আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

চীনের চমক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কার্টুন সিরিজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে কার্টুন সিরিজ তৈরি করেছে চীন। ২৬ পর্বের এই সিরিজটির নাম কিয়ানকিউ শিসং। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) সিরিজটির প্রথম পর্ব সম্প্রচার করেছে।

সাংহাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরির (সেল) এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এ কার্টুন সিরিজটি। এর আর্কাইভের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে সিএমজি মিডিয়া জিপিটি।

দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে সেল জানিয়েছে, কিয়ানকিউ শিসং তৈরিতে ভিডিও-আর্ট ডিজাইন থেকে শুরু করে পোস্ট-প্রোডাকশন পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে এআই ব্যবহার করা হয়েছে।

চীনের মিডিয়া প্রধান শেন হাইক্সিয়ং বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক মূলধারার মিডিয়ার জন্য একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন’ এবং চালিকা শক্তি’ তৈরি করব। এক্ষেত্রে আমরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গভীরে অনুসন্ধান করব এবং ইন্টারনেট এবং এআইকে আলিঙ্গন করব।


আরও খবর



ইসরায়েলকে গাজায় অভিযানের ‘অজুহাত’ দিয়েছে হামাস : মাহমুদ আব্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম সামরিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি হামাসকেও দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর অজুহাত দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলের দেশগুলোর জোট আরব লীগের ৩৩তম সম্মেলন শুরু হয়েছে বাহরাইনের রাজধানী মানামায়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টও সেই সম্মেলনে গিয়েছেন। সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে মাহমুদ আব্বাস বলেন, হামাস সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল, সেটিই আসলে ইসরায়েলকে গাজায় এই দীর্ঘ সামরিক অভিযানের অজুহাত তুলে দিয়েছে। এবং শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করেছে। তাদের কাছে এই অভিযান ন্যায্য এবং এই ন্যায্যতার ভিত্তিও হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা।

জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম তিন ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতাসীন রয়েছে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সরকার, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে পিএকেই স্বীকৃত দেয় বহির্বিশ্ব।

একসময় গাজায় উপত্যকায়ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে কট্টর ইসলামপন্থি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার সম্পর্ক চরম বৈরী। এর প্রধান কারণ ফাতাহ নিয়নতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংসের ভিত্তিতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। ইতোমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে আর্থিক সহায়তা প্রদান কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফলে গত কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস।

ধনী আরব রাষ্ট্রগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। আরব অঞ্চলের নিরাপত্তা, ফিলিস্তিনের স্থিতিশীলতা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তাদের সরকারি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য এখন সহায়তা জরুরি।  আমি আরব লীগকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।'


আরও খবর



শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সমাধিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।

ফুল দেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।


আরও খবর



ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। গতকাল বুধবার বোগোটায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে উল্লেখ করে পেত্রো জানান, কলম্বিয়া বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর পরে কলম্বিয়া ইসরায়েল থেকে অস্ত্র ক্রয় স্থগিত করে।

গুস্তাভো পেত্রো গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে প্রতিবাদে সরব ছিলেন। চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের চরম বিরোধী তিনি। এ সম্পর্কে পেত্রো বিভিন্ন সময় তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের নেতাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কাজ সহজ করতে অন্যান্য দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের মিত্ররা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মেহেরপুরে ফের দেড় হাজার শতবর্ষী গাছ কাটার তোড়জোড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

রাস্তা সম্প্রসারণ ও সড়ক দুর্ঘটনার অজুহাতে ফের জেলা পরিষদের দেড় হাজার শতবর্ষে গাছ কাটার তোড়জোড় শুরু করেছে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

এর আগে বছরখানেক আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ২ হাজার ৭৮৬ টি শতবর্ষী গাছ কেটে রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নিয়েছিলো মেহেরপুর সড়ক বিভাগ। আর সেই গাছ মুহুর্তের মধ্যেই কাটা হয়ে গেছিলো। গাছ কাটা হলেও নতুন করে লাগানো হয়নি একটিও গাছ।

রাস্তার দুপাশ এখন ধু ধু মরুভূমি। গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশবাদিরা ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সে-সময়। শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল, বাবলা ও নিম গাছগুলো কাটার কারণেই চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো মেহেরপুর-মুজিবনগর ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আরও ১ হাজার ৪৪০ টি গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে মেহেরপুর সড়ক বিভাগ।

ইতিমধ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদ বরাবর একটি চিঠি দিয়ে গাছগুলো কাটার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

মেহেরপুর সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। যাতে প্রধান বাধা হয়ে আছে রাস্তার পাশে ৯৭৬টি ছোট বড় বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ। এছাড়াও মুজিবনগর সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানোর অযুহাতে কাটা হবে আরও ৪৬৪টি গাছ। এই সড়কে শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল ও নিম গাছগুলোকে সড়ক বিভাগ লাল রং করে নাম্বারিং করে গেছে। কিছু গাছ রয়েছে সড়কের কিছুটা উপরে, আবার বেশির ভাগ গাছ রয়েছে সড়কের বাইরে। তবে প্রায় সবগুলো গাছেই নাম্বারিং করা হয়েছে। এসব গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে যদি ফের দেড় হাজার শতবর্ষী পুরানো গাছগুলো কাটা হয় তবে মেহেরপুর আর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাছ না লাগানোই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার পথচারী ও এলাকাবাসী।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গাছগুলো রাস্তার উপরে চলে এসেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গাছগুলোর কারণে সড়ক সংস্কার বা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা জেলা পরিষদকে চিঠির মাধ্যমে তালিকাসহ জানিয়েছি। এবং কাটার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, আমরা একটি তালিকাসহ চিঠি পেয়েছি। আমাদের সার্বেয়ার (পর্যবেক্ষক) যাবে। তারা যেগুলো কাটা প্রয়োজন বলে মনে করবে সেগুলোই কাটা হবে বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।


আরও খবর