আজঃ সোমবার ০৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিচ্ছেদের জের ধরে স্বামীর হাত ভেঙে দিয়েছেন তমা

প্রকাশিত:সোমবার ২১ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চিত্রনায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্বামী হিশাম চিশতি। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই মামলায় তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকেও আসামি করা হয়েছে।

এবার বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে হিশাম চিশতিকে মারধরের চিত্র ফুটে উঠেছে। হিশাম চিশতি জানিয়েছেন, তিনি আগেই বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন, তার জের ধরেই হামলার শিকার হতে হয়েছে তাকে।

হিশাম জানান, তার এ ঘটনা থেকে লোক শিক্ষা নিক।

এ বিষয়ে কথা বলতে তমা মির্জার ফোনে ফোন কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, বিষয়টি এখন সে অন্যভাবে উপস্থাপন করছে, আমার নামে সে মামলা করেছে পরে। আমি তার নামে আগে মামলা করেছি বাড্ডা থানায়। নারী নির্যাতন, যৌতুক ও সাইবার ক্রাইমে মামলা করেছি চলতি মাসের ৬ তারিখ। সে বাচাঁর জন্য মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সে বিভিন্ন সময় নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন লোকজন নিয়ে এসে হট্টগোল করে, এমনকি গায়েও হাত দেয়। তাই নারী-নিয়াতন, যৌতুক, সাইবার ক্রাইম মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে যদি নিরাপরাধ হতো তাহলে আমার মামলা করার পরদিন মামলা করত না।

অন্যদিকে তমা মির্জাও স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যৌতুক দাবি, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা। দুটি মামলাই হয়েছে রাজধানীর বাড্ডা থানায়।

এদিকে হিশাম চিশতিকে মারধরের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ রয়েছে তার। এ ছাড়া শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারধরের অসংখ্য চিহ্ন। এসব তমা মির্জার নির্যাতনের চিত্র বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম সেখানকার রাজনীতিতে যুক্ত। বিবাদের কারণ হিসেবে হিশাম জানান, ২০১৮ সালে তমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তমার আগেও দুবার বিয়ে হয়েছিল, যা তারা গোপন করেছেন। এ ছাড়া তমার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতাও করে আসছিলেন হিশাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হিশাম করোনার সময় অসুস্থ মাকে দেখতে কানাডা থেকে দেশে আসেন। এরই মধ্যে স্ত্রী তমাকে নিয়ে দুবাইয়ে হানিমুনেও যান। হানিমুন থেকে ফেরার পর নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিবাদ শুরু হয়।

হিশাম জানান, তমার আগের দুই বিয়ের খবর জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবু সংসার টিকিয়ে রাখতে সব কিছু মেনে নিয়েছিলেন।

হিশাম চিশতি বলেন, তমাদের একটি স্বর্ণের দোকানের শেয়ার ছিল। আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নিয়ে তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে আয় করে তারা সংসার চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন। 

নিউজ ট্যাগ: তমা মির্জা

আরও খবর



নিজের সাজা অন্যকে দিয়ে খাটানো সেই যুবলীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর অভিযোগে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নাজমুল হাসানের পক্ষে শুনানি করা শ্রী প্রাণনাথ কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি সাজা খাটানোর ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে রবিবার নাজমুল হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। সে সময় পালিয়ে যায় মামলার মূল আসামি ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামলা করে। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের পর নাজমুলের পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটেন মিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ১১ দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে যান তিনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে দিনভর দেশের ১৫৬ উপজেলায় ভোট হয়। এর মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হয়েছে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

সাতটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সবাই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন। রাতে কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চকরিয়া (কক্সবাজার): বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী দোয়াত-কলম প্রতীকে ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট। জাফর আলম ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। বিগত সংসদ নির্বাচনেও তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।

পেকুয়া (কক্সবাজার): দুই বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু ঘোড়া প্রতীকে ২৩ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুমানা আকতার আনাসর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৪ ভোট।

ঈদগাঁও (কক্সবাজার): উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুল আলম মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯০৭ ভোট।

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট): উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রাকিবুজ্জামান আহমেদ আনারস প্রতীকে ২৪ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ১৯১ ভোট।

রাকিবুজ্জামান সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে এবং মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ এমপির আপন ভাই।

আদিতমারী (লালমনিরহাট): বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৩ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আনারস প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ১৮ ভোট পেয়েছেন।

কাউখালী (পিরোজপুর): উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. আবু সাঈদ মিঞা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছে ৬ হাজার ২৯৪।

