আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭ দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদ এবং সাত দফা দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হলে অবরোধ ও লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান।

আরও পড়ুন>> তিস্তার পানি উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দাবিগুলো হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২. যে সকল শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন-প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

৩. সকল বিষয়ে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন।

৪. বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবক কে/কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।

৬. একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রনয়ণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এর আগে, গত ৪ জুন সকালে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের ফটক অবরুদ্ধ করে। একইসঙ্গে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্যের সাথে সাত দফা দাবি নিয়ে দেখা করেন।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বর্ণাঢ্য জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। এক বর্ণাঢ্য জীবন ছিল তার। ইরানের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

এই শীর্ষ নেতার জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ইরানের উত্তর-পূর্ব মাশহাদের নোগান জেলায় বেড়ে ওঠেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন।

রাইসি জাভাদিয়াহ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। এরপর হাওজায় (ইসলামি সেমিনারি) পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি কওম সেমিনারিতে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আয়াতুল্লাহ বোরুজেরদি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। তিনি মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন বলে জানা যায়। যদিও এ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে।

মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি কারাজ শহরের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন ইব্রাহিম রাইসি।

তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপ-প্রধান বিচারপতি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এছাড়া ১৯৮০ এবং ১৯৯০র দশকে তিনি তেহরানের প্রসিকিউটর এবং উপ-প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আস্থান কুদস রাযভী নামের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক এবং চেয়ারম্যান ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি ২০০৬ সালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মাশহাদের জুমা নামাজের ইমাম এবং ইমাম রেজা মাজারের প্রধান ইমাম আহমদ আলা মোলহোদার জামাতা ছিলেন।

২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে রাইসিকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়। ৬৩ বছর বয়সী রাইসি সে বছর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশটির নৈতিকতা বিষয়ক আইন কঠোর করার নির্দেশ দেন।

ইব্রাহিম রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে হাসান রুহানির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। ১৯৮০র দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও ইরান কখনো এই গণ-মৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি এবং এতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কখনো কিছু বলেননি।

রাইসিকে একজন কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। এ কারণে তিনি সরকার-বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও পড়েছেন। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় তিনি কঠোর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।

অনেকে মনে করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরি হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ নেতা তাকে বিচার বিভাগের প্রধানের শক্তিশালী পদে নিযুক্ত করেন। বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলির ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট রাইসি। ইরানে ৮৮ সদস্যের এই বোর্ড দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে থাকে।

২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়ে নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ইরানের প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন।

কট্টরপন্থীরা পশ্চিমাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলেও রাইসি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনি উভয়েই পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যেতে আগ্রহী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে দেশটির ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইরানের ওপর বেশ কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাধারণ ইরানিরা অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে যার কারণে জনগণের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরের কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। তাকে তৈরি করা হচ্ছিল একেবারে সর্বোচ্চ আসনটির জন্য। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনা যেন সবকিছুর মোড় ঘুরিয়ে দিল।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর নতুন করে গুঞ্জন উঠেছে যে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার স্থলাভিষিক্ত তাহলে কে হবেন? আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বয়স এখন ৮৫ বছর। অনেক দিন ধরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্টের দুঃখজনক মৃত্যুতে দেশটির নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। তবে কঠোর রক্ষণশীলদের নিয়ন্ত্রিত কাঠামোকে একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।

তার প্রতিপক্ষের লোকেরা হয়তো এই সাবেক আইনজীবীর প্রস্থানে স্বস্তিই খুঁজবেন। প্রতিপক্ষরা হয়তো আশা করবেন যে, তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই শাসনকালেরও ইতি ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তাই এখন দেখার অপেক্ষা।

প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই ইরানসহ সারাবিশ্বেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায় যে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য আরোহীরা মারা গেছেন।

রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

পূর্ব আজারবাইজানের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ওই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল এবং অন্য দুটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। কিন্তু একটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রা‌ক-কাভার্ডভ্যানের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষ, নিহত ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কালিহাতি (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতীতে ট্রা‌ক ও কাভার্ডভ্যানের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষে একজন নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হ‌য়ে‌ছেন আরও দুইজন।আহত‌দের উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে পু‌লিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর ৫ টার দি‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের উপ‌জেলার সরা‌তৈল টাওয়ার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। তাৎক্ষনিক হতাহ‌ত‌দের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি।

এদি‌কে দুর্ঘটনার কার‌ণে মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল বন্ধ হ‌য়ে‌ যায়। এতে মহাসড়‌কের চার কি‌লো‌মিটার এলাকায় যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হয়। ফ‌লে উত্তরবঙ্গ থেকে ছে‌ড়ে আসা প‌রিবহন ও ঢাকা থেকে ছে‌ড়ে আসা পরিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ব‌্যবহার না ক‌রে এলেঙ্গা-ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চ‌লিক সড়ক ব‌্যবহার ক‌রে।

এছাড়া দুর্ঘটনার পরই ক্ষ‌তিগ্রস্ত দুইটি যানবাহন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু ক‌রে পু‌লিশ। গা‌ড়ি দুইটি সড়ক থেকে সরা‌নোর পর মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার উপ‌-প‌রিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া জানান, ঢাকাগামী ট্রা‌কের সা‌থে উত্তরবঙ্গগামী কাভার্ডভ‌্যা‌নের সা‌থে মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রা‌ক চালক মারা যান। এছাড়া কাভার্ডভ‌্যা‌নের চালকসহ আরও দুইজন গুরুত্বর আহত হন। আহত‌দের দ্রুত উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। নিহত ট্রাক চাল‌কের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি। আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে মর‌দেহ নিহতের স্বজন‌দের কা‌ছে হস্তান্তর করা হ‌বে।


আরও খবর



বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) শুক্রবার (৩ মে) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।

গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর