আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিরাপত্তার স্বার্থে আজ (বৃহস্পতিবার) ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তবে, এ সিদ্ধান্ত শুধু আজকের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে ব্যাংকগুলোকে খুদেবার্তা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় গত রাতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখাগুলোতে টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে কোনো সরকার নেই এবং আজ নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে। এই সময়ে কেউ যাতে নগদ টাকা নিয়ে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। ইতোমধ্যে নগদ টাকার চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে এই চাপ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। তাছাড়া, এখন ব্যাংকগুলো এমনিতেই একটু তারল্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অত্যন্ত খারাপ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শাখাগুলোতে ক্যাশ পরিবহন করার জন্য সুব্যবস্থা নেই। মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলো ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডাকাতির খবর শোনা যাচ্ছে। তাই সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে, আশা করি নতুন সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হবে। একই সাথে ব্যাংকিং লেনদেনেও স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

আরও খবর



কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বহুল আলোচিত কালোটাকা সাদা করার বিধান বাতিল হচ্ছে। এই বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে এই তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।

যমুনার গেটে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কালো টাকা সাদা করার যে বিধি ও রীতি বন্ধ করে দেওয়া। এটা থেকে সরকার যেটুকু টাকা আনতে পারে, সেটা টাকা দিয়ে সরকারের খুব আগায় না। তবে মূল্যবোধ অবক্ষয় হয়। এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।

এছাড়া বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষায় প্রণীত জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ সংশোধন করা হয়েছে। বৈঠকে 'জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।


আরও খবর



বৃহস্পতিবার থেকে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘ ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। তবে আপাতত পারাবত এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হচ্ছে না।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল থেকে সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। স্টেশনে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী আছে। এছাড়া রেলের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। তবে পারাবত এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস কাল থেকে চলাচল শুরু হচ্ছে না।

এদিকে গত ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই থেকে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। তবে সরকারের কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১ থেকে ৩ আগস্ট সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছে। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।


আরও খবর



তালতলীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধরের সংবাদ প্রকাশ করার জেরে ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টম্বর) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।

এ মানববন্ধনে গত শনিবার (৫ সেপ্টম্বর) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খাইরুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তাফিজ, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি জলিল আহমেদ, আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান, দৈনিক মানজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ও হামলার শিকার ইউপি সদস্য জামাল খান এবং তার চাচাতো ভাই ফেরদাউস এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি বরগুনা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্ত করার দায়িত্ব দেন। মানববন্ধনে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মামলা প্রত্যাহারসহ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান বক্তারা।

জানা যায়, গত শনিবার ৩১ আগস্ট  উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল খানের বাড়ির সামনে নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে একটি চোরাই ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলার নোঙর করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি সদস্য জামাল খানকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলারটি ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। এ খবর পেয়ে রাত ১০ টার দিকে চোরাই ট্রলারটি অনৈতিকভাবে নেওয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় ইউপি সদস্য বাধা দিলে আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, বশির, নাইম ইসলাম ও শাহাদাতসহ এক দল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন জামাল খানকে। পরে এ ঘটনায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ৫ সংবাদিক ও ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন শাহদাত হোসেন নামের এক হামলাকারী।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, এই মিথ্যা মামলা গনমাধ্যমের জন্য হুমকি স্বরূপ। মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি এখই সাথে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।


আরও খবর



রোববার থেকে বনজীবী-পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার পর রোববার থেকে বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবনে সম্পদ আহরণের জন্য ১২ হাজার নৌকা ও ট্রলারকে বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট-বিএলসি দেওয়া হয়। এসব নৌযানের মাধ্যমে প্রতিবছর এক থেকে দেড় লাখ জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়াল সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ করেন।

তিনি বলেন, সুন্দরবন শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, মৎস্য সম্পদেরও আধার। জুন থেকে অগাস্ট-এই তিন মাস প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশিরভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে তিন মাসের জন্য জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।

এ বন সংরক্ষক আরও বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া হবে। নির্ধারিত ফরেস্ট স্টেশনগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রের মেয়াদ অনুযায়ী, সুন্দরবনে অবস্থানকারী জেলেদের তালিকা বনরক্ষীদের ক্যাম্প কর্মকর্তার কাছেও থাকবে। বনরক্ষীরা তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি খালে টহল দিয়ে অনুমোদন পাওয়া জেলেদের নৌকা যাচাই করে দেখবেন।

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, জেলে-বাওয়ালিরাও এখন সুন্দরবনের ভেতরে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তবে সাধারণ জেলে-বাওয়ালিদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনে অপরাধ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জেলেদের কয়েকটি অসাধুচক্র বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমে সুন্দরবনে ঢুকে অল্প সময়ে বিষ ছিটিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছেন।বনের ভেতরে গাছ পুড়িয়ে চলে শুঁটকি তৈরি। দেশ-বিদেশের বাজারে ওই চিংড়ির শুঁটকির চাহিদা ও দাম বেশি।মাছ ও কাঁকড়া সুন্দরবনসংলগ্ন আশপাশ এলাকার আড়ত এবং বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়।এতে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমারের ভাষ্য, নিষিদ্ধ মৌসুমে সুন্দরবন কেন্দ্রীক সব ধরনের অপরাধ দমনে সচেষ্ট থাকেন বনরক্ষীরা। তবে এর মধ্যে দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বনরক্ষীদের কারও বিরুদ্ধে অবহেলা অথবা অপরাধীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার; যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। ১৩টি বড় নদীসহ ৪৫০টির মত খাল রয়েছে সুন্দরবনে।

জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হওয়া এই বনের জলাধার ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাঙ্গাশ, লইট্যা, ছুরি, মেদ, পাইস্যা, পোয়া, তপসে, লাক্ষা, কই, মাগুর, কাইন, ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছের আবাস।এছাড়াও রয়েছে গলদা, বাগদা, চাকা, চালি, চামিসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি।বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজনন হয় এখানে।

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সুন্দরবনের প্রতি সব দেশের মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। সুন্দরবনের সাতটি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রতিবছর আড়াই লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন।বন বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সুন্দরবন ভ্রমণ করেন ২ লাখ ১৬ হাজার পর্যটক। যা থেকে সুন্দরবন বিভাগের রাজস্ব আয় হয় ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরে সুন্দরবনে ৭৫ হাজার ৫৬০ জন দেশি এবং ৮৬৪ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। ওই অর্থবছর সুন্দরবন বিভাগ পর্যটকদের কাছ থেকে ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার ৭০ টাকা রাজস্ব আয় করে।

খুলনার ট্যুর অপারেটরা জানান, সুন্দরবনে পর্যটনের মৌসুম শুরু হয় অক্টোবরে, চলে মার্চ পর্যন্ত। এই ছয় মাসের ব্যবসার জন্য এ খাতের ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকেন। তবে গত মৌসুম দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবন

আরও খবর



এবার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনাসহ ২৪ জন

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে এ মামলা করেন নিহত রাজনের ভাই মো. রাজিব। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার কাফরুল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে এক আইনজীবীকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে আজ বুধবার শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। এছাড়া র‍্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা-পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ওই আইনজীবী আদালতে মামলার আবেদন করেন।

মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ক্ষমতা হারানোর পর এটিই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।


আরও খবর