নেছারাবাদ (পিরোজপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হক আনারস প্রতীকে ৩৮হাজার ৬১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মুইদুল ইসলাম মোটরসাইলকে প্রতীক নিয়ে ৩৫ হাজার ৫২০ ভোট পেয়েছেন।

বাগমারা (রাজশাহী): জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম সান্টু ঘোড়া প্রতীকে ৪৭ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২১ ভোট।

পুঠিয়া (রাজশাহী): জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৯ ভোট।

দুর্গাপুর (রাজশাহী): দুর্গাপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭২ ভোট।

কাপ্তাই (রাঙামাটি): চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন ৭ হাজার ৩৬২ পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৩ ভোট।

রাজস্থলী (রাঙামাটি): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ উদ্দিন রানা দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৮ ভোট।

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট।

বকশীগঞ্জ (জামালপুর): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

মো. নজরুল ইসলাম জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের আপন ভাই।

বকশীগঞ্জ (জামালপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি মো. আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ঘোড়া প্রতীকে ৩০ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সোলাইমান হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৯৮ ভোট।

সদর (শরীয়তপুর): চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকন্দ ঘোড়া প্রতীকে ৪০ হাজার ৭০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন কোতোয়াল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬৬ ভোট।

জাজিরা (শরীয়তপুর): জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাজী ইদ্রিস আলী ফরাজী মোটরসাইকেল প্রতীকের ৪৭ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আমিনুল ইসলাম রতন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১১২ ভোট।

সদর (ভোলা): চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৭১ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন৩৯ হাজার ৯৮৬ ভোট।

কালকিনি (মাদারীপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৬ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবাসী নুরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৯১৬ ভোট।

সদর (ময়মনসিংহ): চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাইদ দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৫৫৭ ভোট।

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৭ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩৮ ভোট।

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৮৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৬৭ ভোট।

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ): উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা মির্জা মুক্তি মোটর সাইকেল প্রতীকে ৮৮ হাজার ১৯২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নবী নেওয়াজ খাঁন বিন হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬১ ভোট।

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪০ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সন্জিত কুমার কর্মকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৭ ভোট।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান ১ লাখ ১৮ হাজার ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভূঞা রানু পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৩৪ ভোট।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বপন ঘোড়া প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ঘোড়া প্রতীকে ৮১ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন ওমর আনাসর প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৬২৫ ভোট।

নগরকান্দা (ফরিদপুর): আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য কাজী শাহ জামান বাবুল আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান সরদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট।

সালথা (ফরিদপুর): উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী অহিদুজ্জামান মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গনি চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ ভোট।

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম): চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

শার্শা (যশোর): উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছেন।

আদমদীঘি (বগুড়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ১২৮ ভোট।

সিরাজুল ইসলাম খান রাজু স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুল্লাহ আল মেহেদি বাঁধনের বাবা।

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া): উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল হক প্রামাণিক আনারস প্রতীকে ২০ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।

কাহালু (বগুড়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট।

সেনবাগ (নোয়াখালী): নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল আলম দিপু আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. আবু জাফর টিপু দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

চাটখিল (নোয়াখালী): চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির দোয়াত-কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।

সদর (কুড়িগ্রাম): জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম রতন আনারস প্রতীকে ৫২ হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩ ভোট।

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আবু নুর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৭৩ ভোট।

মহম্মদপুর (মাগুরা): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ৪৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কবিরুজ্জামান কবির পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৬২।

শালিখা (মাগুরা): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে ৩১ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৮৪ ভোট।

বরুড়া (কুমিল্লা): আওয়ামী লীগের সমর্থক মো. হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল আনারস প্রতীকে ৯০ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এন এম মইনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬২৩ ভোট।

হামিদ লতিফ ভূঁইয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক।

সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা): কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু হেলিকপ্টার প্রতীকে ২০ হাজার ৭৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের আক্তারুজ্জামান রিপন ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন।

গাংনী (মেহেরপুর): জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়েছেন।

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৭৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেল যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ হাজার ৮৮০।

হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ): উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মো. সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের কর্মী শাহিনুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৭২ ভোট।

ঝিকরগাছা (যশোর): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।

চৌগাছা (যশোর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মোস্তানিছুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট পেয়েছেন।

নকলা (শেরপুর): নকলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুল আলম সোহাগ দোয়াত-কলম প্রতীকে ২০ হাজার ৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মো. মোকশেদুল হক কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ২১৩ ভোট।

নালিতাবাড়ী (শেরপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৬১ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মোকছেদুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৮০৭ ভোট।

