আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চকরিয়ায় সাঈদীর জানাজার নামে জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ ফোরকান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মোহাম্মদ ফোরকান চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল ফজলের ছেলে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে আরও ১৩ জন।

আহতদের মধ্যে চকরিয়া থানা পুলিশর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৬ পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড নামার চিরিংগা এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ।

তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনিসহ পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কে কোন দলের তা নিশ্চিত নন তিনি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়ায় জানাজা নিয়ে সংঘটিত সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে গুলি বর্ষণ পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়নি। এতে হতাহত কতজন তা বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

চকরিয়ার স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে, চকরিয়া সরকারি হাই স্কুল মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা করার পূর্ব ঘোষণা দেওয়া হলেও প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ সেখানে জানাজা পড়তে দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে বিকাল সাড়ে ৪টায় কয়েক শত লোক চকরিয়া পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের নামার চিরিংগা এলাকায় জড়ো হয়ে জানাজা শুরু করে। এ সময় সংঘর্ষের  শুরু হয়। তখন জানাজা পণ্ড হয়ে গেলে জামায়াতের লোকজন লাঠি দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই এসব লোকজন পালিয়ে যায়। পরে জানাজায় আসা লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এদিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, নিষেধ করা সত্ত্বে ও স্থান পরিবর্তন করে গায়েবানা জানাজা পড়ে তারা। পরে মিছিল নিয়ে পৌর শহরের মহাসড়কে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ ও পাবলিকের গাড়ি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৃত্যুর ব্যাপারে ইউএনও বলেন, হয়তো নিজেদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তা তদন্ত করে দেখা হবে।

এদিকে জমায়াত-বিএনপি অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে চকরিয়া ককসবাজার মহাসড়কের মিছিল ও থানা রাস্তামাথায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আগামীকাল বিকাল ৩ টায় চকরিয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।


আরও খবর
নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪




চেয়ারম্যান প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন, ৭ পাতিল খিচুড়ি জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খিচুড়ি রান্না করায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ৭ পাতিল খিচুড়ি জব্দ করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন খান এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থনে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ভাদুর বাড়িতে নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে উপস্থিত ভোটারের জন্য খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান ওই বাড়ির পাশের খোলায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৭ পাতিল খিচুড়ি জব্দের পাশাপাশি তরিকুল ইসলাম ভাদুকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান খিচুড়ি জব্দ ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সমাবেশের জন্য ভাদুর বাড়ি পাশের খোলায় খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। পরে জব্দকৃত খিচুড়ি পাকশী ফুরফুরা শরীফ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত: গত ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৪ মে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন শোকজ করেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রিটার্নিং অফিসার প্রথমবারের মতো ক্ষমা করেন।


আরও খবর



যারা বলে বিমান লাভে নাই, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক: বিমানের এমডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি শফিউল আজিম বলেছেন, যারা বলে বিমান লাভে নাই, আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক। বিমানে গত ১০ বছরে ৮ বছরই লাভ ছিল। তবে দুই বছর লস হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) এক এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এমডি শফিউল আজিম বলেন, ওই দুই বছরের এক বছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অঙ্কের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল। তাছাড়া গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুইটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে?

তিনি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুইটা প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথম প্রস্তাবে দুইটা কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। তবে আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো বিমান কেনার দরকার নাই। পরে আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের ৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।

এমডি শফিউল আজিম বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনা হবে। আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১ টির মধ্যে ১৬ টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।

এমডি বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি সে কারণে আমরা ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।

বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনা-বেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যে এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।

এমডি থাকা অবস্থায় নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য নয়। আমি খুব ভাগ্যবান, বিমানবন্দরে কাজ করার সময় কোনো পর্যায় থেকে চাপ আসেনি। আমি আমার অথরিটিকে শতভাগ ব্যবহার করতে পেরেছি। চেষ্টা করলে বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইন্সের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

বিমানে অল্প সময়ের মধ্যে এমডি ও সিইও পরিবর্তন হয়। বিমানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি এমডির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে এমডি বলেন, বিমানের হিউম্যান রিসোর্স ও টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাড় করানোর গেলে এমনিতেই কাজ হবে। আমি এসব সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাড় করানোর চেষ্টা করেছি। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।

তিনি বলেন, আমার সুপারিশ থাকবে যারা বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে কাজ করছে সেখানে যেন বয়স বিবেচনা না করা হয়। কারণ টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। বিমানকে সরকারি অফিসের মনমানসিকতা প্র‍্যাক্টিস করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সব কিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।

আপনার কোনো আক্ষেপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দায়িত্বপালনের সময়ের মধ্যে যদি বিমানের বহরে ৪ টা এয়ারক্রাফট অ্যাড হতো, তাহলে খুবই খুশি হতাম। আমি চাইতাম ৫০টা এয়ারলাইন্সের মালিক হোক।

মতবিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সহ-সভাপতি রাজীব ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কাউসার ইমনসহ এটিজেএফবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



শেরপুরে আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ মে উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের গিলাগাছা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের দিনমজুর কন্যা ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর একটি আপত্তিকর ছবি বানিয়ে একই গ্রামের ৫ যুবক কলেজ ছাত্রীর পরিবারের কাছে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

ওই যুবকরা হলো- একই গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে ইসরাফিল, খোকামিয়ার ছেলে উসমান, শহিদুল্লাহর ছেলে আলমগীর, ফারুক মিয়ার ছেলে নাইম ও বৈরাগীপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মোশারফ।

কলেজ ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত যুবকরা বেশ কিছুদিন থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর পিছু নেয়। পরে তারা কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি বানিয়ে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে দিবে বলে কলেজছাত্রীর পিতাকে হুমকি দেয়া হয়। ২০ মে এ ব্যাপারে কলেজছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় উল্লেখিত যুবকদের আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

রবিবার (২৬ মে) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানান কলেজছাত্রীর পরিবার।

কলেজছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে অভিযুক্তরা অভিযোগ তোলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন। এর ফলে কলেজ ছাত্রীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।


আরও খবর