আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭৫ বছরে যেভাবে পঙ্গু হয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পঁচাত্তর বছর আগে উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তান। নিরন্তর রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি আদায় করেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি হয়তো পাকিস্তানকে এমন একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন যেখানে জাতি, ধর্ম বা ধর্মের ভিত্তিতে কেউ বৈষম্য করবে না। তবে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে অনেকবারই রাজনৈতিক পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।

ধারণা করা হয়, হিন্দু আধিপত্যের ভয় এবং অভিজাতদের হাতে সাধারণ জনগণের নিপীড়নের আশঙ্কাই ছিল পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে অন্যতম কারণ। আইনজীবী, শিক্ষক, ছাত্র, ক্ষুদ্র জমির মালিক ও কৃষকরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল শ্রমিক শ্রেণীর জনগণের সম্মিলিত চেতনার একটি কাজ যারা নিজেদের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রাখতে স্বাধীন রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। এছাড়া সম্মানজনক জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিতে পারে এমন একটি দেশ চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই স্বপ্ন কি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে? ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সফল হলেও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুতে প্রথম দিকেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক যাত্রা গুরুতর ধাক্কার সম্মুখীন হয়। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ১৯৫১ সালের অক্টোবরে আরেকটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। সেসময় পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাওয়ালপিন্ডিতে হত্যা করা হয়। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কার্যত পাকিস্তানের গণতন্ত্রের পতন শুরু হয়। আর সেই ধারা দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে আজও অব্যাহত আছে। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর পর একপর্যায়ে গভর্নর জেনারেলের আদেশের মাধ্যমে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভাকে অপসারণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার কখনোই দেশটিতে অগ্রাধিকার ছিল না।

এরপর ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করা হয়। এটি পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে দেশের সম্পদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়। আইয়ুব খান এবং পরবর্তীতে তার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া খান তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের মতোই পাকিস্তানকে শাসন করেন। আইয়ুবের শাসন এবং ইয়াহিয়ার পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। সেসময়ই পাকিস্তানের পূর্বের গণতান্ত্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে পশ্চিম পাকিস্তানের অভিজাতরা। আর এরপরই অধিকার আদায় ও বঞ্চনা-শোষণ থেকে মুক্তি পেতে দেশের পশ্চিম অংশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে পূর্ব পাকিস্তান। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলায় মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের বীরত্বগাথা যুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। ভেঙে যায় পাকিস্তান।

তবে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জাতীয়তাবাদী দলগুলোর সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আচরণ ছিল শোচনীয়। তার সরকার মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে খারাপ নজির স্থাপন করে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে দেয়। আর এর ফলে ভুট্টো বিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে আরেকটি সামরিক আইন জারি হয় পাকিস্তানে। ক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়া উল হকের সামরিক আইন পাকিস্তানে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে। তিনি সংবিধান বাতিল করেন এবং রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদেরও কারারুদ্ধ করেন। জিয়া প্রায় এগারো বছর ধরে পাকিস্তানে শাসন করেছিলেন। এসময় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে এবং গণতন্ত্রের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে পাকিস্তানকে শাসন করেন তিনি। আর এই ধরনের শাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে পাকিস্তানে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় উগ্রবাদ, সমাজের নানামুখী মেরুকরণ, মাদক এবং কালাশনিকভ সংস্কৃতি।