কুমারখালী (কুষ্টিয়া): উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্না খাঁন আনারস প্রতীকে ৬০ হাজার ৯১০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোরশেদ পিটার মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়েছেন।

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া): ভেড়ামারা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আবু হেনা মস্তফা কামাল মুকুল।

মিরপুর (কুষ্টিয়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম দোয়াত-কলম প্রতীকে ৭১ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন আনারস প্রতীকে ২৫ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়েছেন।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া): উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই বুলবুল আহম্মেদ চৌধুরী টোকেন আনারস প্রতীকে ১ লাখ ৩ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ৩ হাজার ৩০০ ভোট পেয়েছেন।


আরও খবর



সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সম্পাদক পদ ফেরত পেলেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সোমবার (২৭ মে) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আর এই আদেশের ফলে সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই ডিপজলের।

এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে গত ১৫ মে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুন আক্তার হাইকোর্টে রিট করেন।

তার রিটের প্রেক্ষিতে, গত ২০ মে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থগিতাদেশ দেন আদালত। এই স্থগিতাদেশের বিপরীতে গতকাল রোববার (২৬ মে) নির্বাচিত প্রার্থী মনোয়ার হোসেনে ডিপজল তার আইনজীবীর মাধ্যমে চেম্বার আদালতে আপিল করেন।

গতকাল রোববার এবং আজ সোমবার আপিল শুনানি শেষে চেম্বার আদালত সাধারণ সম্পাদক পদে স্থগিতাদেশ তুলে নেন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা নেই। ডিপজলের আইনজীবীর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে আদালতের রায় পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতা ডিপজল। তিনি বলেন, আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ মামলার শুরুতেই বলেছিলাম, আমি আইনি প্রক্রিয়াই তা মোকাবিলা করব। আমি মাননীয় আদালতের কাছ থেকে সুবিচার পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, সত্য প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর সাহায্য চিরন্তন।

নিপুন আক্তার পুনরায় আপিল করতে পারে, এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ডিপজল বলেন, করতেই পারে। সমস্যা নেই। আইনিভাবেই তা মোকাবিলা করব। আমি এবং আমার প্যানেলের প্রার্থীরা স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এ নির্বাচন ইন্ডাস্ট্রির সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কাজেই আমরা আত্মবিশ্বাসী, সত্যের জয় হবেই। আইনি প্রক্রিয়াও এ সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং হবে।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুন আক্তার (২০৯)।

সহ-সভাপতি পদে ২৩১ ও ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয় মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয় ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুন পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০)।


আরও খবর



বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে: আইএমএফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত বছর বৈশ্বিক ঋণের ভান্ডারে আরও ১৫ ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি যোগ হয়েছে। এর ফলে মোট বৈশ্বিক ঋণ ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইএমএফের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ অনেক দেশেই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেভাবে সরকারের ঋণ বাড়ছে, তার প্রভাব মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার চার বছর পর এখন উন্নত দেশগুলোতে সরকারি ব্যয় প্রাক্ মহামারি পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপির ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। সরকারি ঋণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মহামারি শুরুর চার বছর পর এই দুই দেশে সরকারি ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের গতি কমে যায়। ফলে যেসব দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে গেলে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা পড়ে।

২০২৪ সাল জুড়ে বিশ্বের অনেক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসংখ্যার হিসাবে এসব দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। ইতিহাসে দেখা যায়, নির্বাচনের বছরে সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করহার কমে যায়। নির্বাচনের বছরে দেশে দেশে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে যায়। এবারের নির্বাচনি বছরে এই ঘাটতি যেন লাগামছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। উদীয়মান দেশগুলোতে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ।


আরও খবর



রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলা, নিহত ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এর মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। পূর্ব রাফাহর একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) ফিলিস্তিনের তথ্যকেন্দ্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে রাফাহ। শহরের আল-জাইনা এলাকায় আল-হামসের বাড়িতে ইসরাইলি বোমার আঘাতে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি তথ্যকেন্দ্র বলছে— এর আগেও দুটি বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

অ্যাসোসিয়েট প্রেস এজেন্সি (এপি) জানিয়েছে, ইসরাইলি বেশ কিছু ট্যাংক রাফাহ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

এদিকে সোমবার রাফাহ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরই রাফায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মিশরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে ইসরাইলের এমন হামলায় তা ভেস্তে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রায় মাস ধরে গাজার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। তাদের নির্বিচারে বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিন মুসলিম মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয়। শুরুর দিকে রাফায় ক্ষতি না হলেও সোমবার সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এতে প্রাণ বাঁচাতে রাফাহ থেকে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন সাধারণ মুসলিম ফিলিস্তিন।


আরও খবর