আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাস দুর্ঘটনায় রাজাপুরে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুলাই 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুলাই 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে "বাসার স্মৃতি" নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এ ঘটনায় সেখান থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এবং ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রাজাপুরের একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়।

আইরিন আক্তার (২২) বরিশালের হিজলা উপজেলায় শশুর বাড়ি থেকে রাজাপুরের বলাইবাড়ি বাবার বাড়ি বেরাতে আসেন ১৬ মাসের শিশু কন্যা রিপা মনিকে নিয়ে। আড়াই বছর আগে পারিবারিক ভাবে হিজলা উপজেলায় রিপন বেপারীর সাথে বিয়ে হয় আইরিনের।

শনিবার (২২ জুলাই) আইরিন তার শিশু কন্যা রিপা মনি ও ছোট ভাই নয়ন হাওলাদার (১৬) কে নিয়ে শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় রাজাপুর উপজেলার বলাইবাড়ি নামক ষ্টান থেকে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে বরিশালগামী "বাসার স্মৃতি" নামের একটি বাসে উঠে। বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে বাসটি ঝালকাঠি সদরের ছত্রকান্দা এলাকার গাবখান ধাঁনসিড়ি ইউনিয়নের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে উল্টে পড়ে যায়। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যেই শিশু, বৃদ্ধ ও নারী সহ ১৭ জনের তাজা প্রাণ ঝরে যায়। কান্নায়, আহাজারি আর লাশের মিছিলে ঝালকাঠির আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়। জেলা জুরে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিভে যায় আইরিন, তার কোলে থাকা ১৬ মাসের শিশুকন্যা রিপা মনি ও সাথে থাকা ছোট ভাই নয়ন হাওলাদারের প্রাণ।

এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা আইরিনের পরিবার। ছেলে, মেয়ে ও নাতনির অকাল মৃত্যুতে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন আইরিনের বাবা নূরুল ইসলাম ও মা নূর নাহার বেগম সহ স্বাজনরা। ১৬ মাসের শিশু কন্য রিপা মনি, স্ত্রী আইরিন ও শালা নয়নকে হারিয়ে পাগল প্রায় আইরিনের স্বামী রিপন বেপারী। আইরিনের বাবার বাড়ি এখন শোকের মাতম, কান্না আর আহাজারিতে যেনো ফেটে যাচ্ছে স্বজনদের বুক।

আইরিনের স্বামী রিপন বেপারী, আইরিনের বাবা মা সহ স্বাজনরা এ দুর্ঘটনায় জন্য দায়ী করেছেন বাস চালককে। দুর্ঘটনায় নিহত আইরিন ও তার শিশু কন্য রিপা মনি ও ভাই নয়ন হাওলাদারকে তার বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বাস দুর্ঘটনা

আরও খবর



আনোয়ারায় জমে উঠেছে ভোটের মাঠ, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

আসন্ন ২৯মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজার, অলিগলিসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান( পুরুষ) পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী দোয়াত কলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী  মোটরসাইকেল ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক "আনারস প্রতীক।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবু জাফর চৌধুরীটিয়া পাখি, সালাহ উদ্দিন সারো টিউবওয়েল, আবদুল মান্নান মান্না চশমা, প্রদীপ দত্ত কনক মাইক, সন্তোষ কুমার দে বই, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম পেয়েছেন ফুটবল, পারভীন আক্তার কলসি ও এডভোকেট চুমকি চৌধুরী হাঁস

নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা দিন রাত এক করে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের কাছ থেকে সারা পেয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সব প্রার্থী।

অন্যদিকে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী আনোয়ারায় উন্নয়ন করতে পারবে, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারবে তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলাজুড়ে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এমন সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।

প্রসঙ্গত, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটার সংখ্যা রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮জন এবং মহিলা ১ লাখ ৯ হাজার ২২১জন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, পোলিং অফিসারকে মারধর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসরিনগরে প্রথম দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাতলপাড় ইউনিয়নের এক ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

বুধবার বেলা ১১টার দিকে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে চশমা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান  শেখ হুমায়ুন ও তার কর্মী সমর্থকরা।

এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার পলাশ সরকার। আহত পোলিং অফিসের নাম মো. ফয়সাল আহমদ। তিনি চাতলপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতলপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রতনপুর কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ হুমায়ূনের পক্ষের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রের দখল নিতে চায়। সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্র দখল করতে গেলে পোলিং অফিসার প্রথমে বাধা দেন। তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ওই কেন্দ্রের পোলিং অফিসারের ওপর। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল করিম রানা বলেন, কেন্দ্রের ভেতর অবৈতনিক সুবিধা না পেয়ে পোলিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই অন্যায়।

নাসিরনগর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি, এখন নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



আরও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৫ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার  তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান (প্রশাসন), আকিব রায়হান (প্রশাসন), শাওন হাসান অনিক (প্রশাসন), তালুকদার ইনতেজার (প্রশাসন), চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ (প্রশাসন), আশরাফুল হোসেন (পুলিশ), সুজনুর ইসলাম সুজন (পুলিশ) ও মো. ইমাম হোসেন (পুলিশ) সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দেবেন। উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দেবেন।

ডুসার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম পলেন জানান, বিভিন্ন ক্যাডারে গেজেটপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। বিদায়ী কর্মকর্তারা তাদের সততা, পেশাদরিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে জনগণের সেবা করবেন। ডুসার পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আবার আটকে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি কোম্পানি ইতাল-থাইয়ের শেয়ার চীনের সাইনোহাইড্রো করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আবার আটকে যাওয়ায় সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পে নির্মাণকাজে ফের বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো।

গত সোমবার সাইনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন হাইকোর্ট। কিন্তু বাদী পক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের ওই আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ দিন আদালতে ইতালিয়ান-থাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। আর সাইনোহাইড্রোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ইতাল-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তাদের শেয়ার সাইনোহাইড্রোর কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতে হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ থেমে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মগবাজার অংশে। চলতি বছরেই অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তিন কোম্পানির এ দ্বন্দ্ব অবশ্য শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ২০১১ সালে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পায় থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইতাল-থাই। তবে অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় আট বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে চীনের দুই কোম্পানি শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সাইনোহাইড্রোকে যুক্ত করে শুরু হয় কাজ। এ কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের শেয়ার দাবি করে সাইনোহাইড্রো। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শুরু হয় আরবিট্রেশন। এদিকে বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যায় ইতাল-থাই। এরই মধ্যে প্রকল্পে ঋণ সহায়তা স্থগিত করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক। তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলা দ্বন্দ্বে থমকে যায় রাজধানীর যানজট নিরসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ। শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা নিয়েও।

বিওওটি ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে নির্মাণ চুক্তি হয়। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অংশ উদ্বোধন করা হয়। পরদিন এই অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেট-সংলগ্ন র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।


আরও খবর