মূলত প্রেসিডেন্টের সাথে মতবিরোধের কারণেই প্রথমে বেনজির ভুট্টো এবং পরে নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। প্রায় এক দশক ধরে এই দুই নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীত্ব আবর্তিত হতে থাকে। আর এই যুগের অবসান ঘটে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আর সেটি হয়েছিল জেনারেল পারভেজ মোশাররফের হাত ধরে। মোশাররফ একটি আলোকিত এবং প্রগতিশীল পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ শাসন শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার শেষ হয়েছিল অন্যান্য সামরিক শাসকদের মতোই। তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন; যার জন্য দেশটি প্রায় ১২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়া সেসময় পাকিস্তানে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। পারভেজ মোশাররফের বেলুচিস্তান অভিযান প্রদেশটিতে গভীর বিভাজন তৈরি করে। তবে নিজের শাসনের শেষ বছরগুলোতে মোশাররফ ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ফলে পাকিস্তানে তিনি সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফকে ফিরে আসার অনুমতি দেন। এছাড়া পিএমএল-এন সরকারের শাসন এবং বৈধতাকে দুর্বল ও চ্যালেঞ্জ করার জন্য তেহরিক-ই-লাব্বাইক এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের (পিএটি) মতো গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে ইমরানের দলের এই জয়ের পেছনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। আবার তাদের (সামরিক বাহিনী) ইন্ধনেই জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পঙ্গুত্বের এই জঘন্য কাহিনীর বহু ভিন্ন দিক বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সম্পৃক্ততা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কারচুপি এবং প্রকৃত রাজনৈতিক কণ্ঠের দমন রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এতোটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে সেখানে সহজেই কারসাজি করা যায়। এটি দেশের পুরো ব্যবস্থাপনায় উদাসীনতা এবং অবিশ্বাস সৃষ্টি করে। যাদের ক্ষমতা ও যোগাযোগ আছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ক্ষমতায় আরোহণের পথ পেয়ে যান।

আরেকটি বিষয় যা রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্বল করে তোলে তা হলো- দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি। নিয়মিত আন্তঃদলীয় নির্বাচন হয় না এবং বেশিরভাগ দল ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করে। উন্নত দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি এবং পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই রয়ে গেছে। বংশীয় রাজনীতি গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতার চেতনাকে হত্যা করেছে। এই কারণেই যখন কোনো স্বৈরশাসক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন বা আঘাত হানে তখন জনগণ সেটির প্রতিরোধ করে না। তারা নিজেকে প্রান্তিক বলে মনে করে এবং নেতাদের বিপদে রক্ষা করার জন্য রাস্তায় নামতে প্রস্তুত থাকে না।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে বড় বড় শহরগুলোর পাশাপাশি মফস্বল এলাকাতেও একের পর এক সমাবেশ করে চলেছেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এসব সমাবেশে পিটিআই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো এবং সেখানে তিনি বরাবরই আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। ইমরান খানকে অপসারণের পর পাকিস্তানের শহরাঞ্চলে বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভও শুরু হয়। পিটিআই এই জনপ্রিয়তাকে একটি টেকসই রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে পারে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ধর্ম-রাজনীতির মিশ্রণে সৃষ্ট যেকোনো গণতন্ত্র, সংবিধান ও সংসদের ধারণা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধারায় আসা পাকিস্তানের জনসাধারণকে বিভক্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের মতো দলের সাম্প্রতিক উত্থান এবং তাদের তৃণমূল সমর্থন দেশটির মূলধারার রাজনৈতিক দল, নীতিনির্ধারক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা।

এছাড়া পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতারও সম্মুখীন হয়েছে। ভুল সময়ে ভুল দেশে ইমরান খানের উপস্থিতি ভুল ধারণা দিচ্ছে। এর ওপর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর এর পেছনে বিদেশি হাত রয়েছে বলে ইমরান খানের দেওয়া বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রকে (পাকিস্তান থেকে) বিচ্ছিন্ন করেছে। এছাড়া আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন পাকিস্তানের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ নীতি হতে পারে। তবে এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তানে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্মুক্ত করে এটি অর্জন করা যেতে পারে।

একইসঙ্গে পাকিস্তান এগিয়ে যেতে চাইলে দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বিচার বিভাগের উচিত সংবিধান মেরামত বা সংস্কার না করে ন্যায়বিচার প্রদান এবং ব্যাখ্যা করা। আইন প্রণয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টের। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীদের ফাঁসির মঞ্চে বা কারাগারে পাঠানো কেবলমাত্র রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব এবং সামরিক বাহিনীর বদনাম নিয়ে আসবে। জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতি রক্ষা করা সম্ভব। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সম্প্রীতি প্রয়োজন এবং এটি পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে নিদারুণভাবে অনুপস্থিত।

