আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বরগুনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ: ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে ঘুস বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই ঘুস বানিজ্যের (৬মিনিটি ৪৪ সেকেন্ডের) একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ঘুসের টাকা গননা করতে দেখা যায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে।

ভিডিও থেকে জানা যায়, পথ্য ও ষ্টেশনারি সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারি (প্রতিনিধি) মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন। পরে তাদের দুইজনের মধ্যে কথপকথন হয়। এক পর্যায়ে বেতাগী হাসপাতালে কর্মরত (ফামার্সিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে তার অফিসে ডেকে মামুন খানের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিলটি গুনে তার কাছে রাখতে নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে কৃষ্ণ তার অফিস কক্ষে গিয়ে টাকাভর্তি খামটি খোলেন এবং টাকা গননা করে রেখে দেন।

কথপকথনে দেখা ও শোনা যায়  স্বাস্থ্য কর্মকতা জ্বি মামুন সাহেব বলেন, বিল কি উঠিয়েছেন কবে?  মামুন খান জ্বি  বিল উঠিয়েছি বুধবার। স্বাস্থ্য কর্মকতারিয়াজ মোল্লা কই? সে আমার ঠিকাদার, আপনি তো আমার প্রধান ঠিকাদার না। মামুন খান স্যার রিয়াজ মোল্লার মা অসুস্থ, আপনি তো জানেন আমারা শেয়ারে আছি, তাছাড়া সব কথাবার্তা তো আমিই বলি আপনি আসার পর থেকে। গত বৃহস্পতিবার আপনাকে ফোন দিয়েছি কিন্তু আপনি রিসিভ করেননি। স্বাস্থ্য কর্মকতা ফোন রিসিভ করিনি মানে? আমি সবসময়ই ব্যস্ত থাকি। মামুন খান আমরাও তো ব্যস্ত থাকি, ঠিকাদারি করি, জুন মাসে আমাদেরও তো অন্যান্য চাপ থাকে। তাছাড়া আপনি তো সেদিন বললেন ২১ তারিখ দেখা করতে, তাই আমি এখন এসেছি। ওইটা নিয়ে আসছি স্যার। স্বাস্থ্য কর্মকতা সেটা আপনার আগে যানানো উচিত ছিলো, আমার সাথে কথা বলা উচিত ছিলো। মামুন খান আপনার সাথে তো এসব বিষয়ে মোবাইলে আমি কথা বলতে পারিনা। স্বাস্থ্য কর্মকতা মোবাইলে কেনো বলবেন? আমাকে ইনফর্ম করতেন! যে স্যার আমি বিল পেয়েছি। মামুন খান বিল পেয়েই আপনাকে ফোন দিয়েছি, ফোন ধরেননি দেখে আজ অফিসে আসলাম। এরপরই খামে প্যাকেট করা টাকার বান্ডিল বের করেন মামুন খান। বলেন স্যার শুধু একটু মিসআন্ডারষ্ট্যান্ডিং হয়েছে আর কিছুই না, আপনি রাগ কইরেন না। স্বাস্থ্য কর্মকতা আমার কত আসে? মামুন খান আপনার আসে ৫৩ স্যার, স্বাস্থ্য কর্মকতাআমার আসছে? মামুন খান জ্বি স্যার।

স্বাস্থ্য কর্মকতা টোটাল আসে কত? মামুন খান স্যার তাতো আমি হিসেব করিনি, তবে জাকির সাহেব বলেছেন(হিসাব রক্ষক) স্যারকে (আপনাকে) এটা দিবেন। স্যার তাতে এই ছয়মাসে আমাদের সব খরচ গিয়ে দুজনে মোট পেয়েছি আঠেরো হাজার টাকা। তারপরও বিল পেয়েই আপনাকে নক করেছি। এরপর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফোন দেন প্রধান ঠিকাদার রিয়াজ মোল্লাকে এবং বলেন মামুন সাহেব তো এসছেন, আমার কত ছিলো যেনো ওহ! তারপর কিছুক্ষণ হাসাহাসি করে  ফোন রাখেন। কিছুক্ষণ পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা( ফাহমিদা লস্কর)  কৃষ্ণ কুমার পালকে (ফার্মাসিষ্ট) ডাকেন, এবং বলেন মামুন সাহেবের কাছ থেকে ওইটা গুনে আপনার কাছে রখে দেন।

সর্বশেষ মামুন বলেন স্যার কৃষ্ণ দাদাকে একটু বলে দেন, ক্লিনারের বিলটার ব্যাপারে! কালকে তো ফান্ড ক্লোজ হবে। স্বাস্থ্য কর্মকতা আরে ভাই কালকে কোনো আজকেই হয়ে যাবে, আমি আজ সারাদিন অফিসে কাজ করবো। পরে ভিডিওতে দেখা যায় কৃষ্ণ কুমার পাল খামটি নিয়ে তার কক্ষে যান এবং টাকা ভর্তি খামটি খুলে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল গননা করতে করতে বলেন আপনার(মামুন খান) ক্লিনারের বিল আজই হয়ে যাবে চিন্তা কইরেন না।

