নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিলো ৫ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়লো ৫ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। গত বাজেটের বিবেচনায় চলতি বাজেটে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে দেশের ৫২তম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। তার বাজেট বক্তৃতায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের তথ্য উঠে আসে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমুদ্র বন্দরগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে স্থল ও নৌ-বন্দগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রপ্তানি বাণিজ্য এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যতম লজিস্টিকস হল বন্দরসমূহ। ফলে শুরু থেকেই সমুদ্রবন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টায় বন্দরগুলো জাহাজ আগমন ও পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে কন্টেইনার সংরক্ষণ ও কন্টেইনার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এ ছাড়া মোংলা বন্দরকে একটি আধুনিক সমুদ্র বন্দরে রূপ দেয়ার জন্য কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, মংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, নতুন জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পায়রা বন্দরকে একটি বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
যাত্রী পরিবহনে নৌ-পথের ব্যবহার প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের উদ্দেশে ঢাকার চারপাশে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌ পথ নির্মাণ করা হয়েছে, বর্তমানে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। গত ১৪ বছরে আমরা মৃত এবং মৃতপ্রায় নদীতে খনন ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কিলোমিটার নৌ-পথ পুনরুদ্ধার করেছি।