আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আনোয়ারুল আজিম ইস্যুতে এখনই মন্তব্য করবে না ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের পার্লামেন্টারিয়ান আনোয়ারুল আজিম ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে যেরকম দুর্ভাগ্যজনকভাবে মারা গেছেন, তাতে দিল্লিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত শেষ না হলে এবং পুলিশ সব বিস্তারিত না জানালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনই কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে চাইছে না।     

দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অবশ্য নিশ্চিত করেছেন, এমপি আজিম যে কলকাতায় আসার পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেছেন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সেটা তাদের জানানোর পর থেকেই তাকে খুঁজে বের করার সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দারাও এ ব্যাপারে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন।

বস্তুত, আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় এসে যে ভারতীয় সিমকার্ডটি ব্যবহার করছিলেন, সেটি যে ১৭ মে (শুক্রবার) খুব অল্প সময়ের জন্য বিহারের মুজাফফরপুরের কাছে চালু করা হয়েছিল সেই তথ্যও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ট্র্যাক করে বের করেছিলেন। পরে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের মারফত সেই খবর ঢাকায় তদন্তকারীদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়।

আনোয়ারুল আজিমকে ঠিক কী পরিস্থিতিতে, কীভাবে, আর কেন হত্যা করা হয়েছে (যদি এটা হত্যাই হয়ে থাকে) তা নিয়ে যেহেতু এখনও অনেক অস্পষ্টতা আছে, তাই সরকারিভাবে ভারত এটা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। দিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা বলার পশ্চিমবঙ্গের (বিধাননগর) পুলিশই বলবে।

এর আগে বুধবার (২২ মে) সকালে কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, আনোয়ারুল আজিম শেষ যে ভাড়া গাড়িটি কলকাতায় ব্যবহার করেছিলেন, সেই ক্যাবটির চালক জেরার মুখে স্বীকার করেছে যে ওই যাত্রীকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সত্যিই যদি তা হয়ে থাকে, তাহলে সেই খুনের মোটিভ কী ছিল, খুনিরা কয়জন ছিল বা তারা কারা, স্থানীয় ক্যাবচালককে এই কাজের জন্য তারা ভাড়া করেছিল কিনা, লাশের টুকরো কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল পুলিশ কর্তৃপক্ষ এসব প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি।

তবে তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে এটুকু আভাস দেওয়া হয়েছে, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে যারাই হত্যা করে থাকুক, এই হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশেরই বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

একজন বিদেশি এমপি কলকাতায় এসেছেন, আর তার সঙ্গে পয়সাকড়ি আছে এটা আঁচ করে স্থানীয় কোনও অপরাধী চক্র বা দুষ্কৃতকারী গ্যাং তাকে মেরে ফেলে টাকাপয়সা লুট করতে চেয়েছিল ব্যাপারটা অত সহজ নয় বলেই আমরা ধারণা করছি, জানিয়েছে একটি সূত্র। সোজা কথায় তারা অনুমান করছেন, এই হত্যারহস্য আসলেই খুব জটিল এবং এর পুরো কিনারা করতে বেশ সময় লাগতে পারে।

বিদেশের কোনও এমপি যখন ভারতে সফর করেন, তারা সাধারণত নিজেদের ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টই ব্যবহার করে থাকেন। আনোয়ারুল আজিমও ঠিক তাই করেছিলেন। এখন এমন একজন ভিআইপি বিদেশি অতিথিকে যখন ভারতের মাটিতেই প্রাণ হারাতে হয়, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর চেহারা নিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তদন্তে সব দিক আগে পরিষ্কার না হলে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা না বলে ভারত আগ বাড়িয়ে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না।  


আরও খবর



কুতুবদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পরান সিকদার পাড়া এলাকার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর জন্ম-নিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে দেয়া হয়। এই অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ মে) কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আফরোজা নাজমিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি এলাকার মো. ইদ্রিচের ছেলে মিজানুর রহমান সাগর (২৩), ইউপি মহিলা সদস্য হাসিনা আকতার (৪৫), মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. ইদ্রিচ (৫৫), কৈয়ারবিল ইউপি সচিব ইমাম মুসলিম (৪৮), পেকুয়া চাঁকমার ডুরী এলাকার ছৈয়দ নুর এর ছেলে আবুল হোছাইন (৪০), কাজী ওয়াহিদুর রহমান (৪৫)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সাগর (২৩) ও তার বাবা মো ইদ্রিচ মিলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অপহরণ মামলা করায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মেয়েটির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্ম নিবন্ধন গোপন করে পিতা-মাতার নামের জায়গায় ভুল নাম দিয়ে ভুয়া জন্ম-নিবন্ধন তৈরি করে দেন কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ও সচিব ইমাম মুসলিম। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী কাজী অফিসে বিবাহ মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করে রাখেন।

এদিকে বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ জানান, অপহরণের পর কৈয়ারবিল এলাকার স্কুল পড়ুয়া তাসফিকুল আজিম নৌরিনকে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি মাধ্যমে কাবিননামা সম্পন্ন করায় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রিট ফর এফআইআর হিসেবে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, চেয়ারম্যানপুত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে সাইফুর রহমানকে (২১) দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানার পুলিশ।

গতকাল (৩১ মে) শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যানপুত্রের দুই সহযোগী হলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের গোয়ালদী গ্রামের তাহসিন মুন্সী (২০) ও মুন্না মিয়া (২০)।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার (১ জুন) সকালে ভাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার এক মাদরাসাছাত্রী ও তার বন্ধু একই উপজেলার গুপ্তেরকান্দি গ্রামের ইউনুস সরকারকে (২৪) নিয়ে ভ্যানযোগে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারসেকশনে ঘুরতে আসে। ভাঙ্গা থেকে সন্ধ্যায় পুনরায় ভ্যানযোগে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড দিয়ে শিবচরের দিকে যাওয়ার সময় ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা নামকস্থানে ফাঁকা জায়গায় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল ভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় চেয়ারম্যান পুত্র সাইফুর রহমানসহ মোটরসাইকেল আরোহী আরও দুইজন ভ্যানচালককে মারধর করে। মাদরাসাছাত্রীর বন্ধু ইউনুস সরদারকেও মারধর করে। এরপর ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে পাশের ঝোপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই সার্ভিস রোড দিয়ে ভাঙ্গা থানার টহল পুলিশের একটি দল যাচ্ছিল। পুলিশ চিৎকার শুনে গিয়ে জঙ্গল থেকে মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষণ চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে সাইফুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তার অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে সাইফুর রহমানের স্বীকরোক্তি অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টার দিকে অপর দুই সহযোগী তাহসিন মুন্সী ও মুন্না মিয়াকে আটক করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।

ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লা তার ছেলে সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ যা বলছে তা ঠিক না। আমার ছেলে ভাঙ্গা থেকে আসছিল। তখন পথে পুলিশ তাকে আটক করে এ মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ বলেন, মেয়েটি তার বন্ধুকে নিয়ে ভাঙ্গা থেকে ঘুরে ভ্যানে করে শিবচর যাওয়ার সময় ভাঙ্গার বামনকান্দা এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়। তাকে ভ্যান থেকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুর রহমান ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করার মামলায় ওই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্ব স্বীকৃতি পেলো বিএসএমএমইউ জার্নাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জার্নালের এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন চিকিৎসা সেবা, উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য গবেষণার জন্যও এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এদিকে বিশ্ব স্বীকৃতি মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের মাঝে বইছে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কোপাস বিশ্বব্যাপী একটি মানসম্মত জার্নাল ইনডেক্সিং কর্তৃপক্ষ, যা এলসেভিয়ার (Elsevier) নেদারল্যান্ড দ্বারা পরিচালিত। আন্তর্জাতিক স্কোপাস স্বতন্ত্র রিভিউ কমিটি ১৪টি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বিএসএমএমইউ জার্নাল পর্যালোচনা করে গত ১৯ মে অনুমোদন দিয়েছে।

