আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

চিচেন ইতজা: হারিয়ে যাওয়া মায়ান শহর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেক্সিকোর ইয়ুকাতান পেনিনসুলাতে অবস্থিত মায়ান শহর চিচেন ইতজা। মেক্সিকোর গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন হলেও সক্রিয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবেও এর গুরুত্ব কম নয়। চিচেন ইতজা থেকে এখনও মায়ান সংস্কৃতি এবং সভ্যতা সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্যের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। মায়া সভ্যতা নিয়ে আগের লেখায় চিচেন ইতজার উল্লেখ থাকলেও এবার বিস্তারিত ভাবে জানবো চিচেন ইতজা সম্পর্কে।

কোথায় অবস্থিত চিচেন ইতজা?                                      

মেক্সিকোর ইউকাতান পেনিনসুলার রিসোর্ট শহর ক্যানকুন  থেকে ১২০ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল চিচেন ইতজা। চিচেন ইতজা নামটির উৎপত্তি ঘটেছে মায়ান ভাষার পরিভাষা থেকে যার অর্থ ইতজাদের কুয়া মুখে। ইতজারা ছিল মায়ানদের এক আদিবাসী গোষ্ঠী যারা ছিল ইউকাতান পেনিনসুলার উত্তর অংশে, যেখানে শহরটি অবস্থিত ছিল, সেখানের শক্তিশালী এক জনগোষ্ঠী। শহরটির নামের মধ্যে যে কুয়ার কথা উল্লেখ আছে তা নির্দেশ করে ভূগর্ভস্থ কিছু নদীকে যেগুলো পুরো এলাকা জুড়ে প্রবাহিত হত এবং এই নদীগুলোই ছিল শহরের মূল পানির উৎস। এই পানির উৎসই চিচেন ইতজা শহরের অবস্থানকে যথাযথ করে তুলেছিল। চিচেন ইতজার প্রাচীন ইতিহাস এখনও স্পষ্ট না, তবে, এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, ক্লাসিক পিরিয়ডের সময় ( ২৫০ খ্রিস্টাব্দ- ৯০০ খ্রিস্টাব্দ) এই শহর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিওতিহুয়াকানের পতনের পর সেখানকার জনগণ মেসোআমেরিকাতে এসে বসতি স্থাপন করে বলে ধারণা করা হয়, এবং তখনই তারা মায়ান গোষ্ঠী ইতজাদের সংস্পর্শে আসে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই শহর গঠিত হয় যখন টোলটেক সভ্যতা দ্বারা ইতজা গোষ্ঠী প্রভাবিত হয়।

চিচেন ইতজা ইসলা ক্যারিটোস বন্দর যুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল এবং এর প্রমাণ মেলে মধ্য আমেরিকায় অন্যান্য এলাকার পণ্যের সন্ধান পাওয়ার মাধ্যমে- উত্তরের টারকুইস, দক্ষিণ থেকে সোনার ডিস্ক এবং তেহুয়ান্তেপেক এর ইস্থমাস থেকে কাঁচের গোলক সদৃশ আগ্নেয়শিলা। চিচেন ইতজাতে কোকো চাষ হত এবং সম্ভবত উত্তর দিকের উপকূলবর্তী এলাকার লবণ তৈরির কেন্দ্রগুলোও এখান থেকে পরিচালিত হত।

কখন গড়ে উঠেছিল চিচেন ইতজা?

চিচেন ইতজার ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করছে, তাদের মধ্যে চিচেন ইতজা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং কিভাবে ধাপে ধাপে এই শহরের উন্নয়ন ঘটেছিল তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারো মতে, চিচেন ইতজা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। কিছু গবেষণা বলে, চিচেন ইতজার প্রতিষ্ঠাকাল ৪০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে আর কিছু গবেষণা বলে এই শহরের সূচনা ঘটেছিল ৫ম শতাব্দীর মাঝখানে। আর যে বিষয়টি নিয়ে গবেষকদের মধ্যে খুব কম বিতর্ক হয় সেটা হল মায়ান সভ্যতার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য চিচেন ইতজার গুরুত্ব। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে চিচেন ইতজা উন্নীত হয় ৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এবং সেই সময়ের মধ্যেই চিচেন ইতজা হয়ে ওঠে মায়ান বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর শহর। এই শহরের বিস্তার ছিল প্রায় দুই বর্গমাইল পর্যন্ত। শহরটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাড়িঘরে পরিপূর্ণ ছিল এবং পাথরের তৈরি বিভিন্ন স্থাপনা ছিল। চিচেন ইতজা শহর থেকে কিছু দূরে এই শহরের নিজস্ব গ্রাম ছিল যেখানে অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট বসতির অস্তিত্ব ছিল। চিচেন ইতজা শহরকে দুই অংশে ভাগ করা যায় এবং এই দুই অংশের উন্নয়ন ঘটে দুই সময়কালে। প্রথমাংশের অস্তিত্ব মেলে দক্ষিণ দিকে, যেখানে নেটিভ মায়াদের বসতি ছিল। এই বসতি স্থাপিত হয়েছিল এপিক্লাসিক সময়কালে (৮০০-১০০০ খ্রিস্টাব্দ)। মায়াদের এই বসতিতে যে সকল বাড়িঘর ছিল সেখানে পাক স্থাপত্যশৈলী এবং মায়ান হায়ারোগ্লিফ এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শহরটির নকশা অন্য অংশগুলোর থেকে উত্তর-দক্ষিণ অক্ষে বেশি বিস্তৃত ছিল যা সম্ভবত পানির উৎস জোটোলক সিনোটকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল।      

