আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বেতন নিয়ে মায়ের কাছে ফিরতে পারলেন না সাগর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা পূর্বপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক হাসান আলি ও সাবিনা খাতুনের দম্পতির তিন সন্তানের (দুই ভাই ও এক বোন) মধ্যে সাগর হোসেন (২০) ছিল সবার বড়। রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের একজন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, অভাব-অনটনের সংসারে পড়ালেখায় বেশি দূর আগাতে পারেননি তিনি। এ বছর এইচএসসি পাশ করে সংসারের হাল ধরতে পাড়ি জমায় ঢাকায়।

শুক্রবার (১ মার্চ) তার বাড়ির সামনে শত শত মানুষ। হঠাৎ একটি লাশবাহী গাড়ি আসতে দেখে কান্নার রোল পড়ে পুরো এলাকায়। সেই গাড়িতে ছিল সাগরের লাশ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গারদা শিল্ড সিকিউরিটি কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ক্লথিং ব্র্যান্ড ইপিলিয়ন শোরুমে কাজ শুরু করেন সাগর। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনে কর্মরত অবস্থায় আগুনে আটকা পড়ে অন্যদের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সাগরের বাবা হাসান আলী বলেন, কৃষিকাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাতে হয়, ছেলেকে পড়ালেখা করানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অল্পবয়সে কর্মের সন্ধানে তাকে ঢাকায় যেতে বলি। কিন্তু এভাবে তাকে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে কখনো ভাবিনি।

মা সাবিনা খাতুন বলেন, দুদিন আগে ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। বেতন তুলে ১০ তারিখে বাড়ি আসবে বলেছিল। বাড়িতে আসার আগেই আমার ছেলেটা পৃথিবী থেকে চলে গেল।


আরও খবর



পাথরঘাটায় পৃথক নিখোঁজ হওয়া দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটার ভাড়ানী খালে পৃথক নিখোঁজ হওয়া তানভীর (৩) ও জেলে মনির হোসেন (৩০) নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজ হয় তানভীর। পরে রাত ১২টার দিকে প্রায় ১০ ঘন্টা পর তানভীরের মরদেহ করে এবং রোববার দুপুর ৩টার দিকে প্রায় ৫ ঘন্টা পর জেলে মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল দশটায় দারিয়ে থাকা ট্রলারে ওপর একটি ট্রলারের ধাক্কায় মনির নিখোঁজ হয়।

মৃত শিশু তানভীর পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের প্রবাসি ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে এবং জেলে মনির হোসেন লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলা চকবাজার এলাকার হাফিজুল্লাহর ছেলে।

মৃত্যু তানভীরের বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, তানভীর কিছু দিন আগে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে নানা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসে। নানা বাড়ির পিছনের পাথরঘাটা ভাড়ানি খালে মা পুতুল বাশ বাগানের জন্য খাল থেকে কাদামাটি উঠানোর কাজ করছিলো। তখন পাশে শিশু তানভীর খেলতে ছিলো। মাটি তোলার কোনো এক সময় খালে পরে নিখোঁজ হয় তানভীর। সেই মোতাবেক খালে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবলি দল এসেও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ১০ ঘন্টা পর রাত ১২টার দিকে ছালেহ মাষ্টারের বরফ মিলের কাছে খালে ভাসমান অবস্থায় তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে রোববার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা ভাড়ানি খালের নতুন বাজার লঞ্চ টার্মিনালের নোঙর করে রাখা মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানা এফবি সাফওয়ান ট্রলারে অপর একটি ট্রলারের ধাক্কা মারে। এসময় মনির হোসেন নামে এক জেলে ট্রলার থেকে ছিটকে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়। এরপর প্রায় ৫ ঘন্টা স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালালেও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয় একটি ডুবির দল উদ্ধার অভিযান করে। এরপর পরই দুপুর ৩টার দিকে স্থানীয় ডুবির দল খালের মাঝখান থেকে মনিরের মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন বলেন, দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক এবং নিখোঁজের পর দুইটি লাশই উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জেলে মনিরের লাশ বরগুনা মর্গ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর থেকে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ আন্তজেলা পেশাদার মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংএ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৯মার্চ পিরোজপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডর সুন্দরবন কুরিয়ার সংলগ্ন সাংবাদিক জিয়াউল হক এর বাড়ির সামনে থেকে একটি কালো রংয়ের একটি মোটরসাইকেল অজ্ঞাতনামা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়ার পর মোটরসাইকেলটির মালিক মোঃ মাইনুর ইসলাম বাদি হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর পরেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর শহরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা থেকে চোরচক্রের সদস্য বাদশা ফরাজিকে গ্রেফতার করে। পরে বাদশা ফরাজির দেয়া তথ্যানুসারে গতকাল ১২ এপ্রিল শুক্রবার নারায়নগঞ্জ, রুপগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা পেশাদার মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম হোতা ও বহু মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ সেলিম খান (৪৪) কে গ্রেপ্তার করে। সেলিম নারায়ণগঞ্জ এর রুপগঞ্জ এলাকার গাফফার খানের ছেলে। পরবর্তীতে সেলিমকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাইঙ্গাইল জেলার সদর থানা এলাকার রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে চোরাই যাওয়া কালো রংয়ের Apache 4V 160cc মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