হাসপাতালে খাবার (পথ্য ও ষ্টেশনারি) সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারি (প্রতিনিধি) মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান বলেন, বিগত তিন বছর যাবৎ বেতাগী হাসপাতালে পথ্য ও ষ্টেশনারি সরবরাহ করে আসছি। বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডা: ফাহমিদা লস্কর) বিল নিয়ে আমাকে প্রায়ই হয়রানি করেন! মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন। বিগত ছয়মাস আমার বিলের কাগজে স্বাক্ষর দেননি। বিল তুলতে না পেরে বাধ্য হয়ে তার প্রস্তাব মেনে নেই। পরে বিল উত্তোলন করে তাকে বিলের পার্সেন্টেজ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেই। আবার এই তিনমাস হলো আমার কোনো বিলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। গত ২৪ আগষ্ট তার কাছে বিলের আবেদন করলে আবার টাকা দাবী করেন এবং আমি অপরগতা জানালে আমার ওপর রেগে গিয়ে যা তা ব্যবহার করেন। এবং বলেন বিল কিভাবে নেন তা দেখবো। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেনদেনের বিষয়টি সত্য আমি বাধ্য হয়ে তাকে ওই টাকা দিয়েছি।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পাল সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেদিন ঘটনাটি ঘটে ওইদিন আমি অফিসে কাজ করছিলাম, তখন স্যার (ফাহমিদা লস্কর) আমাকে তার অফিস কক্ষে ডাকেন এবং মামুন সাহেবের কাছ থেকে টাকা গুলো গুনে রাখতে বলেন এবং আমি গুনে রাখি। মামুন সাহেব যাওয়ার পর, স্যার পরে ওই টাকা আমার কাছ নিয়ে গেছেন। যেখানে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিলে মোট ৫০ হাজার টাকা ছিলো।

ওই টাকা কোনো জরিমানা কিংবা হাসপাতালের কোনো ফান্ডের কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি(কৃষ্ণ) আরো বলেন, ওই টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মামুন সাহেব দিয়েছেন, যা আমি তারই(ফাহমিদা লস্কর) নির্দেশে গ্রহণ করেছি। ওই টাকা অন্য কোনো ফান্ডের না।

ঘুস লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্কর বলেন, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা  মানসম্মত খাবার পরিবেশন করেন না। আমি এ নিয়ে আরো তাদেরকে ডেকে মিটিং করে হুসিয়ারি দিয়েছি। তবে আমার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ এনেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বরগুনা সিভিল সার্জন ডা: মো মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ঘুস গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে, সঠিকভাবে তদন্তমূলক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এ ধরণের অর্থ বানিজ্যের কোনো সুযোগ নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করে, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে তিন শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) পাঠদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া তিন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরিতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী (৫৫) মারা যান। তিনি জেলার বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন।

এদিন সকালে মাদ্রাসা খোলা থাকায় তিনি নগরের চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। মোস্তাক আহমেদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশীখালীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

এদিন সকালে যশোরে স্কুলে আসার পর আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহসান হাবীব যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামের ইউছুপ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, শিক্ষক আহসান হাবীব আজ সকালে মাঠে কৃষি কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের ধারণা ওই শিক্ষক গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এছাড়া মানিকগঞ্জে শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিক্ষিকা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষক হাছিনা ঢাকার পপুলার হাসপাতালে শনিবার দুপুরে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। পারভীন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে চলমান তাপপ্রবাহ আরো তিনদিন অব্যাহত ও তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে সারাদেশে ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র তাপদাহের মধ্যেই এদিন সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



অনুমোদনহীন স্টিকার: ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১টি এবং ১ হাজার ৩৫০টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদনহীন গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০টি অনুমোদনহীন, ৭৪টি ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪টি অনুমোদনহীন, ৪৬টি ফিটনেসবিহীন ও ৩টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; লালবাগ বিভাগ ৯টি অনুমোদনহীন, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪টি অনুমোদনহীন, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; তেজগাঁও বিভাগ ৩৪টি অনুমোদনহীন, ৫৩টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; গুলশান বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; মিরপুর বিভাগ ৪২টি অনুমোদনহীন, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রির্টানিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী- আনারস প্রতীক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু-কাপ পিরিচ প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব- ঘোড়া প্রতীক, মো. আবুল কাশেম-দোয়াত কলম প্রতীক ও মো. নিজাম উদ্দিন- মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উল্যা-মাইক প্রতীক, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ- উড়োজাহাজ প্রতীক, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী-বই প্রতীক, মো. ইয়াছিন আরাফাত-তালা প্রতীক ও মো. মাসুদুর রহমান-চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা-ফুটবল প্রতীক, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার-হাঁস প্রতীক ও সেলিনা খানম-পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর