আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আগস্টে উৎপাদন শুরু করবে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে দেশটির বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি আদানি পাওয়ার। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হলে আগামী জুলাই-আগস্ট নাগাদ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট কমিশনিং করা হবে। তবে কমিশনিংয়ের পরই কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পাবে না বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বিদ্যুৎ দেশে আসতে আরো কিছু সময় লাগবে। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট আগামী বছর জানুয়ারি নাগাদ চালু হতে পারে বলেও জানা গেছে।

বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আদানির বিদ্যুৎ গ্রিড লাইনে যুক্ত হলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। এতে ভারত থেকে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশ। শুরুতে কথা ছিল, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং মে মাসে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। পরে সময় বাড়িয়ে প্রথম ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার সময় হিসেবে জুলাই-আগস্টের কথা বলা হচ্ছে।

মূলত কভিড মহামারীর কারণেই আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যথাসময়ে উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত ও বাংলাদেশ অংশের গ্রিড লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও বগুড়ায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কাজ চলছে। এ উপকেন্দ্রের জন্য চীন থেকে যন্ত্রাংশ আসছে। তবে এক্ষেত্রেও পড়েছে মহামারীর প্রভাব। সম্প্রতি চীনে কভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে আসতে দেরি হচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতির দেশে পৌঁছার ওপরই নির্ভর করছে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী দুই দেশই দ্রুত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। দেশেও পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত হওয়ার পর যেন বসে থাকতে না হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তবে বিপিডিবির অন্য একটি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে গেলেও তখনই তা বাংলাদেশে পৌঁছবে না। এজন্য আরো কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ বিদ্যুৎ দেশের গ্রিডে যুক্ত হতে পারে। কারণ হিসেবে সূত্রটি জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে আসার জন্য দেশের উত্তরাঞ্চলে যে ধরনের সঞ্চালন অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন তা এখনো নির্মাণ করা যায়নি। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এ সঞ্চালন প্রকল্পের কাজ করছে। তবে চীন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আসতে দেরি হলে ঠিক কবে নাগাদ আদানির বিদ্যুৎ দেশে আসবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মূলত উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করার লক্ষ্য থেকেই আদানির বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত্প্রবাহ বাড়ানোও ছিল অন্যতম লক্ষ্য। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাংলাদেশের ডেডিকেটেড একটি সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত হলেও বাকি রয়েছে বড়পুকুরিয়া-বগুড়া ও কালিয়াকৈর সঞ্চালন লাইন। এটির কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পিজিসিবি।

জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের কাজ চলছে। প্রতিটি ইউনিটের সক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রথম ইউনিটের কমিশনিং সংক্রান্ত কাজ চলছে। আগামী জুলাই অথবা আগস্টে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যাবে।

বাংলাদেশের জন্য আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ডে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সেখান থেকে নিট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেও আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে এ বিদ্যুৎ আমদানি করছে সরকার। আদানির বিদ্যুৎ দেশে আমদানির জন্য এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে পিজিসিবি।

এছাড়া এ বিদ্যুৎ উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগে সরবরাহের পাশাপাশি জাতীয় গ্রিড লাইনেও যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য বড়পুকুরিয়া থেকে বগুড়া হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পর্যন্ত ২৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বৃহৎ লাইন নির্মাণে ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকা ব্যয় করছে পিজিসিবি। তবে এ প্রকল্পে গতি না থাকায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে বলেও আশঙ্কার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণে চার ধাপে কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের পাশাপাশি সাবস্টেশন রয়েছে বেশ কয়েকটি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২২ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি সাড়ে ১১ শতাংশ এবং আর্থিক কোনো অগ্রগতি নেই।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিজিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি হাতে নেয়ার পর এর প্রস্তুতিমূলক কাজেই প্রায় এক বছর শেষ হয়ে গেছে। এরপর করোনা মহামারী শুরু হলে প্রকল্পের কাজ থমকে দাঁড়ায়। মূলত প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগেই বিলম্ব হয়েছে বেশি। এছাড়া প্রকল্পের বড় একটি অংশে ভারতীয় অর্থায়ন থাকায় সেখানেও জটিলতা রয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য ২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। মূলত এ চুক্তির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতে ভারত সরকারের সহযোগিতা বাড়ানো। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে ভারতীয় বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা সই করে বিপিডিবি। এর মাধ্যমে ভারত থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বিপিডিবির সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৫ বছর মেয়াদি এ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারিত হয় ৬ টাকা ৮৯০ পয়সা (৮ দশমিক ৬১২ সেন্ট)। যদিও বৈশ্বিকভাবে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এখন আর এ মূল্যে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিপিডিবি-সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান পদ, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরীক্ষায় মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য: মঈন খান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য। শনিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৫ বছরের একদলীয় শাসন, বাকশালের কারণে দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। তাদের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার নেই। দেশে একদলীয় শাসন চলতে পারে না। কারণ এই শাসনে জনগণ বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সাম্য ফিরে পেতে চায় কিন্তু সরকার মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জনগণ কিছু বলেনি। জনগণ যা বলার সরাসরি বলছে। তাহলে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে কেন? সরকার কি জনগণকে ভয় পায়? ডান বাম সবাই বলছে সরকার এদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।


আরও খবর



ভাঙ্গুড়ায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খোলায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গি পেঁচিয়ে আহত জহির সরদার (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার তাকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত জহির সরদারের ছোট ভাই আ: মজিদ সরদার।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনৈক মহসিন হাজীর বাড়ীর সামনে ধানের খোলায়। নিহত জহির ওই গ্রামের মো: আবু বক্কার সরদারের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক ও তিন সন্তানের জনক।

জানা গেছে, এ বছর জহির তার নিজের কৃষি জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। বুধবার ধান কেটে তা মাড়াই করেন। এরপর বিকালে সেই ধান ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনৈক ব্যক্তির ধানের খোলায় ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলারের সাথে স্টিলের বড় (খাঁচা ছাড়া) ফ্যান লাগিয়ে বাতাস দিয়ে পরিস্কার করছিলেন। এ সময় অসাবধানতায় তার পরনের লুঙ্গি ফ্যানের সাথে পেঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জহিরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



সোনার দাম বেড়ে ভরি এক লাখ ১৭ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বেড়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৮, ৬ ও ৫ মে তিন দাফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৮ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা এবং ৬ মে ৭৩৫ টাকা ও ৫ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে চার দফায় ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ৮ হাজার ১১৯ টাকা।

এই দাম বাড়ার আগে আট দফায় সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৮ টাকা, ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন চার দফায় সোনার দাম বাড়নোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (১২ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (১১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর