আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বশেফমুবিপ্রবিতে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপাচার্যের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা কমিটির উদ্যোগে এ সভা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান ।

এপিএ ফোকাল পয়েন্ট সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. ইউসুফ আলী, ফিশারিজ বিভাগের প্রভাষক রুনা আক্তার জ্যোতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এসএম মোদাব্বির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক প্রতিনিধি মো. আল ফাহাদ ও মিরাজুল ইসলাম, অভিভাবক প্রতিনিধি মো. নুরুল আমিন, শান্তা, লায়লা জান্নাত নাহিন, ছাত্র প্রতিনিধি কাওচার আহমেদ স্বাধীন, তাইফুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ ।

অংশীজন সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/দপ্তরের সেবার মান উন্নয়নকল্পে আলোচনা হয়।


আরও খবর



দেশব্যাপী ফের ২৪ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশব্যাপী ফের ২৪ ঘণ্টার সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়।

রাজধানী ঢাকাসহ এ সময়ের মধ্যে দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রথমবারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।

 


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার নিরীক্ষিত ও সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে এ ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে ওইদিন সকালে প্রতাশিত প্রথম ফলাফলে ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে সন্ধ্যায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটির কারণে সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত করে অধিদপ্তর।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)-এর ফলাফল ২১ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩৮,০১,০০০০,১৪৩.১১,০১১,২০২৩-২০৫ নম্বর স্মারকে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে ২৯ মার্চ এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

অধিদপ্তর আরও জানায়, সংশোধিত ফলাফল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।


আরও খবর



রমজানের পর শসার কেজি আড়াই টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরে শসার দামে ধস নেমেছে। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

এ ছাড়াও কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। খানসামা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে আড়াই টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেনি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়নগড় গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো. রশিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আ. সুবহান বলেন, দাম এখন হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। সবজির দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: শসা

আরও খবর



সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধ কবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তিতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ঙ্কর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর



নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হতে পারে এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা।

জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করেনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।


আরও খবর