আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দেশে নতুন মাদক ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার প্রথমবারের মতো খোঁজ মিলল ব্ল্যাক কোকেন নামের নতুন মাদক। যা দেশে এবারই প্রথম উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ (ডিএনসি) সংশ্লিষ্টদের।

সম্প্রতি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে এক ব্যক্তির বাসায় উদ্ধারকৃত কিছু কলমের সিসের মতো কালো জিনিস উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর চোখ ছানাবড়া কর্মকর্তাদের। সেগুলো অন্য কিছু নয়, নতুন মাদক ব্লাক কোকেন। এই মাদক কিভাবে দেশে আসলো তা জানা যায়নি। কোকেন সাধারণত সাদা রঙের দানাদার বা পাউডার আকারে হয়। তবে এবার ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার হওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে ডিএনসিকে।

ডিএনসির ফরিদপুর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত মে মাসে রাজধানীর মতিঝিলে একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্তে মাদক কারবারি হিসেবে রুবেলের নাম আসে। ওই চালানে জড়িতদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এরপরই তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। রুবেল এলাকায় এক সময় ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা নেই। জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। বছরখানেক আগে ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। বর্তমানে রুবেল পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

ডিএনসির ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম হোসেন বলেন, রুবেলকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ব্ল্যাক কোকেন কখনও বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে নতুন মাদক হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ডিএনসি জানায়, ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গত ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভুলবাড়িয়া গ্রামে আবুজার ওরফে রুবেলের বাড়িতে অভিযান চালান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। তার শয়নকক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ গ্রাম আইস, গুঁড়া ইয়াবা ১২ গ্রাম ও এক গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়। এসব মাদকের পাশাপাশি স্বচ্ছ একটি পলি প্যাকেট পায় আভিযানিক দলটি। অতি সুরক্ষিতভাবে সেটি সংরক্ষণ করা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সেটির ভেতরে পেন্সিলের শীষের মতো কালো ৪৪টি টুকরো পাওয়া যায়। প্রতিটি পৌনে এক ইঞ্চি লম্বা ও চিকন, যার ওজন সাত গ্রাম। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়।


আরও খবর



ফের অনিরুদ্ধ রায়ের সিনেমায় দেখা মিলবে জয়া আহসানের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের আলোচিত নায়িকা জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। গত বছর বলিউডের আলোচিত সিনেমা পিংক এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর কড়ক সিং সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন জয়া। আর এবারে এই নির্মাতা বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  সিনেমার  নাম ডিয়ার মা

নতুন সিনেমাটির খবর শেয়ার করেছেন জয়া আহসান নিজেই। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কড়ক সিংয়ের পর আবার আমাকে সিনেমায় সুযোগ দেয়ার জন্য অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীকে ধন্যবাদ। চন্দর রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্চি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেহপুরিয়া ও পদ্মপ্রিয়াদের মতো চমৎকার অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করব ভেবেই আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক। নির্মাণ করেছেন অনুরণন, অন্তহীন, অপরাজিতা তুমির মতো সিনেমা। এরপর বলিউডে নির্মাণ করেছেন পিংক, লস্ট ও সর্বশেষ কড়ক সিং। ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন বুনোহাঁস। এরপর আর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেননি তিনি। ১০ বছর পর  মা-মেয়ের গল্প নিয়ে আংলা সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। আগামী মে মাস থেকে ডিয়ার মা নামের এই ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে। কলকাতা থেকে দেশের একটি সংবাদপত্রকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।  

নতুন সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, অনিরুদ্ধদার সঙ্গে সিনেমা করব বলে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম। আমিও অপেক্ষা করছিলাম, কখন ডাকবেন তিনি। এর মাঝে হিন্দি সিনেমাটা করা হলো।  এই বাংলা সিনেমাটা যখন তৈরি হলো, আমাকে শোনালেন, তখন ভাবলাম, তিনি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এমনটা ভাবছেন। আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে সব চূড়ান্ত হলো।

ডিয়ার মা সিনেমাটার গল্পটা অন্যরকম। সিনেমাটার গল্প এবং নিজের চরিত্র  নিয়ে জয়া বলেন, এটা সম্পর্কের গল্প। অনিদা তো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেন, তেমনই একটা গল্প। মা, মায়ের সন্তান, সম্পর্ক, পরিবার এগুলো নিয়ে এগোবে সিনেমাটা। আমাকে একজন মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথমবারের মতো মায়ের কোনো চরিত্রে অভিনয় করব।

কলকাতায় ডিয়ার মা শুটিং শুরু হবে আগামী মাসে। আর এখনো কলকাতার  প্রেক্ষাগৃহ এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে জয়া অভিনীত ভূতপরী। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে প্রদর্শনের ৭৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এই যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জয়া। কেক কেটে করলেন উদ্‌যাপনও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ভিডিও। 


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



হবিগঞ্জে হাওরে ধান কাটা শেষের পর সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে হাওরের প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই শেষ হওয়ার পর অভিযান শুরু হওয়ায় লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান সংগ্রহে সরকারের কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনি দৌড়াত্ব বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি (১২৮০ টাকা) দরে ধান, ৪৫ টাকায় সিদ্ধ চাল এবং ৪৪ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ধান ৪ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল কেনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, পুরো জেলায় সার্বিকভাবে ধান কাটা শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। হাওরের কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।

কৃষকরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় হাওরে। সেই ক্ষেত্রে হাওরের ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক কম দামে পাইকার ও ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি ধান বছরের খাবার জন্য গোলায় তুলছেন। এরপর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় হাওরের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একই সাথে বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ব।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। আর আমরা পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ৭৭০ টাকা মণ। অনেক অপেক্ষা করছি কখন সরকার ধান কিনবে। আমরা ঋণ পরিশোধ করতে ধান কেটে বিক্রি করে ফেলেছি। এখন সরকার ধান কিনলেও আমাদের কোন লাভ নেই।

একই এলাকার কৃষক আনুয়ার মিয়া বলেন, একেতো সরকার ধান কিনতে দেরি করে ফেলছে। তার উপর আবার মাত্র ১২৮০ টাকায় ধান কিনছে। সরকারকে ধান দিতে হলে ট্রাক ভরে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয়। যে কয়টা টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেটি গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের মজুরিতেই চলে যাবে। এরপর দেখা যাবে খাদ্য কর্মকর্তা বলতেছেন, ধান পরিস্কার না, ভালোভাবে শুকানো হইছে না। নানা অজুহাত।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা বলেন, অন্য বছর কৃষকরা যে অভিযোগ করেন এবার তা পারবেন না। কারণ এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রির টাকা কৃষক তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পাবেন।

চলতি বছর জেলা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, আজকে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য ১০টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ১০টি প্রকল্পই অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, সভায় খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং চট্টগ্রামে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর প্রকল্প যাতে না নেওয়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম, উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী; ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর