ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি
মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের
মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের
সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।
তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা।
ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে
ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।
বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার
টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন
কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা
২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের
নজর কাড়ছেন।
তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক
পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের।
এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার।
তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন
সব বয়সী মানুষ।
ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন,
প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে
নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে
দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।
তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে
এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।
সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার
সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত
ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।
ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন
বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয়
কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে।
তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে
হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই
মূললক্ষ্য।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল
ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি
দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।