আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে। ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের, বিশেষ করে পেঁয়াজের রাজ্যখ্যাত মহারাষ্ট্রের চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই সেখানকার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

যদিও নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত সরকার।

মূলত, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে দিয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে এবার সরে এল দেশটি।


আরও খবর



রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলা, নিহত ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এর মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। পূর্ব রাফাহর একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) ফিলিস্তিনের তথ্যকেন্দ্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে রাফাহ। শহরের আল-জাইনা এলাকায় আল-হামসের বাড়িতে ইসরাইলি বোমার আঘাতে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি তথ্যকেন্দ্র বলছে— এর আগেও দুটি বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

অ্যাসোসিয়েট প্রেস এজেন্সি (এপি) জানিয়েছে, ইসরাইলি বেশ কিছু ট্যাংক রাফাহ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

এদিকে সোমবার রাফাহ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরই রাফায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মিশরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে ইসরাইলের এমন হামলায় তা ভেস্তে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রায় মাস ধরে গাজার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। তাদের নির্বিচারে বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিন মুসলিম মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয়। শুরুর দিকে রাফায় ক্ষতি না হলেও সোমবার সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এতে প্রাণ বাঁচাতে রাফাহ থেকে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন সাধারণ মুসলিম ফিলিস্তিন।


আরও খবর



ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার এ এম খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান এ অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহারের চিঠি পৌঁছে দেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্টের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি।


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর