সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাড় করানোর চেষ্টা করেছি। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।

তিনি বলেন, আমার সুপারিশ থাকবে যারা বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে কাজ করছে সেখানে যেন বয়স বিবেচনা না করা হয়। কারণ টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। বিমানকে সরকারি অফিসের মনমানসিকতা প্র‍্যাক্টিস করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সব কিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।

আপনার কোনো আক্ষেপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দায়িত্বপালনের সময়ের মধ্যে যদি বিমানের বহরে ৪ টা এয়ারক্রাফট অ্যাড হতো, তাহলে খুবই খুশি হতাম। আমি চাইতাম ৫০টা এয়ারলাইন্সের মালিক হোক।

মতবিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সহ-সভাপতি রাজীব ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কাউসার ইমনসহ এটিজেএফবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমাল গভীর নিম্নচাপে পরিণত, দেশজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অদিদপ্তর। সোমবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ১১টায় আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে চলছে তীব্র ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। ফলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকেছে জোয়ারের পানি। এ ছাড়া ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়ছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। এরইমধ্যে রেমালের আঘাতে পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রেমালের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। রাজধানীতেও বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। সোমবার সারা দিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১২৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়।


আরও খবর



ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন কাদের মির্জা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বড় ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় জিডি করেন তিনি। তারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধেও জিডি করেছেন আবদুল কাদের মির্জা।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বাদল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তারা দুজনই কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।

কাদের মির্জা বলেন, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল ও শাহাদাত হোসেনের অনুসারীরা গত কয়েক দিন ধরে একটি নম্বর থেকে আমিসহ আমার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতাদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী দাগনভূইঞা, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া এনে কোম্পানীগঞ্জের শান্তির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান। তিনি বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে নানা তৎপরতা চালিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

জিডিতে ছোট ভাই শাহাদাতের বিষয়ে কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যা হামিদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, যে নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। জিডির বিষয়টি পাল্টা অভিযোগ তোলার পাঁয়তারা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, মেয়র কাদের মির্জার আবেদনটি সাধারণ ডায়েরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বন্ধ হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচলকারী বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করে দিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রেন আর চলবে না, যদিও ১০ জুন পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচলের কথা ছিল।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ৩ ও ৪ ট্রেনটি ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হলো।

গত বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যটক এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুটি ট্রেনের প্রতিটিতে ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয় চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্য। ঢাকা থেকে পরপর দুটি ট্রেন চালু করলেও চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন দেয়া হয়নি। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ ক্ষুব্ধ ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজ ট্রেন চালুর দাবির প্রেক্ষিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন দেওার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ৮ এপ্রিল এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। চালুর পর থেকে এই ট্রেন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যাত্রীদের চাপে এরপর দুই দফায় বিশেষ ট্রেনের সময় বাড়িয়ে ১০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে নতুন করে আর সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ তালুকদার বলেন, এই ট্রেন তো ১০ জুন পর্যন্ত চলার কথা। এটি স্থায়ী করার পাশাপাশি আরেকটি নতুন ট্রেন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু তা না করে বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করে দিল। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ ট্রেনে করে যাতায়াতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্ত খুবই হতাশা ও দুঃখজনক।


আরও খবর