শহরের দ্বিতীয় অংশের স্থাপনাকাল ধরা হয়েছে এপিক্লাসিক সময়ের পরে অর্থাৎ ১০০০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ। শহরের এই অংশকে ঘিরে মেসো-আমেরিকান প্রত্নতত্ত্বে রহস্য এবং বিতর্কের অন্ত নেই। ফ্লোরেসেন্ট স্টাইলে নির্মিত এই শহর টলটেক সভ্যতার চিহ্ন বহন করে। গবেষকদের মতে, হয় টলটেক গোষ্ঠী চিচেন ইতজা দখল করেছিল, নয়তো ইতজারা তাদের সাম্রাজ্য রাজধানী টুলা থেকে আরও ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল, অথবা দুই জাতির মধ্যে কোন ধরণের সমঝোতা হয়েছিল। শহরের দুই অংশের মধ্যে স্থাপত্যশৈলী এবং ভাস্কর্য শিল্পে মিল পাওয়া যায় যার মধ্যে রয়েছে ওয়ারিয়র স্তম্ভ, কুয়েতজাল সদৃশ পাখা যুক্ত র‍্যাটেল স্নেক, ভাস্কর্যের পোশাক, চাক্মুল (হেলান দেয়া ব্যক্তির আকারের বলির কাষ্ঠ), আটলান্টাইডস (দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষের আকৃতির স্তম্ভ), নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রাণীর আদলে নির্মিত স্তম্ভ, একটি যোম্পান্তিল (বলি দেয়া মানুষের খুলি রাখার তাক), ট্লালক (বৃষ্টি দেবতা) এর পূজা দেয়ার ধূপদানি, এবং গ্লিফে উল্লিখিত কিছু ব্যক্তিগত নাম যেগুলো দুই শহরেই খুঁজে পাওয়া গেছে কিন্তু যার কোনটিই মায়া সভ্যতার অংশ নয়।

চিচেন ইতজার পবিত্র কুয়া

চিচেন ইতজা শহরের উত্তর প্রান্তে বড় সিনোট (পবিত্র কুয়া) অবস্থিত আছে যা মায়ানদের আনুষ্ঠানিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রে অপরিমেয় তাৎপর্য বহন করে। বহুল প্রচলিত আছে যে, সিনোটে নরবলি দেয়া হত। ১৯০০ সালের প্রথম দিকে সিনোটে ড্রেজিং করা হয় এবং ড্রেজিং করার পর সিনোট থেকে অসংখ্য মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া যায় যেগুলো ছিল সোনা, টারকুইস এবং মূল্যবান পাথরের তৈরি। সেই কুয়াতে একই সাথে মানুষের দেহাবশেষও পাওয়া যায় যা সেই সময় নরবলি প্রথার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। গবেষকেরা প্রাপ্ত দেহাবশেষে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে যা নির্দেশ করে যে, বলির শিকার মানুষগুলোকে কুপে ফেলে দেয়ার পূর্বে মেরে ফেলা হয়েছিল।

রাজধানী রূপে চিচেন ইতজা     

৯ম শতকের মধ্যে চিচেন ইতজা হয়ে ওঠে দে ফ্যাক্টো আঞ্চলিক রাজধানী এবং এর শাসক উত্তর এবং মধ্য ইউকাতান পেনিনসুলার বেশিরভাগ অংশ পরিচালনা করতো। উত্তর উপকূলের ইসলা ক্যারিটোস বন্দরের কারণে পুরো আমেরিকায় সোনা, মূল্যবান দ্রব্যাদিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য চিচেন ইতজা হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ধারণা করা হয়, ৫০,০০০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করতো এই শহরে। তবে শহরের জনসংখ্যায় পার্থক্য হতে পারে কারণ ইউকাতান এর বাইরে থেকেও মানুষ চিচেন ইতজাতে আসতো বাস করার উদ্দেশ্যে।  

