আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে দীর্ঘ সময়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর জনজীবনে ফিরতে শুরু করেছে স্থিতিশীলতা। এই অবস্থায় বাজারে অন্যান্য পণ্যের গতি-প্রকৃতি স্বাভাবিক না হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি, মাছ ও ডিমের দাম আগের অবস্থায় ফিরেছে। তবে, ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে আগের থমথমে পরিস্থিতির রেশ আছে। বাজারে মানুষ কম আসছে। তাতে বিক্রি কমেছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, বরবটি ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকায়, পটল ৫০-৬০ টাকায়, মরিচ ১৮০-২০০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকায়, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকায়, পেঁপে ৬০ টাকায়, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকায়, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকায়, শসা ৬০-৭০ টাকায়, গাজর ১২০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ও টমেটো ১৫০-১৮০ টাকায়।

বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সামছুল হক জানান, আজকের বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা দুইদিন আগেও ছিল ৩০/৪০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকায়, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

তিনি জানান, টমেটোর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় টমেটোর দাম দিনদিন বাড়ছে। আজকের বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা সায়েদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার এলে কিছু জিনিসের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। শুক্রবার এলে শসা, টমেটো আর গাজর এই জিনিসগুলোর চাহিদা বাড়ে, দামও বাড়ে।

অন্যান্য সবজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ার দামটা একটু বাড়তি। সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঢাকায় অনেক গাড়ি আসতে ভয় পায়, অনেকে আসতে চায় না, এলেও ভাড়া বেশি দিতে হয়। আর এসবের প্রভাব এসে বাজারমূল্যে পড়ে।

বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনেছি ৪০ টাকায়, আজ সেটিই কিনলাম ৬০ টাকায়। সবকিছুর দাম বাড়তি যাচ্ছে, সেখান থেকে আমাদের ছাড় দেয়নি কাঁচা মরিচও। এটারও এখন বাড়তি দাম। আমার তো মনে হচ্ছে, সপ্তাহের ব্যবধানে এত দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেটই দায়ী। তারা অধিক লাভের আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই দাম বাড়িয়েছে।

মওদুদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাজারে একটা সবজি নেই ৪০ টাকার মধ্যে। যাই জিজ্ঞেস করি ৬০-৭০ টাকা। অবস্থা এমন হয়েছে যে, চারটা জিনিস কিনতে এসে এখন দুইটি নিয়ে ফিরতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে তো গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।

ক্রেতাদের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা মো. মাহফুজ বলেন, আন্দোলনের কয়েক দিন বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। এখন বাজারে সবজি আসতে শুরু করায় দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে। তবে, বিক্রি কম হচ্ছে।


আরও খবর
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিমুক্ত শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থাপনা আর অর্থ আত্মসাতের যে ধারা চলছে তাতে সেবা নয়, জনসাধারণ পাচ্ছে উল্টো যন্ত্রণা।

দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া শিশু হাসপাতালকে বাঁচাতে হলে আজীবন সদস্যসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে জাহির করে এতদিন ধরে হাসপাতালকে লুটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও আজীবন সদস্য জাহিদুল হাসান।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠস্থ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে সচেতন আজীবন সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিচার্স ইনস্টিটিউট পরিচালনায় অনিয়ম দুর্নীতি, জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি, আজীবন সদস্যদের অজান্তে ২৫ কোটি টাকার ব্যাংক লোনের বোঝা, অ্যাম্বুলেন্স সেবায় গাফিলতি,  অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিজেদের লোকদের নিয়োগ, রাউজানে অটিজম সেন্টার প্রবীণ নিবাস স্থাপন, কমিটির নেতাদের ঠিকাদারী ব্যবসা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সেবা বঞ্চিত রেখে এ হাসপাতাল পরিচালনা করে একপ্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদ। শুধু তা নয়, হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা বর্তমানে হাসপাতালকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। খালেদা জিয়া জমি দিয়ে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেও কোথাও তার নামফলক পর্যন্ত রাখেনি আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করা এসব দায়িত্বশীলরা। আওয়ামী লীগের মতো তাদেরকেও তাড়িয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।

হাসপাতালের আজীবন সদস্য হাজী হোসেন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও আজীবন সদস্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আজীবন সদস্য আবুল হোসেন, ফজলুর রহমান স্বপন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সর্দার, মোহাম্মদ মুছা, মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ আবদুস সবুর, এস এম ফরিদুল আলম, জহির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান কনক, হানিফ সওদাগর, মনিরুজ্জামান টিটু, সাইফুল আলম, এস এম ইসমাইল, মোঃ নাছির, জাহেদ কায়সার, নুরুল আবছার, ওয়াহিদ পারভেজ, শফিউল আলম প্রমূখ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ক্রীড়া উপদেষ্টাকে ক্রিকেট বোর্ড ঘুরে দেখালেন তামিম

