আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

‘বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের দুই বছর পুর্তি: অনন্য উচ্চতায় বিআরটিসি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম গত ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এ চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মানিত সচিব এর প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন এই ব্রত নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। তাঁরই হাত ধরে এক সময়ের জ্বরাজীর্ণ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি আজ সার্বিকভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়েছে। কিংবদন্তী হওয়ার জন্য কারো স্বীকৃতির প্রয়োজন হয় না, তাঁর অদম্য ইচ্ছা এবং কর্মই তাঁকে কিংবদন্তী হিসেবে গড়ে তোলে। বিআরটিসি একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব পরিবহন সংস্থা এবং এর কর্ম পরিবেশ দেশের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। শত প্রতিকূল পরিবেশ থাকা অবস্থায় এবং নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কিভাবে সততা, প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে জ্বরাজীর্ণ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে সার্বিকভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করা যায় বর্তমান চেয়ারম্যান তার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) মহোদয়ের সময়োপযোগী ও সুক্ষ্ম দিক-নির্দেশনা এবং সঠিক নেতৃত্বে গত ০৭/০২/২০২১ হতে ০৬/০২/২০২৩ পর্যন্ত বিআরটিসির অর্জনসমূহঃ

> বর্তমানে প্রধান কার্যালয়সহ ডিপো/ইউনিটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিজস্ব আয় হতে প্রতিমাসের (০১) তারিখে পরিশোধ করা হচ্ছে।

> বর্তমানে (০৩) মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। গত 2বছরে সিপিফান্ড, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ ১১৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মোট 37,58,88,934 টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

> চেয়ারম্যান মহোদয় যোগদানের (০৭/০২/২০২১) পূর্ববর্তী সময়ের বকেয়া বেতন বাবদ ২ বছরে মোট 9,68,70,663 টাকা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হয়েছে।

> কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০২২ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রনয়ণ করা হয়েছে। ২০২২ সালে কল্যাণ তহবিল ও শিক্ষা সহায়তা তহবিল খাতে মোট ১৮৪ জনকে 39,38,000 টাকা প্রদান করা হয়েছে।

> সাফ জয়ী নারী ফুটবল খেলোয়ারদের বরণের জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজস্ব দক্ষ কারিগর দ্বারা ছাদ খোলা বাস প্রস্তুত করা হয় যা বর্তমান চেয়ারম্যান, বিআরটিসির যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

> বিআরটিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৪৭৯৪ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৬৯৬২ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

> BRTC-SEIP প্রকল্পে আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে 10583 জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে 5749 জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

> বর্তমানে বিভিন্ন পদে মোট ৭৪০ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদে ১৩৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।

> চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দিক নির্দেশনায় অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে 267 জন চালক-সিকে চালক-বি পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

> স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বিআরটিসি'র ১০টি বাসে প্রাথমিক ভাবে চালকদের জন্য ফ্যাটিগ সতর্কীকরণ ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে।

> প্রথমবারের মত দপ্তর/সংস্থা প্রধান হিসেবে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চেয়ারম্যান, বিআরটিসি শুদ্ধাচার পুরুস্কার পেয়েছেন।

> ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (APA) তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থারসমূহের মধ্যে বিআরটিসি ১ম স্থান অর্জন করে।

> পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগের সুবিধার্থে ২১টি জেলার ২৩টি রুটে ৬০টি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

> দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিআরটিসির পর্ষদ গঠন ও কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে।

> বর্তমান গাড়ির নম্বর অনুসারে মেরামত বাজেট প্রদান করা হয় এবং যথাযথ ভাবে মনিটরিং করা হয়।

> পুরাতন গাড়ি নিলাম বিক্রয়ের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ০১ বছরে ২টি লটে ২৯৪টি বাস নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে।

> বর্তমানে ৬০৬টি গাড়ি ভারী মেরামত করে বিআরটিসির গাড়ি বহরে সংযুক্ত করে রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

> প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে যা দ্বারা ভারী মেরামতের কার্যক্রম চলমান আছে।

> বর্তমানে কারিগর নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের  মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষ করে তোলা হয়েছে।

> বর্তমানে বিআরটিসির গাজীপুর কেন্দ্রীয় ‍মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

> বর্তমানে বিআরটিসির বহরে সচল বাস সংখ্যা প্রায় ১৩৫০টি। আরো নতুন কিছু গাড়ি বিআরটিসির বহরে শীঘ্রই যুক্ত হবে।

> বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পেট্রোল পাম্পগুলো সচল করা হয়েছে। যার ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও জ্বালানী খাতে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।

> বর্তমানে ১৯১টি এসি বাসে আনলিমিটে WiFi সুবিধা চালু করা হয়েছে।

> বর্তমানে ১২০০+ গাড়িতে VTS (Vehicle Tracking System) প্রক্রিয়ার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

> প্রাথমিকভাবে ০৬টি ডিপোতে বিআরটিসি ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিআরটিসির সকল ডিপোতে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট অটোমেন সিষ্টেম এর ফলে বাস ও ট্রাকের আয়-ব্যয়, যন্ত্রাংশ, জ্বালানীসহ সকল কার্যক্রম অনলাইন ও অফলাইনে  মনিটরিং করে  তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

> বর্তমানে বিআরটিসিতে ইনহাউজ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

> বর্তমানে শুদ্ধাচার, এপিএ, তথ্য অধিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, জিআরএস, ই-গভর্ণ্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা, কম্পিউটার অপারেটরদের ওরিয়েন্টেশন, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এ যাবত বিভিন্ন বিষয়ে ৪২টি প্রশিক্ষণে ১৪২০জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

