আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাজেটে নৌ পরিবহনে বরাদ্দ বেড়েছে দিগুণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিলো ৫ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়লো ৫ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। গত বাজেটের বিবেচনায় চলতি বাজেটে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে দেশের ৫২তম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। তার বাজেট বক্তৃতায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের তথ্য উঠে আসে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমুদ্র বন্দরগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে স্থল ও নৌ-বন্দগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রপ্তানি বাণিজ্য এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যতম লজিস্টিকস হল বন্দরসমূহ। ফলে শুরু থেকেই সমুদ্রবন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টায় বন্দরগুলো জাহাজ আগমন ও পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে কন্টেইনার সংরক্ষণ ও কন্টেইনার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এ ছাড়া মোংলা বন্দরকে একটি আধুনিক সমুদ্র বন্দরে রূপ দেয়ার জন্য কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, মংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, নতুন জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পায়রা বন্দরকে একটি বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

যাত্রী পরিবহনে নৌ-পথের ব্যবহার প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের উদ্দেশে ঢাকার চারপাশে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌ পথ নির্মাণ করা হয়েছে, বর্তমানে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। গত ১৪ বছরে আমরা মৃত এবং মৃতপ্রায় নদীতে খনন ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কিলোমিটার নৌ-পথ পুনরুদ্ধার করেছি।


আরও খবর
ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪

খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।

এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।


আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অবশ্য রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে সোমবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অবশ্য গাজার মিডিয়া আউটলেট মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মূলত হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা করে ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে এসে আশ্রয় নেন। এখন সেই রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলিরা।

এছাড়া রাফাহতে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিসর।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

রবিবার হামাস কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর গাজার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হামাসের পক্ষ থেকে কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইসরায়েল রাফাহ আক্রমণের হুমকি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে।

রয়টার্সের সাথে কথা বলা হামাসের দুই কর্মকর্তা সর্বশেষ প্রস্তাবের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামাস শনিবার ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ রবিবার (৫ মে)। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনি বলেছেন, রবিবার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি সেই ট্রেনের উদ্ধার অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৩ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগি রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।


আরও খবর