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে বরণ করে নিতে মিরপুরে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন বিসিবির স্টাফরা। কারণ, প্রথমবার ক্রিকেট বোর্ড পরিদর্শন করতে মিরপুরে আসার কথা ছিল এই উপদেষ্টার। কিন্তু তার আগেই বিসিবিতে প্রবেশ করেন তামিম ইকবাল খান।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রবেশ করেন এই তারকা ক্রিকেটার। এর ঘণ্টাখানেক পর বিসিবিতে প্রবেশ করেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

এদিন আসিফ মাহমুদকে বিসিবির প্রেসিডেন্ট বক্স ঘুরে দেখান তামিম। পরে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

মাঠে প্রবেশের পর ড্রেসিংরুমের সামনে থেকে হেঁটে ইনডোরে যান নতুন উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও। পরে মিডিয়া রুমেও প্রবেশ করেন আসিফ মাহমুদ। পরবর্তীতে একাডেমি ভবনে যান তারা।

এদিকে তামিমের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছে। কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে বৈঠক করবেন তামিম। এরপরই আসতে পারে সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে তাকে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বোর্ড থেকে সেটারই চূড়ান্ত ফল আসার কথা ছিল।

কিন্তু শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বদলে গেছে সব হিসাব-নিকাশ। আত্মগোপনে রয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবিতে তিনি আর যে ফিরবেন না তা অনেকটাই নিশ্চিত। তাই তামিমের সঙ্গে এবার দলে ফেরা নিয়ে কথা বলবেন নির্বাচকরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তাই বিসিবিতে যে মিটিং করতে এসেছেন তামিম তাও অনেকটাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়।


আরও খবর



৩৭ দিন পর যাত্রী নিয়ে ছুটল মেট্রোরেল

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার থেকে যাত্রী সেবা দেয়া শুরু করেছে মেট্রোরেল। সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মেট্রোরেল ট্রায়াল (পরীক্ষামূলকভাবে চালানো) দেয়া হয়েছে। এতে রবিবার মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনে। এরপর থেকেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

এরমধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বৈষম্যহীন বেতন কাঠামোসহ ছয় দাবিতে ৮ অগাস্ট থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন মেট্রোরেলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। তারা গত মঙ্গলবার কাজে ফেরেন।

গত ১১ অগাস্ট মেট্রোরেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মেট্রোরেল পুরোদমে চালুর আগে পরিস্থিতি যাচাই-বাছাইয়ে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর প্রস্তুতি চলছে।

আর পরীক্ষামূলক চলাচল শেষে ১৭ অগাস্ট থেকে তা চালু করতে কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু রেল চালুর জন্য কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে পুলিশে দিন : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো চাঁদাবাজের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নেই। আপনাদের এলাকায় কেউ যদি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করে তাহলে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মতো খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ছোট শরীফপুর এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেই বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। আজ আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে আলাদা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন যে সরকার সেটি মাত্র ২০-২২ দিন হলো। আমরা তাদের সময় দিতে চাই। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তারা তৈরি করতে পারে। নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ভালো একটা নির্বাচন করতে পারি, যদি জনগণের মনোনীত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়, তবেই জনগণের আস্থা ফিরবে। তাই আমরা এই সরকারকে বলেছি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের মনোনীত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন প্রমুখ।


আরও খবর
শেখ হাসিনা কি সত্যি পদত্যাগ করেছিলেন?

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে: আমির খসরু

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সকলেই সমর্থন দিচ্ছি। কারণ যেসব মৌলিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে এগুলোকে একটা ট্র্যাকে আনতে হবে। আমরা আশা করি সামনের কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব তারা করতে পারবেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি বলেন, আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর নির্বিচারে যেভাবে গুলি করা হয়েছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তারা যে এখনও বেঁচে আছে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার। অনেকের অবস্থা এখনো জটিল। তাদের পরিবারের কাজ কর্ম সব বন্ধ। ওরা তো সবাই এখন বিচারের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশে ইতিহাসে এ ধরনের নির্বিচারে গুলি করে হত্যাকাণ্ড আর ঘটেছে বলে মনে হয় না।

আহতের দায়িত্ব এখন কে নেবে- এমন প্রশ্ন রেখে আমির খসরু বলেন, অনেকে অন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের পা চলে গেছে আবার অনেকের পা থেকেও সেটি অবশ হয়ে গেছে। তারা হাঁটা চলা করতে পারবে না। এমন দুর্বিষহ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে এদের পুর্নবাসনের বিষয় আছে। এদের ত্যাগের বিনিময়ে যদি বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে পারে তবেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাব।

তিনি বলেন, খারাপ ভালো বিবেচনা করার যোগ্যতা আমাদের নতুন প্রজন্মের রয়েছে। যারা প্রাণ দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর