কক্সবাজার শহরের
একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে থেকে পেছনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক তরুণীর লাশ উদ্ধার
করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল
জোন এলাকার আবাসিক হোটেল ‘নির্জন রিসোর্ট’ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর
থেকে তার সঙ্গে থাকা কথিত স্বামী পরিচয় দানকারি ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।
কক্সবাজার সদর
থানার এসআই মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হোটেল-মোটেল জোনের
নির্জন রিসোর্ট নামের এক আবাসিক হোটেলের (কটেজ) কক্ষে অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ পড়ে
থাকার খবর দেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশের
একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেলটির ৬ নম্বর কক্ষের ভিতর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা
হয়। এ সময় নারীটির দুহাত পেছনে ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে রেখে হোটেল কক্ষের খাটে শোয়ানো অবস্থায়
পাওয়া যায়। হোটেল কক্ষটির দরজা বাইর থেকে খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার শরীরের কোথাও
স্পষ্ট আঘাতের কোনো ধরনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কথিত স্বামী পরিচয় দিয়ে
হোটেল কক্ষে ওঠা ব্যক্তি ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন
পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের
বরাতে আতিকুল বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়া ওই নারী ও পুরুষের
নাম-পরিচয় কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করেনি। এছাড়া হোটেলটিতে কোনো ধরনের সিসি
ক্যামেরাও নেই। নিহত নারীর নাম ও পরিচয় জানা না গেলেও তার আনুমানিক বয়স ২৫/২৬ বলে জানান
উপ-পরিদর্শক।
হোটেলটির ব্যবস্থাপক
আব্দুল আলীম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টায় দম্পতি পরিচয়ে ওই নারী জনৈক পুরুষকে সঙ্গে
নিয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেন। রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলের নিবন্ধন খাতায় তাদের নাম ও পরিচয়
নথিভুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, ভোরে
আমি ফজরের নামাজ পড়তে বের হই। ফিরে এসে দেখি তাদের কক্ষের দরজা বাইর থেকে তালা খোলা।
পরে দরজা খুলে নারীকে হাত মোড়ানো অবস্থায় খাটে শোয়া দেখা গেলেও স্বামী পরিচয় দেওয়া
লোককে পাওয়া যায়নি। পরে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করা হয় বলে জানান হোটেলটির এই
ব্যবস্থাপক।
কক্সবাজার সদর
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, নিহতের আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি হত্যার
কারণ জানতে পুলিশের বিশেষজ্ঞ ইউনিটের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল
পরিদর্শন শেষে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার
সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয় বলে জানান তিনি।