আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশে উন্নতি হয়েছে বলেই যানজট বেড়েছে: তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত:সোমবার ১১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে বলে যানবাহন বেড়েছে। এতে যানজটও বেড়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা ইউলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত অসহনীয় যানজট: সমাধান কী? শীর্ষক ডুরা সংলাপে’ মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার টানা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এ কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এই ১৩ বছরে অনেকগুলো উন্নতির কারণেই ট্রাফিক সিস্টেমটা আমাদের কাছে একটা মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক সমস্যা নেই পৃথিবীতে এমন জায়গা নাই। আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তা মাথায় রেখে সমাধানের চিন্তা করতে হবে।’

এর আগে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে একটি বিলের ওপর একটি আলোচনায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় বেড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সাড়ে চার হাজার ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশ হবে। তখন এর বহুমুখী প্রভাব পড়বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

আলোচনায় বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ঢাকায় অনেক মেগা প্রজেক্ট করা হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সেগুলো কাজে আসেনি।’

তিনি বলেন, আমি অনেক বিনিয়োগ করতে পারি, কিন্তু রাস্তা ঠিক নেই। ভূমি ব্যবহারের পথ আমরা রাখিনি। এসব কারণে আমরা এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছি না। সমস্যার সমাধানে গণপরিবহনের অবকাঠামো বানাতে হবে। ফ্যাঞ্চাইজির আওতায় বাস চালাতে হবে।

স্থপতি মোবাস্বের হোসেন বলেন, ১১৪ জন সচিব, অতিরিক্ত সচিবদের যদি বিশ্বমানের অত্যাধুনিক বাস বা মিনিবাসে করে সচিবালয়ে নিয়ে আসা হয় তাহলে ওই ১১৪টি গাড়ি রাস্তায় বের হবে না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা বাস্তবায়নে সবাইকেই কাজ করতে হয়।

এতে ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, যানজট ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. আসাদুর রহমান মোল্লা বক্তব্য রাখেন।

সংলাপে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, সমন্নিত পদক্ষেপ না নিলে ঢাকার সমস্যা কখনোই সমাধান হবে না। এ জন্য আমাদের দুর্নীতি কমাতে হবে। দুর্নীতি কারা করে এটা সবাই জানে। এসব থামানো গেলে বর্তমানে রাস্তা যা আছেম তা দিয়েও যানজট সমস্যার সমাধান সম্ভব। আরেকটি বিষয় হচ্ছে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন করা। এছাড়া লাখ লাখ রিকশা দিয়ে আধুনিক নগরী চিন্তা করা যায় না।’

তিনি বলেন, গণপরিবহন নিয়ে ভাবতে হবে। একটা স্কুলে এক হাজার শিক্ষার্থী হলে এক হাজার গাড়ি রাস্তায় বের হচ্ছে। সর্বশেষ বলবো, বাচ্চাদের ট্রাফিকের দায়িত্ব দিয়ে দিন। নিরাপদ সড়ক নিয়ে যখন বাচ্চারা আন্দোলন করছিল, তখন দেখেছি ট্রাফিক সিস্টেম ভালো চলেছে। কারণ তারা ট্রাফিক না মানাদের ধরেছে। তারা ধরেছে কারা বেআইনি গাড়ি চালাচ্ছে। কারা সিগনাল মানছে না, কারা ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে। তারা জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসেছিল। জবাব দিহিতার আওতায় আনা গেলে যানজট অর্ধেক কমে যাবে।’


আরও খবর



অতিতীব্র তাপদাহে ফের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। পুড়ছে পুরো দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ দফায় বাদ পড়ছে সিলেট অঞ্চল। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু গরমের তীব্রতা না কমায় আজ থেকে ৫ম দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শুরু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দিন দিন এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ বাড়ছে আর কমছে বজ্রঝড়ের সংখ্যা। চলতি এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ৭-৮টি কালবৈশাখী-বজ্রঝড় হয়। কিন্তু এই বছর হয়েছে মাত্র একটি। এবার এ ঝড়ের সংখ্যা সামান্য। যা হয়েছে সিলেট বিভাগেই।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কত, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এছাড়া সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটকারী আইনজীবী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।


