আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল চাপায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল চাপায় মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার পাড়াতলী গ্রামের সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুটির নাম মোঃ আয়াত (৩)।

আয়াত উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মামুন সিকদারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে মায়ের সাথে দাঁড়িয়ে ছিল আয়াত। স্থানীয় রবিউল নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আয়াতকে চাপা দেয়। এতে আয়াত গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়াতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথেই মারা যায় শিশু আয়াত।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহ: আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে আবহাওয়া অফিস গত ৩ এপ্রিল হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় দীর্ঘায়িত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকায় এই হিট অ্যালার্ট আরও বাড়ানো হয়েছে।

আজ সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অঞ্চলভেদে সামান্য হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




তামান্না ভাটিয়াকে সাইবার সেলে তলব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। তবে সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখতে কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে। দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

এ মামলায় ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া বাহুবলী এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি লাস্ট স্টোরিজ-২ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


আরও খবর



‘কোক স্টুডিও বাংলা’ তৃতীয় সিজনের প্রথম গান ‘তাঁতি’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁতী শিরোনামের গানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজন। প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও ওলি বয়। চমক হিসেবে পাওয়া গেল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।

ব্যাকগ্রাউন্ড শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানের ভিডিওতে মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় এসেছেন জয়া। শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনির লেখা এই গান প্রযোজনা করেছেন তৃতীয় সিজনের মিউজিক কিউরেটর শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

তৃতীয় সিজনের প্রথম গান নিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোক স্টুডিও জানিয়েছে, তাঁতী একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সঙ্গে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

এই শব্দ, এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে। তাঁতি গঞ্জের আলীর সঙ্গে অর্ণবের সুর মিলে গানটি এই শৈল্পিকতাকে প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওলি বয়ের অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান এই শিল্পীর পরিবেশনা গানটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

তৃতীয় সিজনে থাকবে বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের পরিবেশিত নানা ধরনের মোট ১১টি গান। প্রথম দুই সিজনের মতোই এই সিজনেও মিউজিক কিউরেটর হিসেবে আছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। সংগীত প্রযোজক হিসেবে তাঁর সঙ্গে আরও থাকবেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ এবং অন্যরা।


আরও খবর