আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশ হাইকমিশন-কনস্যুলেট থেকে কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন এবং কনস্যুলেট থেকে নিজেদের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জরুরি নয় এমন কর্মীদের ফিরিয়ে নেয় দেশটি।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারত তার হাইকমিশন এবং কনস্যুলেট থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে।

বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে অপ্রয়োজনীয় স্টাফ এবং পরিবারদের সদস্যরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছেন।

ভারতের দুটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পর ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশে তার দূতাবাস এবং কনস্যুলেট থেকে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় স্টাফ এবং তাদের পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।

তবে সমস্ত ভারতীয় কূটনীতিক বাংলাদেশে রয়েছেন এবং মিশনগুলো কার্যকর রয়েছে বলেও সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা গত সোমবার পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যার্তদের পাশে দেশীয় ব্র্যান্ড মিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। গত ২১ আগস্ট ভারত থেকে উজানের পানি এসে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ভাসিয়ে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ রওনা দিতে থাকে মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে। পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ত্রাণ সংগ্রহের বিভিন্ন আহ্বান এবং কৌশল।

এই বন্যায় মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নজির দেখা যাচ্ছে, তা সত্যি এক নতুন বাংলাদেশ গঠনের শুভ লক্ষণ হিসেবে অনুমান করা যাচ্ছে। দেশের মানুষ দেখিয়েছে যে তারা যেকোনো জাতীয় সমস্যা ঐক্যবদ্ধ হয়েই মোকাবেলা করবে এবং করতে পারে। এরকম সংকটময় মুহুর্তে নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এগিয়ে এসেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ মিরা

অল্প সময়েই পরিচিত হয়ে উঠা মিরা তাদের ফেসবুক পেইজে জানিয়েছে, দেশে একের পর এক দুর্যোগ চলছেই। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় আমরা মিরা-র এডমিনরা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। নানা অস্থিরতায় যদিও এখন ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ, তবুও মানবিক বিবেচনায় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মিরা থেকে সেল এর ১০% বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে দেবার সিদ্ধান্তে আমরা সম্মত হয়েছি।

আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মিরা থেকে যা কিছুই কেনাকাটা করবেন সেই মূল্যের ১০% চলে যাবে বন্যার্তদের সহায়তায়। মানুষের পাশে মানুষ থাকুক।

নিউজ ট্যাগ: মিরা

আরও খবর



বাঁশখালীতে পৌর মেয়রসহ অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোছাইনসহ বাঁশখালীর অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধি এখন লাপাত্তা। আত্মগোপনে চলে গেছেন অনেকে। তাদের অফিস ফাঁকা পড়ে আছে। এই নেতৃত্বহীনতার কারণে সাধারণ মানুষ, যারা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে যান, তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাঁশখালীর আওয়ামী লীগ নেতা এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত পৌরসভার মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ী পুইছড়ির তারেকুর রহমান, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাহউদ্দিন কামাল, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন, শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম ফারুকী এবং বাহারছড়ার রেজাউল করিম ইউনুস নিয়মিত অফিস করছেন। তাছাড়া গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী কারাগার থেকে মুক্ত হলেও তার ইউনিয়ন গন্ডামারায় এখনো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়ে গেছে। লেয়াকত আলী গত বছর প্রথমবার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মেম্বার ওসমান গণি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর অন্যান্য রাজবন্দিদের মত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীও মুক্তি পান।

 এছাড়া বাঁশখালীর অন্যান্য সকল ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এমনকি সাবেক দুইবারের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীও লাপাত্তা। গত জুন মাসে সাংবাদিক ও তার প্রতিপক্ষ কয়েকজনকে সাবেক এমপির গালাগালি ও হুমকি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আইসিটি আইনে একটি এবং হুমকির বিষয়ে পৃথক পৃথক মামলা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন মোস্তাফিজ। সরকার পরিবর্তনের পর সাবেক এই এমপির চাচা চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ এমনকি তার মেয়ে যুব মহিলালীগ নেত্রী রওকত নুর প্রিয়তারও কোন হদিস নেই।

বাঁশখালীতে বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিরা হলেন, পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোছাইন, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, চাম্বলের মুজিবুল হক চৌধুরী, শীলকূপের কায়েস সরওয়ার সুমন, বৈলছড়ির কফিল উদ্দিন, সরলের রশীদ আহমদ চৌধুরী, খানখানাবাদের জসীম উদ্দিন হায়দার, কালীপুরের শাহাদাত আলম এবং কাথরিয়ার ইবনে আমিন।

ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ সম্পর্কে মোজাম্বিকে পালানোর গুঞ্জন থাকলেও তিনি বাড়িতেই আছেন। যদিও ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত। অন্যদিকে, গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। তিনি স্বৈরাচার হাসিনাকে হুমকি দেওয়ার অপবাদে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন এবং একাধিক মামলায় জেলে ছিলেন বলে দাবি করেন। এখন তিনি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেতে আইনি লড়াই করছেন এবং আবার জনগণের সেবায় ফিরতে আশাবাদী।

গত ৫ আগস্ট বাঁশখালী আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়। মুজিবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার এবং তার ভাইয়ের বাড়িসহ পার্শবর্তি মাওলানা খালেদুর রহমানের বাড়িটিও সম্পুর্ণরূপে পুড়ে যায়। তিনি চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গায় একটি মসজিদের ইমাম এবং জলদী বড় মাদরাসার সাবেক শিক্ষক। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের পিতাকে মারধর এবং তার বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মুজিবুল হক চৌধুরী পিটার হাসকে হুমকি দেওয়ার জন্য আলোচনায় ছিলেন। এর আগে ৪ আগস্ট জামায়াত নিয়ন্ত্রিত চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ ও ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ ওঠে মুজিবুলের বিরুদ্ধে। গতকাল এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরীমন আক্তারও অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেছেন, তিনি এলাকাতেই আছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি আরেকটু উন্নতি হলে নিয়মিত অফিস করবেন তিনি।

