আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ছিনতাইকারীরা জবি ছাত্রীর মোবাইল বিক্রি করে ‘মদ খেয়েছিল’

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাত থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি দুই ছিনতাইকারী মদ কিনে খেয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকার কারওয়ান বাজারে বাসের ভেতর থেকে ছিনতাই হওয়া সেই ফোনটি উদ্ধার এবং ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রুবাইয়াত জামান।

তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে শফিক নামের একজনের কাছে চার হাজার টাকায় মোবাইলটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন মূল ছিনতাইকারী রিপন ওরফে আকাশ (২৪) এবং তার সহযোগী অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। এর মধ্যে এক হাজার টাকা নেন আকাশ আর ১৭ বছর বয়সী অপরজন নেন ৫০০ টাকা। বাকি টাকায় তারা মদ কিনে খান তারা।

যার ফোনটি তারা ছিনতাই করেছিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ছেন। এক বছর ধরে হাতি নিয়ে থিসিস করছেন। সেই থিসিস পেপার জমা দেওয়ার কথা ছিল জুলাইয়ের শেষে।

২১ জুলাই বিকালে কাজ শেষে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন এই শিক্ষার্থী। পথে কারওয়ান বাজার এলাকায় বাসের জানালা দিয়ে এক ছিনতাইকারী তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

মোবাইলে ছিল তার থিসিসের ডেটা। সে কারণে মরিয়া হয়ে ছিনতাইকারীর পিছু ধাওয়া করে তিনি আরেক ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত এক যুবককে ধরে ফেলেন। পরে তার সহযোগীকেও ধরে ফেলা হয়। কিন্তু মূল ছিনতাইকারীকে ধরতে না পারায় নিজের মোবাইল ফোনটি তিনি তখন ফিরে পাননি।

তার সেই সাহসিকতার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলে দেয়। পুলিশও তখন তার ফোন উদ্ধারে তৎপর হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২১ জুলাই কারওয়ান বাজারের যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখানকার সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দিয়েছে। তার পিছুপিছু অন্য একজন দ্রুত হাঁটছে।

রুবাইয়াত জামান বলেন, ভিডিওতে যাকে হাঁটতে দেখা গেছে, সে ওই ১৭ বছরের তরুণ। সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে ২৪ জুলাই কারওয়ানবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতে তোলার আগে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, সেদিন বাস থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় সেও ছিল। ফোনটি ছিনিয়ে নিয়েছিল আকাশ। সেটি বিক্রি করে তারা মদও খেয়েছে। পরে সেই রাতেই ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আকাশ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।

ওই তথ্য পাওয়ার পর আদালতে আবেদন করে আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আকাশ তখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য।

তিনি বলেন, আকাশ ও তার কিশোর সহযোগীর দেওয়ার তথ্যে মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় শফিককে, যার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল ওই ছাত্রীর ফোন। অভিযানে মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে সেই শিক্ষার্থী বলেন, আমি আসলে অনেক খুশি। পুলিশ প্রতিনিয়ত আমাকে আপডেট জানিয়েছে। মোবাইলটা খুব দরকার ছিল। তাই ছিনিয়ে নেওয়ার পর ঝুঁকি নিয়ে ছিনতাইকারীকে তাড়া করি।

এদিকে ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আকাশ, শফিক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনসহ তিনজনের নামে বুধবারই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রুবাইয়াত জামান।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য’ গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১ দশমিক ৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন। অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করেপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।


আরও খবর



পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাষ্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাট চাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাট চাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্তু পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

চাষিদের দাবি, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



কাল শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় গবেষণা মেলা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজগুলোকে জাতির সামনে তুলে ধরা এবং নতুন গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চের প্রাঙ্গনে আগামী ৮ ও ৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা, উদ্বোধন করবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। মেলার সমাপনী দিনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এদিন শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ক্লাস নিবেন তিনি।

গত বুধবার (১ মে) ২য় গবেষণা মেলা-২০২৪ এর আহ্বায়ক এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ড. মার্জিয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বাড়ানো এবং বিদেশের সাথে যোগাযোগ করে যাতে তারা আরো বেশি গবেষণায় উদ্ভুদ্ধ করতে পারে নিজেদের সেজন্য এই মেলার আয়োজন একটি অনবদ্য সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, এবারের গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর, আইকিউসি ও ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ অংশগ্রহণ করবে। গত ৬ মে (সোমবার ) তাদেরকে ১টি করে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মোট ৩০টি স্টলের মধ্যে ২টি স্টলকে অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন স্টল হিসেবে রাখা হবে। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও গবেষণা মেলায় ২য় গবেষণা মেলা-২০২৪ নামে একটি প্রকাশনির মোড়ক উন্মোচন করা হবে যাতে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে করা সকল গবেষণা প্রকল্পের শিরোনাম থাকবে। ৯ মে মেলার দ্বিতীয় দিন অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন; যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। এছাড়া বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

ফোকলোর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি আসলে প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো গবেষণা বিষয়ে কোন মেলায় অংশগ্রহণ করিনি, তাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি এই মেলার জন্য। এই মেলা হয়তো ভবিষ্যতে আমাকে গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আসলে আমি মনে করি গবেষণা যত বেশি হবে শিক্ষার গভীরতা ততই বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানসৃষ্টির আধার উল্লেখ করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি আমাদের ২য় গবেষণা মেলা। শিক্ষকদের গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট করতে এই মেলার আয়োজন। এই মেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বাড়াবে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আমরা মনে করি জ্ঞানসৃষ্টির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে সবার সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে এই গবেষণা মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