> বর্তমানে বিআরটিসি কর্তৃক নিয়মিত ত্রৈমাসিক সমাচার ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

> বর্তমানে প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি ডিপো/ইউনিটে আইসিটি সেল গঠন করা হয়েছে।

> বর্তমানে ৮৫% কাজ ই-ফাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

> বর্তমানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের ভর্তি ও ফি অনলাইনে প্রদান করেছে এবং সিমুলেটর সংযোজন করে আধুনিক করা হয়েছে।

> বর্তমানে যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য আমাদের বিআরটিসি নামক মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে যার দ্বারা জনসাধারণ/ব্যবহারকারী বাসের সঠিক সময় এবং অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন। 

> বর্তমানে প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক প্রধান কার্যালয় হতে মনিটরিং করা হচ্ছে।

> বর্তমানে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ সকল ডিপো/ইউনিটে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

> বর্তমানে ১১টি রুটে ই-টিকেটিং ও ০৩টি রুটে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

> বর্তমানে প্রধান কার্যালয় ও ডিপো/ইউনিটগুলোতে অপেক্ষাগারসহ অন্যান্য স্থাপনাসমূহ দৃষ্টি নন্দন করা হয়েছে।

> বর্তমানে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।

> প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষ আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

> মতিঝিল বাস ডিপোতে একটি অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের কাউন্টার নির্মাণ করা হয়েছে যা অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন।

> বর্তমানে যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য আমাদের বিআরটিসি নামক একটি এ্যাপ চালু করা হয়েছে। এ এ্যাপ এর মাধ্যমে জনসাধারণ/সেবাগ্রহনকারী মোবাইল ও ওয়েব ব্রাউজিং এর মাধ্যমে বাসের রুট, সঠিক সময় ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে।

> বর্তমান চেয়ারম্যান এর যুগোপযোগী ও বহুমুখী সিদ্ধান্তের ফলে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক গতি সঞ্চারিত হয়েছে। বর্তমানে ০৪টি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট ও ২০টি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে বিআরটিসি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। 

> SEIP প্রকল্পের মাধ্যমে TOT এর আওতায় ১৪২০ জন প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

> বিআরটিসির সকল ডিপো/ইউনিটকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে এবং বর্তমানে প্রধান কার্যালয় হতে ডিপো হালকা মেরামত, ভারী মেরামত ও নিরাপত্তাসহ সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।

> প্রধান কার্যালয়সহ সকল ডিপো/ইউনিটের কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে এবং উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

> ডিপো/ইউনিটের অফিস এ্যাডমিনদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত, এপিএএমএস সফটওয়্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

> ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এ আগত দর্শনার্থীদের নিরাপদে মেলায় যাতায়াতের সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুন্সী মহোদয়ের নিকট হতে স্বীকৃতি স্মারক গ্রহণ করেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)।

নিউজ ট্যাগ: বিআরটিসি

আরও খবর



টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হবে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন।

আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।


আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে নারীদের তাড়া করে গুলি ছুড়লো বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গুলিতে বাংলাদেশি এক নাগরিকের বসতভিটার ঘরের চাল ফুটো হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) বিকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৩১-এর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিজিবির কড়া প্রতিবাদের পর সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন নারী কেটে নেওয়া ধান গাছের আড়া  (গোড়ায় অবশিষ্ট খড়) সংগ্রহের জন্য নো-ম্যানসল্যান্ডে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে ওই নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যও তাদের পিছু নেয়। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় ২০ থেকে ৩০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন ভারতীয় ওই সীমান্তরক্ষী। একপর্যায়ে রাইফেল উঁচিয়ে বাংলাদেশি নারীদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, গুলিতে কারও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ধুলারকুটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চালে আঘাত করে। এতে ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গুলিটি মেঝেতে পড়ে। সে সময় রান্না ঘরে বাচ্চুর পুত্রবধূ থাকলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্নাঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার গায়ে লাগেনি। মাঝেমধ্যেই বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা আতঙ্কে থাকি।’

খবর পেয়ে বিজিবি গোরকমন্ডল ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলামসহ বিজিবির একটি দল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নুর আলম বাচ্চুর বাড়ি পরিদর্শন করে গুলিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সোমবার সকালে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। পরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শিমুলবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র রায় এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং। বৈঠকে বিনা উসকানিতে সীমান্তে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি বিএসএফ।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের দাফতরিক মোবাইল নম্বরে ফোন ও খুদেবার্তা দিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল অফিসার মেজর আসিফকে ফোন ও খুদেবার্তা দিলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।


আরও খবর



২৩ নাবিকসহ আজই কুতুবদিয়ায় ভিড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে সোমবার (১৩ মে) রাতে কুবুবদিয়াতে পৌঁছাতে পারে। সেখানে আংশিক পণ্য খালাস হবে। মঙ্গলবার বিকালে বোট বা লাইটার জাহাজে নাবিকদের আনা হবে জেটিতে। রবিবার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।


আরও খবর



চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে রবিবার (৫ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের ও চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ।

এসময় চবি শিক্ষক সমিতির বিদায়ী সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক, চবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর নব নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান, যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, চবি শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ এবং সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর আহবায়ক প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নেতৃবৃন্দকে শিক্ষক সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে বরণ করেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পরে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহেরকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে, স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ চবি উপাচার্যের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে চবি উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় চবি উপাচার্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি পদে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান, যুগ্ম-সম্পাদক পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, এবং সদস্য পদে যথাক্রমে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদ-উন-নবী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম শাহাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



‘বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে

১। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২। ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩। ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।


আরও খবর