আরও খবর



চাকরি দেওয়ার নামে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় দম্পতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। জাহিদুল ইসলাম কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি পরিবার নিয়ে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন আবু হেনা ফুল মিয়া (৪৬) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। তারা জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা মোস্তারী জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করেন। তারা সরদারপাড়া মহল্লার একটি পাঁচতলার বাসার তিনতলায় ভাড়া থাকতেন। এ সুবাদে একই মহল্লার আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর তারা জাহিদুল ইসলামকে এসেনসিয়াল ড্রাগস ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেখান। তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার ৬ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ লাখ এনে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা আর চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত দিতে তালবাহনা শুরু করেন।

চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল আবু হেনা ফুল মিয়া তার নামীয় ব্র্যাক জয়পুরহাট শাখার দুটি চেক জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানাকে দেন। ব্যাংকে প্রয়োজনীয় অঙ্কের টাকা না থাকায় দুটি চেক নগদায়ন হয়নি। পরে গত ২৭ এপ্রিল ওই দম্পতি ও আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধ প্রতারণার অভিযোগ এনে জয়পুরহাট জজ আদালতের আইনজীবী ফরিদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।

আইনজীবী ফরিদুজ্জামান বলেন, হজে যাওয়ার জন্য টাকা রেখেছিলাম। সেখান থেকে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা ও আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে ২০ দিনে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। তারা আমাকে ধারের টাকা ফেরত দেননি। পরে আমাকে চেক দিয়েছিল। সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাইনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছি।

মামলার বাদি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী ও ফুল মিয়ার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। তারা চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, প্রতারণার মামলায় এক দম্পতিকে রোববার ভোরে নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে জবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এসময় তারা সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়।

ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত রাফা শহরে স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। এ হামলা হলে ভয়াবহ হতাহতের আশঙ্কা করছে বিশ্ববাসী। এমন অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইসরাইলের এই হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল ও মানবন্ধনের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা বক্তব্য দেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ফিলিস্তিনের সমর্থন করতে হলে কাউকে মুসলিম হতে হবে না। আমরা বাঙালি, ১৯৭১ এ যেভাবে আমাদের রক্ত ঝরেছে একই ভাবে আজ ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে। এই রক্ত কখনই বৃথা যাবে না। আমরা এই গণহত্যা শেষ হওয়া পর্যন্ত এর প্রতিবাদ করবো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। বিবেক থাকলে কেউ ইসরায়েলি গণহত্যার সমর্থন করতে পারে না। এসময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমালোচনা করে বলেন, ইউক্রেনে হামলা হলে বিশ্ববাসী শান্তির কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা হলে তারা ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত বিল্লাহ বলেন, যেই সময়ে আমরা এখানে প্রতিবাদ করছি ঠিক সেই সময় ফিলিস্তিনি ভাইদের বুক রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে, সেই সময়ে মায়ের বুক থেকে সন্তানহানি হচ্ছে, আমার মা বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, ৩৫ হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের মুসলিম ভাইদের রক্তের বিচার চাইতে। মুসলিম দেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের ভাইদের যখন হত্যা করা হচ্ছে তখন আপনারা চুপ করে আছেন। আমরা জাতিসংঘ আর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিচার চাচ্ছি। কিন্তু আমরা কি জানি না এই হামলার পিছে পরোক্ষভাবে কাদের হাত আছে? এমন অবস্থায় তাদের কাছে বিচার চাওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। তিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে অনুরোধ করেন এই হামলার প্রতিশোধ নিতে।


আরও খবর



নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হতে পারে এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা।

জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করেনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।


আরও খবর