আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আগামীতে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব: হিরো আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টুঙ্গিপাড়া(গোপালগঞ্জ)সংবাদদাতা:

আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা অন্য কোন দলে যোগদান করিনি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আর নির্বাচন করব না, আগামী নির্বাচনে যেকোন দলীয় প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করব বলে মন্তব্য করেছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে সমাধিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এ সময় হিরো আলম বলেন, আমি নায়ক, গায়ক, অভিনেতা হয়েছি। আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা এমপি হবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসন থেকে অংশ নিব। এমপি নির্বাচিত হতে পারলে বৃহৎ পরিসরে মানুষের সেবা করতে পারবো। তবে যদি এমপি নাও হতে পারি তারপরেও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

তিনি আরও বলেন, আমার অফিসে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আমাকে না জানিয়েই ব্যানারে হিরো আলম রাষ্ট্রপতি হবে সেটা লেখা হয়েছে। আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাদের দলকে হাইলাইটস করতে চেয়েছিল।

হিরো আলম আরও বলেন, সম্প্রতি আমি দুবাই গিয়েছিলেন। সেখানে বসবাসরত প্রবাসীরা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতার সমাধিতে গিয়েছিলাম কি না? তখন আমি বলেছিলাম জিয়াউর রহমানের সমাধিতে গিয়েছি। এ কারণেই আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে এসেছি।

মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগতো আওয়ামী লীগ মনা একটি সংগঠন তাহলে কি আপনি আওয়ামী লীগের লোক এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে হিরো আলম বলেন, এটা সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করেন।

এদিকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সভাপতি আহমেদ সাইফুল রহমান ছোটন এটিকে আওয়ামী লীগের একটি সংগঠন দাবি করেন বলেন, সংগঠনটি এখনও আওয়ামী লীগের অনুমোদন পায়নি। তবে শীঘ্রই সংগঠনটি আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাবে। আর হিরো আলম ফরম স্বাক্ষর করেছেন। আগামীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে হিরো আলম মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের হয়ে অংশ নিবেন।

এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ আরসার ৪ সন্ত্রাসী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৯ মে) রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-২০ এলাকার পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল।

আটকরা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইস ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

মো. ইকবাল বলেন, গোপন সংবাদে খবর ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার করার লক্ষ্যে আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ- হ্যান্ডগ্রেনেডসহ অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম রবিবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকের কাঁটাতারের বাইরের গোয়াম বাগান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরসার চার শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, দুইটি লম্বা কিরিচ, চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, ছয় রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি গুলির খোশা ও দুইটি কার্তুজের খোশা, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল ও দুইটি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, একটি সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া‌। সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই।

স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা সেটিকে পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য  পরিবহনের জন্য  আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক 'হাব' এ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘন্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সাথে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন  সহজলভ্য হবে। শুধুমাত্র আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোন বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। বেটার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে বে- টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বে- টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণের পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। সমীক্ষা অনুযায়ি মাস্টার প্ল্যানের ১,২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে।

তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য ৪.৯৫ কিলোমিটার। মাস্টার প্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে- টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দুরত্ব এক কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে।

১,২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল পিএসএ, সিঙ্গাপুর এবং অপরটি ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬.৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০.৬৯ একর সরকারি খাস জমি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।  ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক এর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।  বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



মরুভূমিতে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা, ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অধরা খান। ঈদের পরপরই অবকাশ যাপনে উড়াল দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধরা। সেখানে গিয়ে শখের বসে কিছু ছবি তুলেন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আবেদনময়ী কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ভ্রমণপ্রিয় এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।

ছবিতে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে দেখা গেছে অধরাকে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন স্পোর্টস কেডস। একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলে গেছেন মরুর বুকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়েছেন।

দুবাই থেকে অধরা খান জানান, মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমরাহ পালনের জন্যে; কিন্তু সৌদি সরকার উমরাহ ভিসানীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন; কিন্তু দুবাইয়ে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন।

দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, পারিবারিক ব্যবসায়ের কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়; কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।’

ছবিগুলো প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ছবিগুলো গেল ২২ এপ্রিল তোলা। সেখানে যারা ডেজার্ট সাফারি ট্যুরে আমাদের গাইড করেছেন, ছবিগুলো তারাই তুলে দিয়েছেন। ভাবতে পারিনি মোবাইলে ক্যাপচার করা ছবিগুলো এত সুন্দর এবং ভাইরাল হবে।’


আরও খবর