এই মানদণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রকাশিত পেপারের মান, পেপারের বৈচিত্র্যতা, সম্পাদকীয় বোর্ড মেম্বারদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈচিত্র্যতা, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল রিভিউ প্রক্রিয়া এবং প্রকাশিত ম্যানুস্ক্রিপ্টের সাইটেশন ইত্যাদি।

এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইনস্টিটিশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি) আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিএসএমএমইউ জার্নালের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের আমলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করা ও বিশ্বমানের জার্নাল প্রকাশ করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ডব্লিউএইচও কস্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে।

এমনকি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষক ডা. মঞ্জু রাণী বিএসএমএমইউয়ে এসে ফ্যাকাল্টিদের গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেছেন।

এসব কার্যক্রমের কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কোপাস ইনডেক্সের স্বীকৃতি লাভের এই অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরব, গর্ব ও সম্মানের, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এদিকে জার্নালের বিশ্ব স্বীকৃতি মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিএসএমএমইউ জার্নালের মুখ্য সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের বুকে সুনাম ও মর্যাদার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করতে, এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ইতোমধ্যে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর গবেষণাসহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ, গুরুত্ব ও অব্যাহত উৎসাহ প্রদান ও সহযোগিতার ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, স্কোপাসের এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার প্রতি আগ্রহ রয়েছে এমন গুণী শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। এই স্বীকৃতি শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বড় ধরণের অবদান রাখবে।

উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে। আরও উন্নত মানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে।

এই স্বীকৃতি শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের মাঝে নবজাগরণের সৃষ্টি করবে, চিকিৎসাসেবা, উচ্চতর শিক্ষা প্রদান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে হৃদয়ে সৃষ্টি হবে নতুন অনুরণন। ফলে চিকিৎসাসেবাসহ দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

দীন নূরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে, দেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবে না, বিশ্বমানের গবেষণা হবে।

বিশ্বমানের উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা অর্জন করে এখানের শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে মর্যাদার আসনে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও বিএসএমএমইউ জার্নালের অতিরিক্ত মুখ্য সম্পাদক (অ্যাডিশনাল এডিটর ইন চিফ) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বিএসএমএমইউ জার্নালে দেশি বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা কর্ম নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, রোগ প্রতিরোধের উপায়সমূহ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, ওষুধ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি, নিত্যনতুন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এর ফলে মানুষের রোগ মুক্তি লাভ ও স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন তরান্বিত হচ্ছে।

বিএসএমএমইউ জার্নাল স্কোপাসের স্বীকৃতি লাভ করায় তরুণ চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবিষ্যৎ রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীসহ শিক্ষকদেরকে তাদের চিকিৎসাসেবা, অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা ও গবেষণায় বেশি করে মনোনিবেশ ও আত্মনিয়োগে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করবে।


আরও খবর



মেয়রের সামনে কাউন্সিলর রতনকে জুতাপেটা করলেন চামেলী

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও আলোচনায় এসেছেন সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। এবার ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর সামনেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করেছেন তিনি।

আজ সোমবার নগর ভবনে ডিএসসিসির বোর্ড সভায় এমন ঘটনা ঘটে। বোর্ড সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বলেন, আমি বুঝে উঠতে পারিনি। পেছন থেকে এসে এভাবে মারবে বুঝতে পারিনি। আমি হতভম্ব!