আসামী সেলিমকে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, মাগুরা, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। মোটরসাইকেল চুরি করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয়লব্দ টাকা দিয়ে মাদক ক্রয় বিক্রয় ও পাচার করে থাকে। ইতোমধ্যে তাদের দুই সদস্য আশুলিয়া থানা ও টাইঙ্গাইল সদর থানায় বিপুল পরিমানে মাদক সহ গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন,  আসামীর নিকট থেকে আমরা পুরো চক্রের সদস্যদের তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের পিরোজপুর ডিবি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামী সেলিম খান এর নামে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানায় একটি চুরির মামলা, সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি মাদক মামলা, ঢাকা জেলার ধামরায় থানায় একটি মাদক মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তা প্রকাশ্যে দেখাবেন না। বিলটি এবার যাবে রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি-র কাছে অনুমোদনের জন্য। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

একবছর আগে ন্যাশভিলের স্কুলে গুলিচালানোর ঘটনায় তিন শিশু-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারপর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

বিলে বলা হয়েছে, স্কুলের ভেতরে কেউ যদি বন্দুক নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাকে প্রতি বছর ৪০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন না। বন্দুক গোপন রাখতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই বন্দুক নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন। তার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং বন্দুকধারীর পরিচয় দিতে হবে।

রিপাবলিকানদের সংখ্যাধিক্য থাকা টেনেসি হাউসে বিলটি ৬৮-২৮ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি যখন পাস হয়, তখন দর্শক গ্যালারি থেকে স্লোগান দেয়া হয়, আপনাদের হাতে রক্ত লেগে থাকবে।

রিপাবলিকান নেতা রিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, একটি প্রতিরোধক তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যজুড়ে গুলির ঘটনা থামানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ও চারজন রিপাবলিকান বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ডেমোক্র্যাট নেতা জাস্টিন জোনস বলেন, রিপাবলিকান সহকর্মীরা আমাদের রাজ্যকে বন্দুকের নলের সামনে রাখছেন। তারা বন্দুক প্রস্তুতকারকদের সাহায্য করছেন। নৈতিক দিক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

জিফোর্ড ল সেন্টারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে স্কুলের কর্মী ও শিক্ষকরা স্কুলের মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে পারেন।

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুকধারীদের তাণ্ডবে অনেক শিশু ও শিক্ষকের প্রাণ গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরে গোলাগুলির এক বছর পর বিলটি পাস হলো।

নিউজ ট্যাগ: যুক্তরাষ্ট্র

আরও খবর



সিডনির শপিং মলে ছুরি হামলা, নিহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির একটি শপিং মলে ছুরি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর- সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।

শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার কিছু আগে বন্ডি জাংশন শপিং সেন্টারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী একজন পুরুষ এবং তাকে থামাতে পুলিশকে গুলি করতে হয়েছে। সে এখনো বেঁচে আছে কি না-নিশ্চিত নয়।

শপিং মলটির অবস্থান সিডনির ওয়েস্টফিল্ড এলাকায়। হামলা ঘটার পর পুলিশ মলটির আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ ইস্যুতে আরো তথ্য জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এখন এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয় জিম্মি চুক্তি করলে রাফাহতে হামলা করা হবে না। তবে হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক এখন ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এই অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি মঙ্গলবার আহ্বান জানান তিনি।

গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’ পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি। তার কথায় গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

গাজায় গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর জায়গায় অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে, ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেয়া হয়েছে।’


আরও খবর