নিউজ ট্যাগ: পাকিস্তানি

আরও খবর



সিআইপি কার্ড পেলেন চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত করেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী রয়েছেন। অন্যদিকে পদাধিকার বলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা।

দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০২২ সালের জন্য মোট ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে ১৮৪ ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

চট্টগ্রামের নির্বাচিত ১২ সিআইপি হলেন, কৃষিজাত দ্রব্য একক ক্যাটাগরিতে (একক) নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান, এগ্রোপ্রসেসিং (একক) ক্যাটাগরিতে আগ্রাবাদ কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নীটওয়্যার (একক) ক্যাটাগরিতে ডবলমুরিং এলাকার ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে নাসিরাবাদ শিল্প এলাাকর কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে বায়েজিদ কুলগাঁও জালালাবাদের রিটজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মো. জামশেদ আলী, টেঙটাইল (ফেব্রিঙ) একক ক্যাটাগরিতে পটিয়ার কালারপুল এলাকার ফোর এইচ ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিস সাহারা চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড বিসিক শিল্প এলাকার মেরিন সেফটি সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা অংশীদার গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে নগরীর সদরঘাট রোডের বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সরাইপাড়া সাগরিকা রোডের মনির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন, ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেড প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেডের ইউনিটি স্টাইল এন্ড এঙেসরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী। অন্যদিকে সিআইপি ট্রেডে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন ইস্যু করবে। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কাউকে প্রদত্ত সিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল মাসের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে রোববার রেকর্ড ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের এই তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।’’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।’’

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

ডব্লিউএমওর তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।


আরও খবর



দেশের মাটিতে নাবিকদের কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত স্বজনরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত হয়ে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়ায়শরা জাহাজ থেকে নামার সাথেই ছোট বোন উনাইজা নিয়ে বাবার কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।

এসময় ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বলেন, বাবার জন্য পুরো ঘর খালি ছিল। ঈদও ভালোভাবে কাটাতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবে, বাবাকে দেখতে পাব। আজ ঠিকই বাবার কাছে। বাবার পাশে। সামনে পরীক্ষা আছে, সেগুলো শেষ করে বাবাকে নিয়ে বেড়াবো আর ঘুরবো। আমি আমার আরেক বোন এখানে এসেছি। আমার আরেক ছোট বোন ছোট থাকায়, তাকে বাসায় রেখে আসা হয়েছে।

ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান বলেন, দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা আর মনে করতে চাই না। এসব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আপনারা দোয়ার করবেন। দুই সন্তানকে কাছে পেলাম। বাসায় আরেক সন্তান কান্না করছে। তাঁর কাছে ফিরতে হবে দ্রুত।

মঙ্গলবার বিকেলে জলদস্যুমুক্ত ২৩ নাবিকদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ জাহান মনি-৩ করে চট্টগ্রাম বন্দরে নামেন। সেখানে তাঁদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। স্বজনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

চসিক মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দুই মাস মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছেন এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে তাদেরকে আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজকে আনন্দিত উচ্ছ্বসিত আবেগাপ্লুত। সন্তান ফিরে আসলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারে না তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। কবির গ্রুপের বহরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী মোট ২৩টি জাহাজ আছে ।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের আরেক জাহাজ জাহান মণি। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করেছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।

এ সময় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুতিনকে। বেইজিং বিমানবন্দরে পুতিনকে পুরনো বন্ধু মন্তব্য করে স্বাগত জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এছাড়া চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া পুতিনের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে "পুরনো বন্ধুর" রাষ্ট্রীয় সফর হিসাবে বর্ণনা করেছে।

পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। বৃহস্পতিবার এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরকালে পুতিনের সাথে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করবেন তাঁরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠকে রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন, বিশেষ করে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রাশিয়ার বাজারে চীনা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির প্রবাহ র্নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা করেছেন পুতিন, যা রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইতে পারে চীন।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।

সফরে আজ বিকেলের সিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

গতকাল বুধবার বেইজিং সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেনসংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেনসংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।


আরও খবর