আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। কঠিন সেই লক্ষ্য টপকাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩৭ রানে স্বাগতিক প্রোটিয়াদের থামিয়ে বিশ্ব জয়ের আনন্দে মাতে অজি মেয়েরা। এই নিয়ে টানা দুটি বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া নারী দল

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকদের ১৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেয়িলা। মোটামুটি কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে স্বাগতিকদের। পরের দুই ব্যাটারও সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে লরা ওলভার্ড ও ক্লো ট্রায়ন মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৬১ রান করে ওলভার্ড আউট হতেই ছন্দপতন ঘটে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে।

৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া এই ওপেনার। সঙ্গীকে হারনোর কিছুক্ষণ পর ক্লো ট্রায়নও ফেরেন ২৩ বলে ২৫ রান করে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। আর তাতেই ১৯ রানে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতে।

নিজেদের মাঠে ভারত, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দলকে বিদায় করে দিয়ে প্রথমবার ফাইনাল খেলেছে। দেশকে সাপোর্ট করতে কেডটাউনের পুরো গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিক দর্শকদের।অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ম্যাগান শুট, অ্যাশলে গার্ডনার, ডার্সি ব্রাউন ও জেস জোনাসেন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে বেথ মুনির ৫৩ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ রানের মাথায় ওপেনার অ্যালিসা হিলি (১৮) আউট হলে বেথ মুনি ও অ্যাশলে গার্ডনার ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৯ রান করে আউট হন অ্যাশলে গার্ডনার।

এরপর গ্রেস হ্যারিস ও মেগ ল্যানিংকে সঙ্গে নিয়ে বেথ মুনি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। বেথ মুনি ৯ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ৭৪ রানের ইনিংসটি খেলেন। গ্রেস হ্যারিস ও মেগ ল্যানিং ১০ রান করে করেন। আর তাতেই ১৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ননকুলেকো মেলবা ও শাবনিম ইসমাইল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন মারিজান ক্যাপ।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

দূষিত শহরের তালিকায় ৪০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ও শুকুর মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির। আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে লিলু মিয়া নামে আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার আগুয়া বাজারে সিএনজি ষ্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে বদির মিয়া ও সিএনজি চালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টির জের ধরে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।

তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিলু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ঘটনাস্থলে আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



‘হিটস্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকে। তিনজনই পুরুষ।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও পাঁচজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

তারা জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পুড়ে গেছে ৬০ একর ধানখেত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

উচ্চ তাপপ্রবাহে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বোরো ধান আবাদে কৃষক যখন নাজেহাল। ঠিক তখনই ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশত কৃষকের ৬০ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতি পূরণের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রমিজ আলমসহ কৃষি কর্মকর্তারা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুড়ে যাওয়া ধান পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, জেলার পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশেপাশের ঢাকাইয়া শাহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর তীব্র গরম বাতাসে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ফসল ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ইটভাটার ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধানখেত পুড়ে গেছে। পরবর্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ইটভাটা মালিককে ক্ষতি পূরণ দিতে অনুরোধ জানালেও তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেন নি। উপায় না পেয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বুধবার (৮ মে) উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কৃষকরা জানান, তীব্র দাপদাহের মধ্যে ঋণ মহাজন করে অতিরিক্ত খরচে ধান আবাদ করেছি। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা পুড়ে হলুদ হয়ে গেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই আঠালো হয়ে গেছে। শীষে কোনো ধান নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন জানান কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়।

এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে ফসলি জমির ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষক।

আর কৃষকের ক্ষতি পূরণ প্রদানে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রমিজ আলম।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর