বিশ্ব ডাল দিবস আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘টেকসই আগামীর জন্য ডাল’।
বিশ্ব ডাল দিবস হলো একটি আন্তর্জাতিক দিবস যা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দ্বারা বিশ্বব্যাপী খাদ্য হিসেবে ডালের (শুকনো মটরশুঁটি, মসুর, শুকনো মটর, ছোলা, লুপিন) গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পালন করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ডাল দিবস হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারিকে মনোনীত করা হয়েছে। তারিখটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী ডাল বিভাগের সাথে যুক্ত কার্যকলাপ এবং তথ্যের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রতিদিন ডাল খাওয়ার উপকারিতা
আপনি ডাল পচ্ছন্দ করুন আর না করুন বাঙ্গালি হলে আপনার পাতে ডাল থাকবেই। হোক তা দু একদিন পর পর। মসুর থেকে মুগ সব ডাল আমাদের পচ্ছন্দ। প্রোটিন ও ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ডাল। আর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি যদি ডাল রাখেন তাহলে আপনার অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ : ডাল প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। এতে করে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত উপাদানগুলো আলাদা হয়ে যায়। অতএব ডাল খাওয়া আপনাকে সঠিক পরিমাণে শক্তি ও পুষ্টি দিতে পারে। আবার ডাল খেলে ক্ষুধাও কমে।
স্বাস্থ্যকর কোষ : ডালে প্রোটিন, আয়রন ও ফোলেট থাকায় নিয়মিত ডাল খাওয়াও নিশ্চিত করে যে আপনার কোষগুলো মেরামত-পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুস্থ আছে। আয়রন রক্তাল্পতা হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করতে পারে। প্রতিদিন ডাল খেলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
হার্টের সুস্থতা : ডাল হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডাল কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে সেই সাথে রক্তচাপও কমায়। প্রতিদিন ডাল খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
যা মনে রাখতে হবে : এটি সত্য যে ডাল অত্যন্ত পুষ্টিকর, তবে সেগুলোর সঠিক উপকারিতা আমরা পাচ্ছি কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ডালে আপনার খুব বেশি তেল ব্যবহার করা এড়ানো উচিত বা অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারও এড়ানো উচিত। তড়কার জন্য প্রয়োজনে জলপাই তেল বা ঘি ব্যবহার করুন। স্বাদ বাড়াতে আপনি কিছু সবুজ মরিচ বা কালো মরিচ যোগ করতে পারেন। মূল কথা স্বাদ ও স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য করা।
২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালন করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে গত বছর থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় শোভাযাত্রা ও সেমিনারের আয়োজন করেছে।
বিশ্ব ডাল দিবস খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির লক্ষ্যে টেকসই খাদ্য উৎপাদনের অংশ হিসেবে ডালের পুষ্টিগত উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করার জন্য পালন হবে।