যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারীর ফলে কমেছে মাদক অস্ত্রসহ নারীশিশু পাচার। তবে থামানো যাচ্ছেনা স্বর্ণ পাচার। রুট ও কৌশল পরিবর্তন চোরাকারবারীরা বিজিবির কড়া চৌকির মধ্য দিয়েও পাচার করছে স্বর্ণ। চোরাচারালান প্রতিরোধে বিজিবি বাড়িয়েছে নজরদারী, ফলে একের পর এক আটক হচ্ছে স্বর্ণের চালান। তবে রাঘব বোয়ালরা আটক না হওয়ায় পাচার থামছেনা বলে জানান স্থানীয়রা।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ক্রাইম জোন হিসাবে খ্যাত যশোরের শার্শা-বেনাপোল সীমান্ত। ৬৮কিলোমিটার এ সীমান্তে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছে স্বর্ণ। চোরাচালান বন্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কৌশল পাল্টাচ্ছে সংঘবন্ধ পাচারচক্রের সদস্যরা। কমিশনে ও চুক্তিবন্ধ অর্থের বিনিময়ে চোরাচালানী করেন তারা। মাঝে মধ্যে পাচারকারী আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে বাহিরে আসায় বন্ধ হচ্ছেনা পাচার। সবশেষ ৩০আগষ্ট দৌলতপুর সীমান্ত থেকে ৩ কেজি সোনাসহ আটক হয় ৩ পাচারকারী।
ইউপি সদস্য মো: আবুল হোসেন ও ব্যাবসায়ি ফরিদ গাজি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান কমলেও বেড়েছে সোনা পাচার। দেশ থেকে সোনা পাচাররোধে গণসচেতনতা সহ প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো দরকার।
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় কমেছে বিভিন্ন ধরনের পন্যপাচার। একাধিক স্বর্নের চালানও আটক করা হয়েছে। খুলনা ২১বিজিবি ব্যাটলিয়ন গত ১৮মাসে ১’শ ১২কেজি ৮’শ গ্রাম স্বর্ণ সহ ৪১ জনকে আটক করেছে।