আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চুয়াডাঙ্গার শহরের বাদুড়তলায় ট্রাকচাপায় জব্বার হোসেন (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার (ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বাদুড়তলা হোটেল শাহেদ প্যলেসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জব্বার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জোয়ার্দ্দার পাড়ার মৃত বোরহান হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে জব্বার মোটরসাইকেল যোগে বড় বাজার থেকে নিজ বাড়ি জোয়ার্দ্দার পাড়ায় ফিরছিলেন। এ সময় শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি ইজিবাইক ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে পেছন দিক থেকে আসা সবজিবোঝায় একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় জব্বার। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় এক কিশোর নিহত হয়েছেন। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার সড়কে দুইজন নিহত হন।

নিউজ ট্যাগ: ট্রাকচাপায় নিহত

আরও খবর



বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অপরদিকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৫০ জনের ভিসা হয়নি। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১১ হাজার ৭৬৮ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৩৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ১০ হাজার ৩৫০ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদন করার সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। সেই সময়ের মধ্যেও সকল হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। পরে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এখনো ভিসা কার্যক্রম চলছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর



বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে: আইএমএফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত বছর বৈশ্বিক ঋণের ভান্ডারে আরও ১৫ ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি যোগ হয়েছে। এর ফলে মোট বৈশ্বিক ঋণ ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইএমএফের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ অনেক দেশেই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেভাবে সরকারের ঋণ বাড়ছে, তার প্রভাব মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার চার বছর পর এখন উন্নত দেশগুলোতে সরকারি ব্যয় প্রাক্ মহামারি পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপির ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। সরকারি ঋণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মহামারি শুরুর চার বছর পর এই দুই দেশে সরকারি ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের গতি কমে যায়। ফলে যেসব দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে গেলে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা পড়ে।

২০২৪ সাল জুড়ে বিশ্বের অনেক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসংখ্যার হিসাবে এসব দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। ইতিহাসে দেখা যায়, নির্বাচনের বছরে সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করহার কমে যায়। নির্বাচনের বছরে দেশে দেশে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে যায়। এবারের নির্বাচনি বছরে এই ঘাটতি যেন লাগামছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। উদীয়মান দেশগুলোতে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, যে জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে যাবে সে জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক; তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে, পরে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে তাপদাহের মধ্যেই রোববার বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলেছে। তবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম।

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানা হয়েছে, এক সপ্তাহ ছুটির পর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলছে। তবে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাস হবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর