আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

৮টার পর খোলা, ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ জুলাই 20২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ জুলাই 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বগুড়ায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ছয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ মামলায় জরিমানা ও নেসকো-১-এর সহযোগিতায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার ও জান্নাতুল নাইম। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত ৯টি মামলায় এক হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া শহরের সাতমাথায় লোটো, আরএফএলের দুটি শোরুম, দুটি ফার্নিচার ও একটি টাইলসের দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো-০১) লোকজন আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এ আদালত পরিচালনা করা হয়। সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে রাত ৮টার পর নির্ধারিত শপিংমল, বিপণিকেন্দ্র ও অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকার বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারী শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহন এসব রাসায়নিক উপাদানের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী। বিশ্বের ২৭টি স্থানের বাতাস নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।'

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।


আরও খবর



বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায় চীন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চীনের একদল ব্যবসায়ী বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। ব্যবসার নীতিমালা অনুসরণ করে চায়না-বাংলা ব্যাংক পিএলসি’ নামে বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছেন। চায়না-বাংলা ব্যাংক পিএলসির দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা প্রাথমিকভাবে ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ বছরের মধ্যে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন আবেদনকারীরা।

ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হলে দেশে ৭ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। চীনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ পরোক্ষভাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে। এই উদ্যোগ ব্যাংকের সেবাপ্রাপ্ত কমবেশি ৭৫ মিলিয়ন মানুষের কাছে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা প্রসারিত হবে। এ বিষয়ে চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড গুয়াংডং কমিটি (সিসিপিআইটি গুয়াংডং কমিটি) সম্প্রতি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবেদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দল কিছু দিন আগে চীন সফর করেছে, যেখানে চীনা উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব আল মামুন মৃধা বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ প্রযুক্তির ব্যবহারে (ডিজিটাল) উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ জন্য ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক বিদ্যমান ব্যাংক পরিষেবাগুলোর তুলনায় অধিকতর সুবিধা, নিরাপদ এবং তহবিল স্থানান্তর সহজ করবে। চীনা বিনিয়োগকারীরা যৌথভাবে ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগ করলে প্রযুক্তিতে চীনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যাংকিং খাতের জন্য উপকারী হবে। ডিজিটাল যুগে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে এবং ব্যাংকবিহীন জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই আটটি ডিজিটাল ব্যাংককে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। প্রথাগত ব্যাংকগুলোর থেকে ভিন্ন এ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে শুধু অনলাইনে কাজ করা হবে এবং কোনো শাখা থাকবে না। ডিজিটাল ব্যাংক গ্রাহকদের একটি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা যে কোনো স্থান থেকে ব্যাংকিং লেনদেন এবং পরিষেবাগুলো নিজের মতো করে করার সুবিধা দেবে, তাই কোনো গ্রাহককে শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ইতোমধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি এবং কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি নতুন দুটি ডিজিটাল ব্যাংকের লেটার অব ইন্টেন্ট (এলওআই) দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক দুটি শিগগিরই কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী ছয় মাস তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া, তিন ব্যাংক মিলে করা আবেদনটি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংক এশিয়ার নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল, ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক ও ১০ বেসরকারি ব্যাংকের সমন্বয়ে ডিজি ১০ ডিজিটাল ব্যাংকও চালু হয়ে যেতে পারে। স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক ও নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংককে এলওআই দেওয়ার পরিকল্পনা আছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের।


আরও খবর



ভারতে পাচার হচ্ছে রাজধানীর নিম্নবিত্ত মানুষের কিডনি (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিডনি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত আন্তঃদেশীয় দালালচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১২ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম এবং অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)।

রবিন খান নামে এক ভুক্তভোগীর দেওয়া এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটের পেছনে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে খেতে সাংসারিক অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তাদের পাশে বসে থাকা মাছুম এসব কথা শুনে জানান, তিনি সাহায্য করতে পারবেন। ভারতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দিন রবিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রেখে তাকে ভারত যেতে রাজি করান সে।

