আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

চিলাহাটিতে ৫০ হাজার মানুষের বাঁশের সাকোঁই একমাত্র ভরসা

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারী জেলার চিলাহাটির বুড়ি তিস্তা নদীর বুদুর ঘাটে বাঁশের সাকোঁই একমাত্র ভরসা ছয় গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের। একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির স্বীকর হচ্ছে এই এলাকার মানুষের। বর্ষায় কলার ভেলা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই নদীর দুপারের মানুষের একমাত্র ভরসা।

চিলাহাটির ভোগডাবুরী ও বোদার বড়শষী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি তিস্তা নদীটি। নদীর এপারে সব্দিগঞ্জ, গোসাইগঞ্জ ও আনন্দবাজার ওপারে সর্দ্দারপাড়, জালিয়াপাড়া, ও চিলাপাড়া গ্রামের মানুষের অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাঁশের সাকোঁই ভরসা। অবহেলায় অবাঞ্চিত অবস্থায় পরে থাকতে হয়েছে বছরের পর বছর। নদীর এ পাড়ে রয়েছে শব্দিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ,কারেঙ্গাতলী উচ্চ বিদ্যালয়। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করতে বুদুরঘাচের উপর বাঁশের সাকোঁ দিয়ে জীবণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাকোঁতে প্রতি নিয়ত ঘটে দূর্ঘটনা। জটিল কঠিন রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। ইউনিয়ন থেকে সংসদ নির্বাচনের সময় আশ্বাস দেওয়া হয় বুদুরঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই বুক ভরা আশা নিয়ে দুই পারের মানুষ আজো দিন গুনছে।

সব্দিগঞ্জ গ্রামের হবিবর,অমিনুল ও তাইজদ্দনি বলেন, নদীর ওপার থেকে শিশু ছেলে মেয়েরা নড়বড়ে সেতুটি দিয়ে স্কুল কলেজে আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন শত শত মানুল জীবণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকাবাসীর দাবী করে আসছে একটি সেতু নির্মাণে জন্য। পঞ্চাশ বছর অতিবাহিত হলেও কেউ শুনেনী আমাদের  কথা। বড়শশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনজু ইসলাম বলেন, নদীর দুপারের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবী একটি সেতু স্থাপনের। ট্রেন বাস ধরতে সেতু না থাকায় এলাকার মানুসের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে ভোগানোর পর কয়েক দিন মাঝেমধ্যে ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১০৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর; ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনসাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। ১১৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইসরাইলের তেল আবিব।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: ফের ৫ দিনের রিমান্ডে তিন আসামি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার মামলায় তিন আসামির এবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আসামিরা হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।

আট দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আজ শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৪ মে দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিন আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগের দিন ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই।

১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল- আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো।

এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। আমার বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করেছে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাইনি।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন

চেয়ারম্যান তো হলেনই না, উল্টো জামানত খোয়ালেন বিএনপি নেতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা সুকুমার রায়। পরে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

গতকাল বুধবার (২৯ মে) সেখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিনি শুধু পরাজিতই হননি, জামানতও হারিয়েছেন। সুকুমার রায় পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান।

বর্তমান সরকারের অধীন সব নির্বাচনই বর্জন করেছে বিএনপি, পাশাপাশি এই নির্বাচন বর্জনে জনগণকেও আহ্বান জানাচ্ছে দলটি। এসব পদক্ষেপ উপেক্ষা করে দলটির যেসব নেতা নির্বাচনে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর অবস্থানে। এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন উপজেলা বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য সুকুমার রায়। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ১৩ মে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির সাক্ষরিত এক চিঠিতে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬০ হাজার ৮০০ ভোট জয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাওয়ানুল হক বিপ্লব ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩১৫টি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সুকুমার রায় পেয়েছেন ৯ হাজার ৪১৬ ভোট।

উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪ অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয়, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। গতকালের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮৬টি। সেই হিসাবে ১৫ শতাংশ ভোট হবে ১৮ হাজার ২৩৮টি। কিন্তু সুকুমার রায় পেয়েছেন মোট প্রদত্ত ভোটের ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ । নির্ধারিত ভোটের চেয়ে কম পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারের শুরুতে বিএনপি নেতা প্রার্থীদের সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই অংশ নেন। তবে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর প্রার্থীদের কাছ থেকে সরে যান দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রচারণায় আর অংশ নেননি। এ কারণে নির্বাচনের ভোটের মাঠে সুকুমার রায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।

এ ব্যাপারে সুকুমার রায় জানান, আমি জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু দলের লোকজন একজন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। মাঠে আমার আরও বেশি ভোট আছে। এত কম ভোট পাওয়ার নেপথ্যের কারণটি আমি এখন বলতে চাচ্ছি না। এটা একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়।

আর দল থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন করতে গিয়ে সারা দেশেই বিএনপির অনেকেই বহিষ্কার করা হয়েছেন। দল যদি আমাদের ফেরত নেয়, তবে ভালো কথা। আর সে সুযোগ না দিলে, দলের সমর্থক হয়ে থাকব।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম বলেন, দলের নির্দেশনা অসম্মান করা বিশ্বাস ঘাতকতার শামিল। এ কারণে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাঁর পাশে দলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা ছিলেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

অন্যদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইত্তাশাম উল হক তালা প্রতীক নিয়ে ৮১ হাজার ৭১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সাঈদ আকলিমুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহফুজা বেগম আকতার কলস প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় রাণী রায় হাঁস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়েছেন।

এ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ জন ও মহিলা ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৭ জন। আর ভোট কেন্দ্র ৬৬টি। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।


আরও খবর



ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় আট মাস ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা। এবার উপত্যকার শেষ নিরাপদ অঞ্চল রাফাহ সীমান্তে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির এ অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় হবে আজ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে রায় দেবেন আদালত। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদন জানায়। এতে ফিলিস্তিনের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের জরুরি ব্যবস্থা চাওয়া হয়।

এর আগে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই মামলার অংশ হিসেবে রাফাহ ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে নির্দেশনা চেয়েছে দেশটি। এর আগে গত শুক্রবার ( ১৭ মে) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আদালতের কার্যালয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।

শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইসরায়েল জানায়, নিজেদের রক্ষায় ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ধরনের আবেদন জাতিসংঘের জাতিগত নিধন সনদের সঙ্গে ঠাট্টা। তাই আবেদন নাকচ করে দেওয়ার দাবি জানান ইসরায়েলের আইনজীবীরা।

ইসরায়েল আরও বলে, এটি বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি আবেদন। রাফায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। ইসরায়েল বিষয়টি ভালোভাবে জানে। কিন্তু হামাস এসব মানুষের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সেখানে আস্তানা গেড়েছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। হামাসের সন্ত্রাসীদের নির্মূলে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।


আরও খবর



দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফায় কমানোর পর দেশের বাজারে গত দুই দিনে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে শ‌নিবার বে‌ড়ে‌ছিল ১০৫০ টাকা এবং রোববার প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭৩৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আজ প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর