আইফেল টাওয়ার
ও স্ট্যাচু অব লিবার্টির ছবি চোখে ভাসলেই যেমন ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কথা মাথায়
আসে, তেমনি একটি আইকনিক স্থাপনা করবে বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে
স্মরণীয় করে রাখতে এই আইকনিক স্থাপনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনসংক্রান্ত
মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এক কথায় যেন এটার নাম শুনে বোঝে
এটা বাংলাদেশ। আইফেল টাওয়ার শুনলেই বোঝে এটা প্যারিসে, স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখলেই
বোঝে ওই দেশ। এ রকম একটা কিছু আমরা রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে চিনতে পারে,
এমন কিছু সিম্বলিক করা হবে। বিজ্ঞজনদের নিয়ে কমিটি করেছি, তাঁরা সাজেশন দেয়নি। আমরা
পরবর্তীতে করব, হয়তো দুই-চার বছরও লাগতে পারে। মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয়
করে রাখার জন্য এটা করা হবে। ওটা দিয়েই যেন চেনে এটা বাংলাদেশের।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রী জানান, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে এবার আগামী ২৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত
জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং হাতিরঝিলে আন্তর্জাতিক সেমিনার, আলোচনা
সভা, মুক্তিযুদ্ধ কনসার্ট, নাট্যানুষ্ঠান, যাত্রাপালা, ড্রোন শো, লাইট অ্যান্ড লেজার
শো, আতশবাজি ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ২৫ মার্চ সারা দেশে ৯টা থেকে ৯.০১ মিনিট
পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে।’