রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন তেলের শুল্ক-কর কমিয়েছে সরকার। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও এখনো বাজারে নতুন দরের তেল আসেনি। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেল গায়ে লেখা দরের চেয়ে কিছুটা কম রাখতে দেখা গেছে।
সরবরাহকারী কম্পানিগুলো বলছে, তারা বাজারে নতুন দরের সয়াবিন তেল ছেড়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ক্রেতারা বাজারে পাবে। অন্যদিকে বাজারে আসা ক্রেতারা বলছে, তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা হলেই দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করে দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দাম কমিয়ে কার্যকরের তারিখ ঘোষণা দেওয়ারও সপ্তাহ চলে গেলেও বাজারে নতুন দরের তেল পাওয়া যায় না।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এখন প্রতি লিটার নতুন বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।
রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা আগের বাড়তি দরেই তেল বিক্রি করছেন। ক্রেতারা নতুন দরের তেল খোঁজাখুঁজি করেও পাচ্ছে না।
এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, দুই লিটার সয়াবিন তেল বসুন্ধরা ছাড়া সবাই ৩৪৬ টাকায় বিক্রি করছেন। কিন্তু বসুন্ধরা সয়াবিন তেল ১৩ টাকা কমে ৩৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল লিটার ১৫২ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাড্ডার হাবিব স্টোরের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, এখনো আগের দামের পর্যাপ্ত তেল বাজারে রয়েছে, তাই হয়তো কম্পানিগুলো নতুন দরের তেল বাজারে ছাড়তে দেরি করছে।
ভোজ্য তেল বিপণনকারী কোম্পানি টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার বলেন, ‘নতুন দামের সয়াবিন তেল বাজারে ১ মার্চ থেকে ছাড়া হয়েছে। তবে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে নতুন দামের পণ্য সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বাজারে পৌঁছে যাবে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম গত শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুচরা বাজারে প্রভাব পড়তে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে।’