আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে শেন ওয়ার্নের মেয়ের আবেগঘন চিঠি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেন ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুর দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ সোমবার। মৃত্যুর এই দিনটিতে অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে স্মরণ করেছেন সাবেক সহকর্মী ও ভক্তরা। বাবাকে স্মরণ করে একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন ওয়ার্নের কন্যা ব্রুকও।

বিশ্বখ্যাত স্পিনারের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় হলেন ব্রুক। মৃত বাবার উদ্দেশে তিনি লিখেছেন আজ দুই বছর, ডেড। তোমাকে ছাড়া এটি সবচেয়ে ধীর এবং দ্রুততম দুই বছর ছিল। এখানে আমাদের সঙ্গে তুমি শিশুদের মতো ছিলে এবং পিকি ব্লাইন্ডারের নতুন মৌসুম কতটা ভালো তা নিয়ে কথা বলতে। তুমি বাড়িতে এলে পরের পর্ব আমরা একসঙ্গে দেখব। তোমাকে ছাড়া এখানে জীবনের কোনো মানে নেই। আমরা প্রতিদিনই তোমাকে গর্বিত করার চেষ্টা করছি। তোমার কথা খুব মনে পড়ে। তোমাকে ভালোবাসি চিরকাল।

২০২২ সালে ৪ মার্চ থাইল্যান্ডে শেন ওয়ার্নকে মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করেছিলেন তাঁর বন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার অ্যান্ড্রু নিওফিতো। দুজন একসঙ্গে একটি পানীয় আড্ডা এবং রাতের খাবার খাওয়ার কথা ছিল সেদিন। অচেতন ওয়ার্নের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁকে সিপিআর দিয়েও কোনো ফল পাননি নিওফিতো।

ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, শেনকে অচেতন অবস্থায় তাঁর ভিলায় পাওয়া গেছে। মেডিকেল কর্মীদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

ওয়ার্নের ম্যানেজার জেমস এরকসাইন জানিয়েছিলেন, ফক্স ক্রিকেটের সঙ্গে পুরো গ্রীষ্ম অ্যাশেজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পর তিন মাসের ছুটি পেয়েছিলেন ওয়ার্ন। ছুটি কাটাতেই তাই থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি।

ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, আমরা সবাই ওয়ার্নিকে দেখে বড় হয়েছি। তাকে আদর্শ মেনেছি। আমাদের সবার দেওয়ালে তার পোস্টার ছিল। তার কানে ছিল দুল।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



দেশের ১১ অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকায় বেড়েছে ২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১১টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আবার দুই জেলায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকাসহ বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আজ থেকে আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কাল ও পরশু সিলেট ছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে যশোরে ৪২ দশমিক ২। এছাড়া ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকা অঞ্চলগুলো হলোরাজশাহীতে আজ ৪২, যা শনিবার ছিল ৪১ দশমিক ৫, চুয়াডাঙ্গায় আজ কিছুটা কমে ৪১ দশমিক ৮, গতকাল ছিল ৪২ দশমিক ৭, ঈশ্বরদীতেও আজ তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৩, শনিবার ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাতক্ষীরায় রবিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি হয়েছে, শনিবার যা ছিল ৩৯ দশমিক ৪, কুমারখালী ও মোংলায় আজ ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি। গোপালগঞ্জে আজ ৪০ দশমিক ৬, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ২, টাঙ্গাইলে আজ ৪০ দশমিক ৩, শনিবার ছিল ৩৬ দশমিক ৬, ফরিদপুর আজ ৪০ দশমিক ২, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ৪, খুলনায় আজ রবিবার ৪০, শনিবার ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এছাড়া ঢাকায় আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা শনিবার ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সোমবারের (২৯ এপ্রিল) পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) পূর্বাভাস প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে এবং থাকবে। আজকে আবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে (২৯ ও ৩০ এপ্রিল) সিলেট ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২২টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাটের আয়োজন করবে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিসিয়াল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ৯টি হাট স্থাপনের জন্য ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে

যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর নিকটবর্তী খোলা জায়গা।

আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, ইনস্টিটিউট লেদার টেকনোলজি কলেজ, পোস্তগোলা খোলা মাঠ, মেরাদিয়া বাজার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন স্থান। এ ছাড়াও বিশ্ব রোডের কাছে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাশের একটি অঞ্চলে হাট বসবে।

ডিএনসিসির আওতায় হাটের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন খোলা জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া ব্যাপারীপাড়া রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা এবং খিলক্ষেতের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্তুল চেকপোস্ট।

ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, বউবাজার এলাকা এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন।

এ ছাড়াও মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং ওপেন স্পেস) এবং মোহাম্মদপুরের বসিলায় ৪০ ফুট রাস্তার পাশের খোলা জায়গায়ও হাট বসানো হবে।

ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবিধান

দুই সিটি করপোরেশনই ইজারার মাধ্যমে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন উত্তরার বউবাজার এলাকার হাটের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং কাঁচকুড়া এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। সীমান্তবিষয়ক সমস্যা থাকায় একটি সমন্বিত কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে আফতাবনগর হাটের জন্য পৃথক ইজারা নোটিশ জারি করেছে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি।


আরও খবর