আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আবেদ আলীর ‘জাদুর প্রদীপে’ অনেকেই এখন বিসিএস ক্যাডার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর হাত ধরে অনেকেই হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার। এক দশক আগে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীকে প্রশ্নপত্র ফাঁস সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করেছিল থানা-পুলিশ। তখন সৈয়দ আবেদ আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছিল। গত ২৪তম ব্যাচে ব্যাপকতা বাড়ে। পরে ২৫তম ব্যাচে প্রশ্নফাঁস বিষয়টি ধরা পড়ে।

ওই সময় পিএসসির মেম্বার ছিলেন মাহফুজুর রহমান। আর তার ড্রাইভার ছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী। তার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ থাকত। তারা কাস্টমার যোগাড় করে দেওয়ার দায়িত্বে ছিল।

গুলশানের একটি ভবনে এবং নীলফামারির কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ভিন্ন জগৎ নামক একটি রিসোর্ট ছিল মাহফুজুর রহমানের। যারা টাকা দিত, তাদের এই দুই স্থানে রেখে পরীক্ষার একদিন আগে প্রশ্নপত্র দেওয়া হতো। সেখানে পড়ালেখার ব্যবস্থা করা হতো। পরের দিন পরীক্ষায় তারাই সর্বোচ্চ মার্ক পেত। এভাবে মাহফুজুর রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। ওই সময় দলীয় নেতাদের তালিকাও আসত। সেই তালিকা অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন এবং নেতাদের ভাগ দিতেন।

স্বাস্থ্যের আলোচিত বিতর্কিত মিঠু ঠিকাদারও প্রশ্নফাঁস এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার উত্থার মূলত এভাবেই। সৈয়দ আবেদ আলীর হাত ধরে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ গতকাল থেকে শুরু করেছে একটি সংস্থা।

সৈয়দ আবেদ আলী শত শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ঢাকায় তার একটি ছয়তলা বাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে ডুপ্লেক্স ভবন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে আবেদ আলীর আরও সম্পদ রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গত সোমবার রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে সৈয়দ আবেদ আলী ও তার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান ওরফে সিয়ামকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাইভার আবেদ আলী যদি শত শত কোটি টাকার মালিক হন, তাহলে তিনি পিএসসির সদস্য মাহফুজুর রহমানসহ যেসব কর্মকর্তার গাড়ি চালিয়েছেন, তারা কত হাজার কোটি টাকার মালিক, তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখে না। মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই সময় মামলা হয়। পরে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু ততোক্ষণে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান।

মাহফুজুর রহমান ছিলেন হাওয়া ভবন কানেকটেড। পিএসসিতে আলাদা একটি রুমে ছিলেন। এখানে বসে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। দলীয় সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এ কারণে তাকে ভয় পেতেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ অনেকে। অর্থাৎ তিনি ব্যাপক প্রভাবশালী ছিলেন।

এদিকে আবেদ আলীর সঙ্গে প্রশ্নফাঁসে জড়িত আরও একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে ১০ কোটি টাকার চেকসহ মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে তিনিও জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার মাধ্যমে বের হবে কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত এবং এই টাকার ভাগ কারা পেত।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শীর্ষ প্রশাসনের টনক নড়েছে। সকল প্রশাসনে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। মাহফুজুর রহমানের সময় বিএনপি-জামায়াত-শিবিরসহ চার দলীয় জোটের দলীয় নেতাকর্মীরা বেশি ঢুকেছে বিসিএস ক্যাডারে। তবে দলের পরিচয় দিলেও টাকা দেওয়া লেগেছে প্রত্যককে। শত শত কোটি টাকা একটি ব্যাচ থেকে কামিয়েছে তারা। আবেদ আলী স্বীকারোক্তিতে সব বলে দিয়েছে।

এখন সরকারি প্রায় সব পর্যায়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বিরাজ করার নেপথ্যে রয়েছে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার হওয়া। তারা চাকরিতে প্রবেশ করেছে দুর্নীতির মাধ্যমে। শুরুটা যেহেতু দুর্নীতির মাধ্যমে, এ কারণে তারা যেখানে দায়িত্ব পালন করে, সব জায়গায় দুর্নীতি করতেই থাকে।

মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা পর্যন্ত দুর্নীতিবাজদের চেইন অব কমান্ড আছে। এই কারণে দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। অধিকাংশ প্রশাসনে টাকা ছাড়া কাজ না হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, এই ঘটনায় অনেকের নাম আসছে। জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রশ্নফাঁস ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, ছাড় দেওয়া হবে না। যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের মানুষকে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছেন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারত বসে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দেশের মানুষ এখন সব বোঝে। ফলে কোনো ষড়যন্ত্রেই আর কাজ হবে না। ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছেন। দেশকে গোছাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে চায় বিএনপি। তাদের সব ধরনের সহায়তা করবো আমরা। 

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আকাশপথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেটে আসেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, উপদেষ্টা ও ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল, এমপি আহমদ ও রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং সাবেক র‍্যাবের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েলকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে এবি তাজুল ইসলামকে রাজধানীর গুলশান থেকে, আহমদ হোসেনকে বনশ্রী থেকে ও সোহায়েলকে বনানী থেকে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত, ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম টানা চারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া৬ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি।

রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েলকে গতকাল সোমবার নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।


আরও খবর



নবনিযুক্ত ৮ ডিসির নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নবনিযুক্ত ৫৯ জন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মধ্যে ৮ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে এবং চার জনের জেলা বদল করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জনপ্রশাসন সচিব এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিয়োগ বাতিল হওয়া জেলাগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর।

এর আগে, চলতি সপ্তাহে দুই দফায় দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন এ পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলেন উপ-সচিব পর্যায়ের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা। তারা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির অভিযোগ তোলেন।

বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল, যে ৫৯ জনকে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সময়ে ভালো পদে ছিলেন। তারা এ সরকারের সময়েও ডিসি হলেন। অথচ যারা বঞ্চিত ছিলেন, সব যোগ্যতা থাকার পরও বিরোধী মতের কারণে যাদের গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল তারা গুরুত্ব পাচ্ছেন না।

এদিকে একই দাবিতে আজ বুধবারও সচিবালয়ে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।


আরও খবর



গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দিলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ড. ইউনূস।

এদিকে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন। ফোনালাপে দুই নেতার মধ্যে সংখ্যালঘু ইস্যুসহ পারস্পরিক সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অধ্যাপক ইউনূসকে শনিবার নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে সম্মত হন।

ফোনালাপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান মোদি। অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভকামনা জানিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন মোদি। এ ছাড়াও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।

ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।

প্রসঙ্গত, ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তবে শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন না কি অন্য কোথাও আশ্রয় নেবেন, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।


আরও খবর



বাঁশখালীতে যুবদল নেতার কব্জি কর্তণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

বাঁশখালীতে মোস্তফা আলী (৪২) নামের এক যুবদল নেতার বাম হাতের কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

 শনিবার (২৪ আগষ্ট) রাতে গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মনাজী পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত মোস্তফা আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রেরণ করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাজী নজির আহমদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের ভাই মো. ইসমাইল জানান, আমার ভাই মোস্তফা আলী ও আমি যুবদল নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হাজত কেটেছি। শনিবার রাতে মনাজী পুকুর পাড়ের একটি চায়ের দোকানে বসে আমরা দুইভাই চা খাচ্ছিলাম। এতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম ও সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথাবার্তা বলার সময় আমার ভাই মোস্তফা আলী প্রতিবাদ করে। ওই সময় এই দুই সন্ত্রাসীসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে ওই দোকান থেকে অপহরণ করে অন্যত্র অন্ধকারে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আমার ভাইকে সন্ত্রাসীরা বেধড়ক পেটায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইয়ের বাম হাতের কব্জি কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার ভাই বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ জানান, ঘটনার পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ব্যাপারে এজাহার দেয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: কব্জি কর্তণ

আরও খবর
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