আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতে চায় জামায়াত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপির দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনেও সওয়ার হতে চায় বিএনপির কাঁধেই। চার দলীয় জোটের শরিক হিসেবে দলটি এখনও বিএনপির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। তাদের এ মাখামাখি সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান গুঞ্জন থাকলেও জামায়াত নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতোই আছে। কেউ কেউ এ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাইলেও কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন না থাকায় আগামী নির্বাচনে তারা সরাসরি অংশ নিতে পারবে না। তাই বিএনপিই হচ্ছে তাদের একমাত্র ভরসা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে চারদলীয় জোটের (পরে ২০ দলীয় জোট) অন্যতম প্রধান শরিক জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব বেড়েছে বিএনপির। কিন্তু জামায়াত এই দূরত্বের কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কোনো দূরত্ব নেই। কৌশলগত কারণে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই নিজেদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতের দাবি, জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই। জামায়াতে ইসলামীর বেশকয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য তেমন কোনো তৎপরতা নেই। তবে ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী ফ্যাক্টর। সংগঠনটির সাংগঠনিক শক্তি যেমন আছে তেমনি আর্থিকভাবেও সংগঠনের অবস্থান জোরালো। মাঠ পর্যায়েও দলের সাংগঠনিক অবস্থান বেশ শক্ত এবং জনসমর্থনও আছে বলে দাবি জামায়াত নেতাদের। তবে তারা বলছেন, রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে জামায়াতের উপর। যাতে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কটা না থাকে। তারপরও তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে ছাড়বে না, ছাড়ার কথাও ভাবে না।

এদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে সমমনা ছোটবড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। সেই সংলাপে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করলেও জামায়াতের বিষয়ে বিএনপি নিরব রয়েছে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করছেন কি না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, কেন নয়? বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ধারাবাহিকতায় আমরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও আলোচনা করব, দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

জামায়াতও চায় একটা সুযোগ। কারণ নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলের রাজনৈতিক মোড় ঘোরানোর একটা সুযোগ হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা। সেজন্য তারা বার বার বলছে, বিএনপির সঙ্গে তাদের সখ্যতা আগের মতোই আছে। এদিকে বর্তমানে জামায়াতের কার্যক্রম চলছে গোপনে ও প্রকাশ্য দুইভাবেই। এতে করে জামায়াত আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যদিও ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহানগর কার্যালয় দুটিই গত এক দশক ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে দলের কোনো নেতা অফিসমুখী হননি। তবে রাজধানীতে দলীয় পোস্টার লাগানো ছাড়াও দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও অনলাইনে।

জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, দলটির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। এ বিশেষ সেল তিন ধরনের কাজ করবে- প্রথমত, আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী দলের নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা, দ্বিতীয়ত, নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা কারাগারে রয়েছে তাদের জামিনসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তৃতীয়টি, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে পালিয়ে বেড়ানো দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারকে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেই বিষয়ে খোঁজখবর রাখা।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিহিংসায় জামায়াতের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে আন্দোলন করতে হবে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে জামায়াত ইস্যুতে বিএনপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়। এর মধ্যে রাজনীতিতে নানামুখী অস্থিরতা সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেটা আংশিক সত্য হলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বিবেচনায় রেখে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা দরকার।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, রাজপথ এখন অনেকটাই ঠান্ডা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই। ইস্যুভিত্তিক বেশকিছু কর্মসূচি বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলেও জোটগতভাবে কবে শেষ কর্মসূচি পালন করেছে সেটি মনে করা কঠিন। জামায়াতে ইসলামী অতীতে এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ভাবলে মনে হবে- বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? সেক্ষেত্রে যদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকবে বলেও আমি মনে করি।

অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, দল গোছাতে বিএনপি দীর্ঘ সময় নিলেও জামায়াতে ইসলামী খুব একটা সময় নিচ্ছে না। দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম গোছানো। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে যেসব সাংগঠনিক শাখা কমিটি করতে পারেনি সেগুলোর কমিটি দ্রুতই গঠনের কাজ শেষ হবে।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তাদের ভাষ্য, জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আইনি জটিলতায় তাদের নিবন্ধন আটকে আছে। বিএনপির এক নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি এতো কিছু করতে পারে তাহলে জামায়াত কে নিষিদ্ধ করছে না কেন?

নিউজ ট্যাগ: জামায়াতে ইসলামী

আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


আরও খবর



অতিতীব্র তাপদাহে ফের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। পুড়ছে পুরো দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ দফায় বাদ পড়ছে সিলেট অঞ্চল। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু গরমের তীব্রতা না কমায় আজ থেকে ৫ম দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শুরু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দিন দিন এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ বাড়ছে আর কমছে বজ্রঝড়ের সংখ্যা। চলতি এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ৭-৮টি কালবৈশাখী-বজ্রঝড় হয়। কিন্তু এই বছর হয়েছে মাত্র একটি। এবার এ ঝড়ের সংখ্যা সামান্য। যা হয়েছে সিলেট বিভাগেই।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে রাখা হয়নি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি পেসার মুস্তাফিজ। যেখানে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন কাটার মাস্টার ফিজ। বাঁহাতি এই পেসারকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আর সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে থাকায় নেই প্রাথমিক এ ক্যাম্পে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এই প্রস্তুতি ক্যাম্প। এরপর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি। এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সৌম্য সরকার।


আরও খবর