আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বইমেলায় এসে জরিমানা গুনতে হল

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি নেমে বাংলা একাডেমির বইমেলা চলছে। মেলায় এসে অনেকে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করায় জরিমানা গুণতে হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা মুখে মাস্ক পরে বইমেলায় প্রবেশ করলেও ভেতরে গিয়ে মাস্ক খুলে চলাচল করছেন। অনেকে মাস্ক ব্যাগের মধ্যে রাখছেন। অনেকে আবার মুখের মাস্ক থুতনি কিংবা হাতে ধরে রাখছেন। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মুখে মাস্ক না থাকা ব্যক্তিদের জরিমানা করেছে।

বইমেলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় অংশ নিতে হবে দর্শনার্থীদের। বই বিক্রেতার জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, টিকা সনদ যাচাইয়ের নির্দেশনা দিয়েছিল মেলা কর্তৃপক্ষ। শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। কারও কারও সঙ্গে মাস্ক থাকলেও, তা মুখে না রেখে পকেটে রেখেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দূর থেকে দেখেই পকেট ও ব্যাগ থেকে মাস্ক বের করে পরতে দেখা গেছে দর্শনার্থীরা।

রায়হান হোসেন ও নাফিসা তারান্নুম নামের দুই তরুণ-তরুণী মাস্ক না পরায় ২০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু তারা দুজনই জরিমানা গুনতে হয়নি, এমন আরও কয়েকজনকে জরিমানা গুনতে হয়েছে।

বইমেলায় হওয়া এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার। তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতেই এ অভিযান। ছুটির দিন হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বইমেলায় অনেকেই আসছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বইমেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরেই ঢুকছেন। তবে ভেতরে ঢোকার পরে কেউ কেউ মাস্ক খুলে পকেটে রাখছেন।

এ সময় বাংলা প্রকাশের বিপণন ব্যবস্থাপক নূরন্নবী চৌধুরীর মুখেও কোনো মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে বাংলা প্রকাশকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বেলা তিনটার দিকেও ওই স্টলে গিয়ে দেখা যায়, তখনো প্রকাশনাটির দশজন বিক্রয় প্রতিনিধির মধ্যে তিনজনের মুখে মাস্ক নেই। এমনকি ব্যবস্থাপক নূরন্নবীর মুখের মাস্কও থুতনিতে নামানো।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিন সাংবাদিকসহ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার সময় তিন সাংবাদিকসহ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়ালের ওপর হামলা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জলের সমর্থক শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান ও ইউপি সদস্য দেলোয়ার আকন, ইউপি সদস্য দুলাল মোল্যা, মামুন আকন ও ইউসুফ মুন্সীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শৌলপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভিডিও করতে গিয়ে ভোরের পাতার শরীয়তপুর ব্যুরো প্রধান জামাল মল্লিক, দেশ টিভি ও দৈনিক আমাদের সময়ের শরীয়তপুর প্রতিনিধি রোমান আকন্দ এবং দৈনিক প্রতিদিনের শরীয়তপুর প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হামলার শিকার হন।

হামলায় মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা ধাওয়া করে। এতে মোটরসাইকেল প্রতিকের সমর্থক ও তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

এর আগে বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল গাড়ি নিয়ে চন্দ্রপুর বাজার দিয়ে প্রচারণায় যাওয়ার সময় ঘোড়া প্রতিকের সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করে। শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়ালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নুরুল আমিন কোতোয়াল বলেন, চন্দ্রপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা বাঁধার সৃষ্টি করে৷ এরপর আমরা শৌলপাড়া বাজারে পৌঁছালে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক ও তিনজন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় হামলার শিকার সাংবাদিক জামাল মল্লিক, রোমান আকন্দ ও আশিকুর রহমান বলেন, শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচারণার সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছি। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, সন্ধ্যায় শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার চলছিল। এ সময় ঘোড়ার সমর্থকরা বাধাঁ দেয়। এর সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন তিন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চায় মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিল্টনের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে মৃত্যুর সনদ তৈরি করা কিংবা মরদেহে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত মর্মে কমিশন মনে করে।

কমিশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

আগামী ৩০ মের মধ্যে সংস্থাগুলোকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন।


আরও খবর



অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অবশেষে ভারতীয় ফুটবলে ঘটতে চলেছে একটি যুগের অবসান। দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা সুনীল ছেত্রী শেষমেশ অবসর নিতে চলেছেন।

জানা গেছে, আগামী ৬ জুন যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা নিজেই জানিয়েছেন সুনীল।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর। ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় এই কিংবদন্তি অধিনায়ক দীর্ঘ সময় ভারতের আক্রমণভাগকে একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। অনেক হৃদয়-বিদারক ম্যাচের সাক্ষীও তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার রয়েছে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সুনীল বলেন, একটা দিন জীবনে কোনও দিন ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি। গত ১৯ বছরে অসহ্য চাপ এবং দেশের হয়ে খেলার আনন্দ, দুটোই আমার সঙ্গে সব সময় ছিল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি দেশের হয়ে এত গুলো ম্যাচ খেলব, ভাল হোক বা খারাপ, এত কিছু করতে পারব। এখন আমি সেটা পেরেছি। গত এক-দেড় মাসে আমি সেটা পেরেছি এবং খুব অদ্ভুত লেগেছে। হয়তো করতে পেরেছি কারণ, আমি বুঝতে পেরেছিলাম পরের ম্যাচটা আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।

জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে এখনও সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকেন ভারতের সমর্থকেরা। কত বার তিনি ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বা দেশকে গর্বিত করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পায়নি ভারত। সম্ভাব্য হিসাবে অনেকের নাম উঠে আসলেও কেউই তার মানের হতে পারেনি।


আরও খবর



বুধবার থাইল্যান্ড যা‌চ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অব ইন‌টেন্ট সই‌য়ের সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে।

প্রধানমন্ত্রীর থাইল‌্যান্ড সফর নি‌য়ে আজ (সোমবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ তথ‌্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি সফরে থাক‌বেন। সফরকা‌লে তি‌নি ব‌্যাংক‌কে ইউএন এসকাপের ৮০তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন।

হাছান মাহমুদ ব‌লেন, চুক্তিটি হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত। এ ছাড়া জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক হতে পারে।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি সম্মতিপত্র সই করতে দুই পক্ষ সম্মত হ‌য়ে‌ছে ব‌লেও জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে। পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময় মতো যোগদান করতে পারবেন বলে তিনি জানান।


আরও খবর