পরবর্তীতে রবিনকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান মাছুম। সেখানে মামলার গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামি রাজু, শাহেদ ও আতাউরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পাসপোর্ট-ভিসা কার্যক্রম শেষে গত বছর ২২ ডিসেম্বর রবিন ইন্ডিগো এয়ারলাইনের একটি বিমানে ভারতের দিল্লি পৌঁছান। সেখনে একই চক্রের দুই সদস্য শাহীন ও মোস্তফা রবিনকে দিল্লির ফরিদাবাদে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় ২০-২৫ দিন আটকে রেখে কিডনি বিক্রির জন্য রবিনের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।

রবিনকে তারা বোঝান, মানুষ একটি লিভার, একটি হার্ট দিয়ে বাঁচতে পারলে একইভাবে একটি কিডনি দিয়েও বাঁচতে পারে। একদিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে টাকা-পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে অবশেষে এক রকমের বাধ্য করে ভারতের গুজরাটের মুক্তিনগরের একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্থানীয় ডাক্তারের সাহায্যে রবিনের কিডনি বিক্রি করে দেয় চক্রটি।

এর চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিন জানতে পারে তার কিডনি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চক্রটি। প্রায় অর্ধকোটি টাকায় কিডনি বিক্রি করলেও রবিনকে দেয়া হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। পরে দেশে ফিরে রবিন জানতে পারে, একই চক্রটি তার পরিচিত একজনকে এভাবে ফুসলিয়ে ভারত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্য কারও না হয় সেজন্য রবিন ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করে।

বর্তমানে কিডনি হারিয়ে কর্মক্ষমতাহীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন রবিন। কিডনি অপারেশনের ফলে তার পেটে ৫ ইঞ্চি পরিমাণ একটি কাটা দাগ আছে। একটি কিডনি হারিয়ে বর্তমানে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় দিন কাটছে তার।

কালোবাজারে কিডনির দাম প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- যখন যেমন দাম পায় তার ওপরেই ভিত্তি করে বেচাকেনা হয়। তবে বর্তমানে এক একটি কিডনির সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এ দাম ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে।

কারা কিডনি পাচারের শিকার হোন এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ এ চক্রটির প্রধান টার্গেট। এদের লাখখানেক টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এটি একটি আন্তঃদেশীয় দালালচক্র। ভারতের কলকাতা ও গুজরাটে এদের সংঘবদ্ধ সদস্যরা আছে।

কিডনি বিক্রির এ চক্রটির সঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ডাক্তার জড়িত কি-না এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রের বিস্তার বহুদূর বলে জানায় পুলিশ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানা যায়, পাচার হওয়া কিডনি ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভারতের কোনো নাগরিককে দেওয়া হয় না। এসব কিডনি বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের শরীরেই প্রতিস্থাপিত হয়।


আরও খবর



আগামী ৭ জুন শেষ কর্মদিবস

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গেটস ফাউন্ডেশনের থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। দাতব্য সংস্থাটির কোচেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্বের একসময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা সোমবার তার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন সোমবার এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যেটা আমি হালকাভাবে নিয়েছি।

ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। তারপর থেকে ঐ সংস্থার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলিন্ডা বলেছেন, তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি অনুসারে, তিনি অতিরিক্ত ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবেন। এই অর্থ তিনি নারী এবং চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে ব্যবহার করবেন।

তবে এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

এদিকে বিল গেটস এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলেছেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়া দেখে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সে তার ভবিষ্যতের জনহিতকর কাজে বিশাল প্রভাব ফেলবে।

মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তৎকালীন স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিল-মেলিন্ডা জুটি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। তবে তারা যৌথ জনল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। রোববার (৫ মে) থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন সোনার দাম বাড়লো। শনিবার (৪ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭১২ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৩ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৩ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮০৭ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫৫২ টাকা কমিয়ে ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হবে।

সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর