আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাঞ্ছারামপুরে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বসুন্ধরা গ্রুপ মানবসেবায় অনেক এগিয়ে, যার বাস্তবচিত্র আমি আমার সামনে দেখেছি। এই মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র লোকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সবচেয়ে বড় মানবিক গুণাবলী

আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলো ৩ হাজার পরিবারের মাঝে। প্রত্যেকটি প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল এবং ৩ কেজি আটা। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়। এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি তপন চন্দ্র সূত্রধর, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা শমসাদ বেগম।

অন্যান্যদের মাধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুলতানা মরিয়ম। বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আব্দুল্লাহ, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, বসুন্ধরা গ্রুপের বিজিএম মাইমুন কবির, বসুন্ধরা গ্রুপের উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার মো. জামাল উদ্দীন, মো. আনোয়ার হোসেন আনোয়ার, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ মানবসেবায় অনেক এগিয়ে, যার বাস্তবচিত্র আমি আমার সামনে দেখেছি। এই মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র লোকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সবচেয়ে বড় মানবিক গুণাবলী। পত্র-পত্রিকা পড়ে দেখতে পাই বাঞ্ছারামপুরের মতো সারা বাংলাদেশে বসুন্ধরা এই খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের কল্যাণ কামনা করছি এবং পাশাপাশি এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করছি। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সৈয়দা শমসাদ বেগম উপস্থিত কর্মহীন ব্যক্তিবর্গের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কালের কণ্ঠর প্রতিনিধি ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার।

জানতে চাইলে সুবিধাভোগী রহিছা বেগম (৬৫) খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পেয়ে আনন্দে বলে, এত বড় খাবারের বস্তা আমারে আর কেউ দেয় না। আমি হগলের লাগি দোয়া করি। খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন দিলবরের নেছা (৫০)। তার হাত ভেঙে গেছে। বলেন, হাত ভাইঙ্গা না খাইয়া চলতাছি। বসুন্ধরা অনেকটি খাবার দিছে। আল্লাহ যেন সবাইরে ভালা রাখে।

দিনমজুর রব্বান মিয়া (৭০) বলেন, করোনার সময় কেউর কাছে টেহা হাওলাত চাইলেও দেয় না। খাইয়া না খাইয়া আছি। কেহ দেহে ও না। বসুন্ধরা আমরারে খাবার দিছে। বসুন্ধরার হগলের লাগি দুই হাত তুইল্লা আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর



হলফনামায় যে পরিমাণ সম্পত্তি দেখালেন কঙ্গনা রানাওয়াত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। রিল থেকে রিয়েল লাইফে বেশ আলোচিত। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির কড়া সমর্থক তিনি।

এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ভক্তদের মাঝে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

কঙ্গনা হলফনামায় জানিয়েছে, তার বাড়ি-গাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় ৯১ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১৭ কোটি টাকার দেনা রয়েছে এ অভিনেত্রীর।

হলফনামা থেকে জানা যায়, মুম্বাইয়ে তিনটি বাড়িসহ প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। একটি বাংলো রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কয়েক বছর আগে জন্মভূমি মানালিতে একটি বাড়ি বানিয়েছে যার বাজারমূল্যও প্রায় ১৬ কোটি টাকা। চণ্ডীগড়ে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে।

এছাড়া কঙ্গনার প্রায় সাড়ে ৬ কেজি গয়না রয়েছে। এবং রুপো রয়েছে ৬০ কেজির মতো। যার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ব্যাংকে রয়েছে  ১.৩২ কোটি টাকা। অভিনেত্রীর বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, সঙ্গে একটি স্কুটারও আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪ কোটি।

উল্লেখ্য, কঙ্গনা রানাওয়াত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং চারবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। পাঁচবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেরা ১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কুইন ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাকে বলিউডের রানি বলা হয়। বিভিন্ন সময় বির্তকের কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি।


আরও খবর



যে দক্ষতা থাকলে চাকরি হারানোর ভয় নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এসে চাকরির বাজারে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তাই নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে আপডেট থাকাটা খুবই জরুরি। এতে করে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা কমবে। সেই সঙ্গে নতুন চাকরি পাওয়ায় তুলনায় সহজ হয়ে যাবে।

প্রযুক্তির উদ্ভাবনে কাজের সময় আর কর্মপদ্ধতিতেও নানা পরিবর্তন আসতেই পারে। এ পরিবর্তন মেনে নেওয়া ও তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিকতা আপনার থাকতেই হবে। তা থাকলে কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে পারবেন আপনি।

অনেক কাজই অদূর ভবিষ্যতে অটোমেটেড হয়ে যাবে, প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ঘটবে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির প্রয়োগও হবে। সেসব প্রযুক্তি যদি দ্রুত শিখে নেওয়া না যায়, চাকরির বাজারে টিকে থাকা ততোই কঠিন!

ধরা যাক, কেউ কোনও একটা কাজ খুব ভালো পারে। কিন্তু ওই একটা কাজের জন্য তার চাকরিতে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল নয়! কিন্তু যদি অন্য আরেকজন যদি তিনরকমের তিনটি কাজ খুব ভালো পারে, তাহলে তার টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার চোখে ওই মাল্টি ট্যালেন্টেড ব্যক্তির গুরুত্বও বেশি।

তাই শুধু একটা কাজেই নিজেকে বন্দি করে রাখা উচিু নয়। নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মন দেওয়া উচিত।

ভবিষ্যৎ যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক, মনে রাখতে হবে যন্ত্র কখনও মানুষকে ছাপিয়ে যেতে পারে না! তাই সৃজনশীলতা, নতুন অভিনব ভাবনাচিন্তা কখনোই পুরোনো হওয়ার নয়। নতুনভাবে কাজ করা, নতুন আইডিয়া, এ সবই চিরন্তন।


আরও খবর



জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতায় অটিজম বিভাগের প্রথম রায়াত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতায় অটিজম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আব্দুর রাজ্জাকের দৌহিত্র ওয়াজিহ তৌসিফ রায়াত। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফিলিপাইনে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক আইটি প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াজিহ তৌসিফ রায়াত।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক ৮ম বারের মতো যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা শনিবার  আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতাটি সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকার মিরপুর রূপনগরে অবস্থিত বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।

অটিজম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করায় ওয়াজিহ তৌসিফ রায়াত আগামী অক্টোবর ২০২৪ -এ ফিলিপাইনে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।


আরও খবর



টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে জিম্বাবুয়েকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। উড়তে থাকা স্বাগতিকদের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। অন্যদিকে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আজ মাঠে নামবে সফরকারীরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

গত ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গি, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা, জোনাথন ক্যাম্পবেল ও অ্যাশলে এনডিলুভু।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর