আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আবাসিক হোটেলে নারী চিকিৎসকের গলা কেটে পালালেন ‘বয়ফ্রেন্ড’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সদ্য এমবিবিএস পাস করা একজন নারী চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ রাজধানীর পান্থপথে একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক (২৭)।

তিনি মগবাজার কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে পান্থপথে একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হোটেলটিতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজাউল করিম রেজা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে উঠেছিলেন জান্নাতুল। এরপর সুযোগ বুঝে স্বামী পরিচয়ধারী কথিত বয়ফ্রেন্ড রেজাউল জান্নাতুলকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। রেজাউলকে আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, রাতে পুলিশকে খবর দিলে হোটেলটির চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষের বিছানার ওপর থেকে ছুরিকাঘাত ও গলাকাটা অবস্থায় জান্নাতুল নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে একাধিক দাগ রয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

জান্নাতুলের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ নারী চিকিৎসক মগবাজার কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। ঘটনার পরপরই নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।


আরও খবর



শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ: রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১১টার পর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেটা লিখিতভাবে সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে আমার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। কোনও তদন্ত ছাড়া এভাবে বহিষ্কার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় আমার কক্ষে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বহিষ্কারাদেশ অযৌক্তিক বলেছেন অন্য নেতারাও।

গত ১১ মে রাতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথি কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। অস্ত্রের মহড়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণে সাতজন আহত হয়। সেদিন রাতভর সংঘর্ষ চলে। গত ১৩ মে মধ্যরাতে ফের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতেই হলে তল্লাশি চালিয়ে অনাবাসিক ২০ জনকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ১৪ মে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত ৫৮

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে একটি যাত্রীবাহী নৌকা (ফেরি) ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করা এই নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গত শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নৌকাডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ঙ্কর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।

নাগরিক সুরক্ষা প্রধান থমাস ডিজিমাসে বলেন, উদ্ধারকারীরা পানি থেকে ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পানির নিচে থাকা মোট লোকের সংখ্যা আমরা জানি না।

অবশ্য নৌকা দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বহু মানুষ বাঙ্গুইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়।


আরও খবর



দেশের মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অতিরিক্ত গরমে বিশ্বে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অতিরিক্ত গরমে কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এনশিউরিং সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক ইন আ চেঞ্জিং ক্লাইমেট (জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা) শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত গরমজনিত প্রায় সোয়া দুই কোটি পেশাগত দুর্ঘটনায় ২০ লাখের বেশি মানুষকে নানা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাস করতে হচ্ছে। কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন খাতের মতো বাইরে কাজ করা কর্মীরা অতিরিক্ত গরমের কারণে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাঁরা হিটস্ট্রেস, হিটস্ট্রোক, হিটক্র্যাম্পস, র‍্যাশ, ত্বকে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসজনিত অসুস্থতা, কিডনির রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা নানা জটিলতায় পড়ছেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানা কারণে কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটি মানুষ আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের ঝুঁকিতে পড়ে। এ কারণে ত্বক ক্যানসারে বছরে মৃত্যু হয় ১৮ হাজার ৯৬০ জনের। বাইরে বা রাস্তাঘাটে কাজ করা ১৬০ কোটি মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হয়। এর ফলে ৮ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর মৃত্যু হয়। ৮৭ কোটির বেশি মানুষ কৃষিকাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কীটনাশকের সংস্পর্শে আসেন। বছরে ৩ লাখের বেশি কর্মী কীটনাশকের বিষাক্ততার কারণে মারা যান। পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসবাহিত রোগের সংস্পর্শে এসে (ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ সৃষ্টিকারী) বছরে ১৫ হাজার কর্মী মারা যান। চরম আবহাওয়ায় ভূমির পরিবর্তন, খাদ্যসংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবের মধ্যে কাজের নিশ্চয়তা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, লাওসসহ অনেক অঞ্চলে গত বছরের এপ্রিলে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। এ ধরনের আবহাওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে পেশাগত রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর



প্রার্থীতা ফিরে পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের প্রার্থীতা বহাল রেখেছে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের ব্রেঞ্চ। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিচারপতি মো: ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো.আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানা যায়। 

জানা যায়, গত রবিবার (৫ মে) নির্বাচন আচারণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের  প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

সেই আদেশকে বিরোদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টে আপিল বিভাগে (৫৩০৩/২০২৪) রিট পিটিশন আবেদন করেন। সেই আপিল রিট পিটিশন মঞ্জুর করে বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে আমার প্রার্থীতা বাতিল করে দিয়েছিল। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মহামান্য হাইকোর্টে এসে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিট পিটিশন করি। সেই রিট পিটিশনে মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীরা বহাল রেখেছে। নির্বাচন করতে আমার কোন আইনগত বাধা নাই।

এ দিকে আনারস প্রতিকের নির্বাচনী চীফ এজেন্ট আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ তারিখে নির্বাচন কমিশনে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য প্রার্থী সহ আমি গিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সামনে আমি কিছু যুক্তি তুলে ধরি। কিন্তু কোন তদন্ত ছাড়াই অন্যায়ভাবে নির্বাচন কমিশন রফিকের প্রার্থীতা বাতিল করে। ২ তারিখে শুনানি করে আমাদের ৫ তারিখে আদেশ দিয়েছে। আমরা সেই আদেশে হাইকোর্টে রিট পিটিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ মে নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই আদেশই মহামান্য হাইকোর্ট জারি করেছেন।


আরও খবর