আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার খুলে দিলো মালদ্বীপ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল দেশ মালদ্বীপ। এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারগুলোর একটি। চার বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার খুলে দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমেকে দেয়া এক বিবৃতিতে মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে কোনো বাধা নেই। অন্য যে সব দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হতো, সেসব দেশের অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এরই মধ্যে যেসব বাংলাদেশির ডকুমেন্টস বা নথিপত্র অনলাইন সিস্টেমে আপলোড করা হয়েছে, তাদের নথিগুলো প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও টেকনোলজি মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর যাবত হাইকমিশনের পক্ষ হতে মালদ্বীপ সরকারের সাথে বাংলাদেশের শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে গত ১৩ ডিসেম্বর মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর সাথে হাইকমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হলে ইতিবাচক আশ্বাস প্রদান করা হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য ভিসা প্রদানের নতুন ঘোষণা এলো।

গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মালদ্বীপে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া বন্ধ রয়েছে। এরপর অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকার অবস্থান নেয়ায় অনেক প্রবাসী বিপাকে পড়ে।

এরই মধ্যে দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলতে থাকে। অবশেষে তার ইতিবাচক ফল মিলেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয়। তবে কতজন বা কোন প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নেয়া হবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি কিছু মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিকভাবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এক বছরের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিষিদ্ধ করার পর প্রতিবছর এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট ড. মুইজের প্রশাসন ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞা নবায়ন না করে বাংলাদেশি কর্মী প্রবেশে উন্মুক্ত করে দেয়। বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও অন্যান্য দেশ থেকে দেশটিতে শ্রমিক নিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।

 নতুন কর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীদের সমস্যা মোকাবেলায় ইমিগ্রেশন এখন বড় ধরনের অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটিতে অবৈধ প্রবাসীদের সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজতে অভিযান শুরু করেছেন বলেও জানান মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন।


আরও খবর



ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পৌঁছার পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর



চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীক চাপা দেয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর



গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য

সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত ১ এপ্রিল হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে গত শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে।

দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।

দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা : প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে র‍্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে আর ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার, ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান : ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি, ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি, ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের আছে ১৫৫টি।

হেলিকপ্টার : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান বলছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস-এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এদিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি : নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে আছে ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি, ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি : সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে, কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলার জেরে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ইইউ’র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে বসা সংঘাতের লাগাম টানতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ’র ২৭ দেশের নেতাদের বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েল ইরানের হামলার প্রতিশোধ নেয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটি তারা কীভাবে নেবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরায়েল নিজস্বভাবে বড় ধরনের হামলার জবাব যেন না দেয়।’


আরও খবর