চাম্বল ইউনিয়নের মুন্সীখীল এলাকার বাসিন্দা আরাফাত সানি বলেন, চাকরির আবেদনের জন্য চেয়ারম্যান সনদ নিতে গত তিনদিন ধরে পরিষদে ঘুরঘুর করছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সেটি তিনি পাচ্ছি না। চেয়ারম্যান সনদ না পেলে আমার চাকরির আবেদন করা হবে না।

একই এলাকার আবদুল মজিদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ছাড়া ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ পেতে আবেদন করতে পারছি না। এ কাজে কয়েকদিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। প্রতিদিন যাতায়াতে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

অন্যদিকে, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি, এর অঙ্গসংগঠন, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজত ও আলেম ওলামারা এবং জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন টিম তৈরি করে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, থানা, মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। গত শনিবার থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী এবং সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থানার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনসাধারণকে থানায় সেবা নিতে আসার জন্য বলেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


আরও খবর



মরক্কোতে ভয়াবহ বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। সেইসঙ্গে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ জন। রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রশিদ খলফি বলেছেন, মরক্কোর ১৭টি এলাকা এবং প্রদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার আঘাতে প্রাথমিকভাবে ১১ জনের প্রাণহানির কথা জানা গেছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের টাটা প্রদেশে সাতজন এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় মারাকেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পূর্বে এররাচিডিয়ায় দুজন মারা গেছেন।

তিনি বিস্তারিত উল্লেখ না করে বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

খালফি বলেন, এই অঞ্চলে সাধারণত সারা বছর ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে দুই দিনে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তার প্রায় সমান ছিল।

তিনি আরও বলেন, সেখানে বন্যার কারণে ৪০টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং ৯৩টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগে বিদ্যুত, খাবার পানি এবং টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কালিয়াকৈরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা: স্বামীকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তার ঘাতক স্বামীকে বেঁধে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত বাবুল হোসেন (৪০) একই এলাকার মৃত মোগর আলীর ছোট ছেলে। 

শুক্রবার সকালে উপজেলার বড়গোবিন্দপুর (সুধিনচালা) এলাকায় নিজের ঘরের বারান্দা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মাঝে চলছে মাতম।

মৃত আখি আক্তার (৩৬) কালিয়াকৈর উপজেলার বড় গোবিন্দপুর (সুধিনচালা) এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫/১৬ বছর আগে কালিয়াকৈর উপজেলার বড়গোবিন্দপুর (সুধিনচালা) এলাকার মৃত মোগর আলীর বড় ছেলে প্রবাসী আবুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আখির বিয়ে হয়। তার ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে দেবর বাবুল হোসেনের সঙ্গে আখির গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর কয়েক বছর যেতে না যেতেই ওই সম্পর্কের জেরে বাবুল ও আখি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে বাবুল কখনো রাজমিস্ত্রি কখনো মাছ ব্যবসায়ী এবং স্ত্রী আখি স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন। তাদের স্বামী-স্ত্রীর সংসারেও ৯ বছরের এক ছেলে ও পাঁচ মাসের এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝেই কথাকাটকাটি থেকে ঝগড়া-বিবাধ হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতেও টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।

এর জেরে শুক্রবার ভোররাতে স্ত্রী আখিকে তার স্বামী বাবুল কুড়াল দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে করে হত্যা করে। সকালে টিউবয়েল পাড়ে আচড়ে পড়ে ও স্ট্রোক করে আখি মারা গেছেন বলেও ডাকচিৎকার করে অপপ্রচার চালায় তার স্ত্রী বাবুল। পরে নিহতের পরিবার ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আখিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে সন্দেহ হলে বাবুলকে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের ঘরের বারান্দা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এসময় আটককৃত ঘাতক স্বামী বাবুলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘাতক স্বামী বাবুলকে আটক ও একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



মাশরাফি ও তার বাবাসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে।

মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি করেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মুজাহিদুর রহমান। মাশরাফির নামে নড়াইলে এটাই প্রথম মামলা।

মামলার ১ নম্বর আসামি মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজাকে। ৩ ও ৪ নম্বর আসামি হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুমান আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল কুন্ডু ও সরদার আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচিন কুমার চক্রবর্তী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডু, জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার, আইনজীবী মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সদর উপজেলার নাকশি বাজার থেকে মালিবাগ হয়ে মিছিল সহকারে শহরের দিকে আসছিলেন। মিছিলটি শহরের শেখ রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে পৌঁছালে ১ থেকে ৪ নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামি মাহমুদুল হাসান শটগান দিয়ে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তখন সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেনের হুকুমে আসামি হাফিজ খান মিলন ও নাঈম ভূইয়া পিস্তল দিয়ে মিছিলে গুলি করে। এতে মিছিলে থাকা শফিকুল ইসলাম ও সোহান বিশ্বাস নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন।

আসামিদের মধ্যে কয়েকজন বোমাবর্ষণ করেন, কয়েকজন ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করেন। অন্য আসামিরা লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি নিয়ে নিরীহ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করেন। এতে অনেকেই আহত হন। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।


আরও খবর