আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বইমেলায় বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাঙালির প্রাণের উৎসব বইমেলা। লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মিলনমেলাও। এই মেলা ঘিরে ভিড় জমান অগণিত পাঠক। এর বড় একটি অংশই নারী। সেই নারীদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করছে। বইমেলায় মুক্তমঞ্চের পূর্বপাশে ৫৭৩ নম্বর স্টল কেন্দ্রবিন্দু প্রকাশনীর। তাদের স্টলের সামনে যেতেই দেখা যায় দুটি ব্যানার। একটিতে লেখা, বইমেলায় কেন্দ্রবিন্দুর স্টলে ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন থাকবে বোনদের জন্য। আপনি বই কিনুন বা না কিনুন, ইমার্জেন্সিতে স্টলে চাইলেই হবে।

অন্যটিতে লেখা, প্রিয় বোন, ইমার্জেন্সি হতেই পারে। প্রয়োজনে, সংকোচ না করে যোগাযোগ করুন আমাদের স্টলে। সেখানে যোগাযোগের জন্য তাদের ফোন নম্বরও দেওয়া আছে। মেলায় ঢুকে এই নম্বরে যোগাযোগ করলে অথবা সরাসরি স্টলে গেলেই বিনামূল্যে এই ন্যাপকিন পাওয়া যাবে।

কেন্দ্রবিন্দু প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী হাসনা আক্তার মিম বলেন, প্রতিটি মেয়েকেই ঋতুস্রাব চক্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নারীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এটি। প্রতি মাসে এই চক্রের জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রেই আকস্মিকভাবে এটি শুরু হতে পারে। এ বিশেষ সময়ে নারীদের সুরক্ষার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রবিন্দু। বইমেলায় এমন উদ্যোগ এবারই প্রথম। এ সুযোগ গ্রহণ করতে প্রকাশনা সংস্থার কোনো শর্ত নেই। নারীরা যেন নিঃসংকোচে এগিয়ে আসতে পারেন, সেজন্য আমরা সর্বদা সচেতন।

কীভাবে এমন ভিন্নধর্মী একটি চিন্তা মাথায় এলো? সে প্রসঙ্গে কেন্দ্রবিন্দুর প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদ তুষার বলেন, পিরিয়ড বিষয়টি আমাদের সমাজে এখনো একটি ট্যাবু। কিন্তু বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক। যেহেতু এটি নির্দিষ্ট দিনেই হিসাব করে হয় না। তাই অনেকেরই প্রিপারেশন থাকে না। আরেকটি বড় সংকট হচ্ছে মেলার মাঠের ১ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ফার্মেসি নেই। তাই একজন বোন চাইলেও তখন কোনো সমাধান পান না। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। যাতে আমাদের বোনেরা ইমার্জেন্সিতে বিপাকে না পড়েন।

তিনি আরও বলেন, মেলার প্রথম দিন বিষয়টি সবারই নজর কেড়েছে। যেহেতু প্রচারণা সেভাবে ছিল না, তাই অনেকেই সেভাবে জানতেন না। তবে মেলা ঘুরে বেড়ানোর পর থেকে দর্শনার্থীরা এটি নিয়ে সম্মুখেই আলোচনা করেছেন, উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। দ্বিতীয় দিন থেকে বুঝতে পেরেছি আমাদের উদ্যোগ নারীদের জন্য কতটা সহযোগিতাপূর্ণ ছিল। আমাদের কাছে অনেকেই এসে স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে গেছেন। তাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত।


আরও খবর



পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেনএ আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আনান কেমিকেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পরিচালক প্রীতিশ কুমার হালদার, উজ্জল কুমার নন্দী, পূর্ণিমা রানী হালদার, রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ ও রাজীব সোম, আইএলএফএসএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পরিচালক সৈয়দ আবেদ হাসান, সহ-সভাপতি নাহিদা রুনাই, সহ-সভাপতি আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী ও কোম্পানির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, আইএলএফএসএলের পরিচালক নুরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, মো. নুরুজ্জামান, এম এ হাসেম, মো. আবুল হাশেম, জহিরুল আলম, আনোয়ারুল কবির, নওশেরুল ইসলাম ও বাসুদেব ব্যানার্জী।

২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পি কে হালদারসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। গত ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদারকে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগর থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামি উজ্জল, রাশেদুল ও রাফসান গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আছেন। উজ্জল ও রাশেদুল অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। চার্জশিটে বাকি ১৯ আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসামিরা আইএলএফএসএল থেকে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা নেন এবং ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সুদসহ ১০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন। পি কে হালদার এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৫২টি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর



হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সই করা পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে বহুমুখী হর্ন অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ন বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অননুমোদিত হর্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো ছাড়াও চালকদের বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিছু কিছু মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণউদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে এ ধরনের হর্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।


আরও খবর