চিচেন ইতজার পতন

১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলোম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের ঘটনার মধ্য দিয়ে মায়া সভ্যতার পতন হলেও গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে চিচেন ইতজা তার জৌলুস হারায় তারও অনেক আগে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, চিচেন ইতজার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ  মায়াপান শহরে স্থানান্তরিত হয়। মায়াপান ছিল একটি নতুন শহর যা ১২০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে চিচেন ইতজার দক্ষিণ এবং পশ্চিমে নির্মাণ করা হয়। কিছু প্রমাণ নির্দেশ করে যে, সম্ভবত সেই সময় চিচেন ইতজা লুঠতরাজের স্বীকার হয়েছিল যার ফলে চিচেন ইতজার পরিবর্তে মায়াপানকে রাজধানী করা হয়। তবে, যখন স্প্যানীয়রা ১৫২৬ সালে আমেরিকায় জাহাজ ভিড়ায়, তখনো শহরে এবং শহরের আশে পাশে বেশ কিছু বাড়ি ইতজা বাস করতো। আর এর ফলে স্প্যানীয়রা কিছুসময় চিচেন ইতজাকে রাজধানী হিসেবে ব্যবহারও করেছিল।

বর্তমানে চিচেন ইতজা   

১৮০০ শতকের মাঝামাঝিতে চিচেন ইতজা একটি অর্থপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পরিণত হয় এবং আজ পর্যন্ত তেমনি রয়েছে। চিচেন ইতজা শহরের প্রথম দিককার বেশ কিছু নিদর্শন এখনও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। সেগুলো হল- এল ক্যাস্টিলো, দ্য গ্রেট বল কোর্ট, দ্য নর্থ টেম্পল, দ্য স্টিম বাথ, সেকবে নং-১, টেম্পল অব দ্য ওয়ারিওরস, গ্রুপ অব এ থাউজেন্ড কলামস, এল মারকেডো এবং এল ওসারিও। প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষাধিক দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয় চিচেন ইতজা। মায়ান ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য চিচেন ইতজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। গবেষকেরা এখনও চিচেন ইতজায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মায়ান সভ্যতা সম্পর্কে নতুন কোন তথ্য আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে।

নিউজ ট্যাগ: চিচেন ইতজা

আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




শনিবারও চলবে ক্লাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজান, ঈদুল ফিতর, নববর্ষের সঙ্গে তীব্র গরমে ঘোষিত ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়াচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ঘাটতি পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গণমাধ্যমকর্মী আইন: অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০২১ এর খসড়ার ওপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

সভায় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যে সুবিধাগুলো পায়, সে সুবিধাগুলোর শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনও ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীজনদের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।

এরপর শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০২৬ সালে মাঠে গড়াবে প্রথম নারী ক্লাব বিশ্বকাপ। কংগ্রেস সামনে রেখে ব্যাংককে ফিফা কাউন্সিল সভায় ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত নারী ফুটবলের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুমোদন পেয়েছে।

১৬ দল অংশ নেবে নারী ক্লাব বিশ্বকাপে। চার বছর পর পর হবে এই বিশ্বআসর। মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপের পরিকল্পনার কথা ২০২১ সালের মে মাসে জানিয়েছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ব্যাংককে ৭৪তম ফিফা কংগ্রেসে বুধবার টুর্নামেন্টটি শুরুর সময় জানানো হয়। বিস্তারিত কিছু অবশ্য জানানো হয়নি।

নতুন ক্যালেন্ডার আরও নারী ফুটবল বান্ধব করেছে ফিফা। আগামী বছর প্রথম নারী ফুটসাল বিশ্বকাপ হবে ফিলিপাইনে। অনূর্ধ্ব-১৭ কিশোরী ফুটবল ২০২৫ থেকে ২৯ সাল পর্যন্ত হবে মরোক্কোয়। একই সময়ে কাতারে হবে অনূর্ধ্ব-১৭ কিশোর বিশ্বকাপ।

২০২৫, ২৯ ও ৩৩ ফিফা আরব কাপের স্বাগতিকও কাতার। এদিকে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিফার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মাতিয়াস গ্রাফস্ত্রম পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। ১৭ মে ব্যাংককে হবে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেস।


আরও খবর