আপনার প্রতি এমন আক্রশের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না। এটা পারিবারিক শিক্ষার অভাব। একটা বোর্ড সভায় যেখানে মেয়র মহোদয় উপস্থিত সেখানে এরকম ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমি কোনো কথা বলিনি।

ঘটনা সম্পর্কে সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাকসানা ইসলাম চামেলী বলেন, আমি তো বোর্ড সভায় ছিলাম। এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। কেউ যদি প্রচার করে তাহলে সেই ভালো মন্দ বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না।

কাউন্সিলর রতনের গায়ে আপনি হাত তুলেছেন নাকি সেই আপনার গায়ে হাত তুলেছে জানতে চাইলে বলেন, আমি বলতে পারব না।

বোর্ড সভায় উপস্থিত আরও একজন কাউন্সিলর বলেন, আমি ভেতরে প্রবেশ করেই দেখি এমন কাণ্ড। এটা দুঃখজনক। মেয়র মহোদয়ের উপস্থিতি একজন কাউন্সিলর আর একজন কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তাদের ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব থাকলে সেটা বাইরে গিয়ে করতে পারতো। আমরা লজ্জিত।

২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমার কাজের ব্যস্ততা থাকায় আজ বোর্ড সভায় একটু পরে প্রবেশ করি। আমি দেখিনি। তবে শুনেছি এরকম ঘটনা ঘটেছে।

গত ২২ এপ্রিল ওই নারী কাউন্সিলরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৪ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।


আরও খবর



আনোয়ারুল আজিম অপকর্মে জড়িত কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতে নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি অপকর্মে জড়িত কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলতে পারছি না। আওয়ামী লীগে অপরাধীদের কোনো ঠাঁই নেই। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে তৃতীয়বার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তার জনপ্রিয়তার জন্য। এলাকায় গিয়ে দেখেন, তার জন্য শোকার্ত এলাকার মানুষ। ভেতরে সে কোনো অপকর্ম করে কি না, এসব যখন প্রমাণ হয় তখন শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না, দলের লোক হলেও। জিরো টলারেন্স নীতি তার। ভারতের গণমাধ্যমে এসেছে চোরাচালানের কথা। তার মৃত্যুর আগে দেশের কোনো সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন বিষয়টি এলো না?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে খুনিদের কেন নিরাপদে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিলেন? বিভিন্ন দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়েছেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে খুনিদের দায়মুক্তি দিতে বিচারের পথরুদ্ধ করেছেন। সাংবিধানিকভাবে খুনিদের বিচারের পথ কেন রুদ্ধ করলেন? মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই।

জিয়াউর রহমানের বাকশালের সদস্যপদ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানের বাকশালের সদস্য হওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু উপ-সেনাপ্রধানের সে সুযোগ ছিল না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে কাকুতি-মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। এর প্রমাণ আছে। বাকশালের ৭১ নম্বর সদস্য ছিলেন তিনি। ইতিহাস নিয়ে বিএনপি বারবার মিথ্যাচার করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলছে আজ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নাকি অর্থপাচার করছে। অর্থপাচারে বিএনপি সুপরিচিত। সিঙ্গাপুর-আমেরিকায় কে অর্থপাচার করেছে? তারেক রহমান ও কোকো। সিঙ্গাপুরে পাচার হওয়া অর্থের একটা অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এফবিআই ঢাকায় এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। নিজেরা যে অপরাধে অপরাধী, তার দায় তারা ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওপর চাপাতে চায়। এরা কত মিথ্যাচার অপপ্রচার করতে পারে!

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে হতাশার কোনো কারণ নেই, এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। ফুটবলটা আরও এগোতে পারতো। বিশ্বকাপ ফুটবলে যখন দেখি আইসল্যান্ডের মতো দেশ খেলছে। তখন ভাবি আমরা কেন পারি না!

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময় বাংলাদেশ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন মালদ্বীপের সঙ্গে হারে তখন খারাপ লাগে। বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করছে। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করেন, সহযোগিতা করেন, বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবার চেয়ে ডায়নামিক। সে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়।

যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-কমিটির কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজা, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানসহ উপ-কমিটির সদস্যরা।


আরও খবর